নিয়মিত অভিযান চললেও কমছে না পণ্যের দাম

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ছবি: বার্তা২৪.কম

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনা ভাইরাস আতঙ্ককে পুঁজি করে লক্ষ্মীপুরে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জেলার সবগুলো হাট-বাজারে ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করেও দমানো যাচ্ছে না তাদের। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন গত দুইদিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২১ ব্যবসায়ীকে ৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

তবে সচেতন মহলের ভাষ্যমতে, সুযোগ পেলেই অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়। একটি দোকানেও তারা দ্রব্যমূল্য তালিকা রাখে না। সব দোকানেই একই দামে তারা পণ্য বিক্রি করে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও নামমাত্র জরিমানা করা হয়। অভিযান শেষ হলেও অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয় না।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুরে রামগতি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল মোমিন আলেকজান্ডার সুফিরহাট বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দায়ে দুই ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিকেলে জেলা শহরের গেঞ্জিহাটায় অভিযান চালিয়ে দ্রব্যমূল্য তালিকা না রাখায় দুই ব্যবসায়ীকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দায়ে জেলা শহরের মাছ বাজার, গেঞ্জিহাটা ও চকবাজারে অভিযান চালিয়ে ৮ দোকানে ১৩ হাজার টাকা ও রাতে কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ও তোরাবগঞ্জে ৯ দোকানের ব্যবসায়ীকে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল ইসলাম বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাল ও পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে। দোকানগুলোতে দ্রব্যমূল্যের তালিকা রাখা হয়নি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।