গাইবান্ধা-৩ আসনে চলছে ভোটগ্রহণ
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দুটি উপজেলার ১৩২টি ভোটকেন্দ্র ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলছে।
শনিবার (২১ মার্চ) সকাল ৯ টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বুজরুক রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র গিয়ে দেখা যায়, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। তবে এ সময় ভোটার উপস্থিত ছিল কম।
কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বেলা বাড়লে ভোটারের উপস্থিত বেড়ে যেতে পারে।’
এ আসনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও, প্রচারের শেষ মুহূর্তে এসে জাসদ মনোনীত মশাল প্রতীক প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি সমর্থন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতিকে।
এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীক প্রার্থী অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক ও জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীক প্রার্থী মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুমান।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা-৩ আসনের সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও পলাশবাড়ী উপজেলার ৯ ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ২১১ জন। এর মধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলায় ২ লাখ ৩৫ হাজার ১০ জন ও পলাশবাড়ী উপজেলায় ২ লাখ ২০১ জন। এ দুটি উপজেলায় পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ৬৩৮ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ২২ হাজার ৫৭৩ জন রয়েছে।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে প্রিসাইডিং অফিসার ১৩২ জন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৭৮৬ জন এবং দায়িত্বে আছেন পোলিং অফিসার এক হাজার ৫৭২ জন।
এছাড়া ২৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ প্লাটুন বিজিবি, ৮০০ পুলিশ, ৭৬৪ জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মাহাবুবুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে জানান, একাদশ জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-৩ শূন্য আসনের এ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠিত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর মারা যান। পরে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। যার ফলে ২১ মার্চ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।