গাইবান্ধা ৩ আসন, রাত পোহালে ভোট

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনের সরঞ্জামাদি আসতে শুরু করেছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

নির্বাচনের সরঞ্জামাদি আসতে শুরু করেছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) শূন্য আসনে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন শনিবার (২১ মার্চ)। এতে দুটি উপজেলার ১৩২ কেন্দ্রে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ২১১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (২০ মার্চ) সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে পৌঁছাতে শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিজ্ঞাপন

ইতোমধ্যে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হয়েছে। এখন সমর্থক ও ভোটারদের মধ্যে চলছে নানা হিসেব-নিকাশ। কে হবেন অভিভাবক, এ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

এ আসনে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও, শেষ মুহূর্তে এসে জাসদ মনোনীত মশাল প্রতীক প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি সমর্থন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতিকে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীক প্রার্থী অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক ও জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীক প্রার্থী মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুমান।

এদিকে নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা জানিয়েছেন, এ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে। এর কারণ হিসেবে তারা বলেন, বর্তমান ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলার উন্নয়ন বেগবান করতে নৌকা প্রতীক প্রার্থী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে। তাহলে এলাকার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্তকরণসহ ব্যাপক উন্নয়ন করা সম্ভব।

অপরদিকে ভোটাররা জানান, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক প্রার্থী অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে মানবসেবামূলক কাজ করে আসছেন। স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রেও বেশ অবদান রয়েছে তার। এর ফলে মইনুল হাসান সাদিকের ব্যক্তি ইমেজ যথেষ্ট থাকায় ভোটারদের মাঝে বেশ আস্থা অর্জন করেছেন তিনি।

সব মিলিয়ে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের দুই প্রার্থীর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে এমনটাই জানিয়েছেন ভোটাররা। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু-শান্তিপুর্ণ ভোট নিয়ে অনেকের মধ্যে নানা সংশয় রয়েছে। দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি করোনা ভাইরাস সতর্কে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকে ধারণা করছেন।

গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা-৩ আসনের সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও পলাশবাড়ী উপজেলার ৯ ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ২১১ জন। এর মধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলায় ২ লাখ ৩৫ হাজার ১০ জন ও পলাশবাড়ী উপজেলায় ২ লাখ ২০১ জন। এ দুটি উপজেলায় পুরুষ ভোটার ২ লাখ, ১২ হাজার ৬৩৮ এবং নারী ভোটার ২ লাখ ২২ হাজার ৫৭৩ জন রয়েছে।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে প্রিজাইডিং অফিসার ১৩২ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৭৮৬ জন, পোলিং অফিসার এক হাজার ৫৭২ জন দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ নির্বাচনী তদারকিকরণে জুডিসিয়াল ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন।

গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টানিং অফিসার মাহাবুবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, একাদশ জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-৩ শূন্য আসনের এ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপুর্ণ অনুষ্ঠানের লক্ষে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠিত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর মারা যান। পরে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। যার ফলে ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে উপ-নির্বাচন।