লাঙ্গলবন্দে স্নানোৎসব বন্ধ ঘোষণা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বার্ষিক অষ্টমী স্নানোৎসব বাতিল করা হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল এ উৎসব হওয়ার কথা ছিল। এ উৎসবে প্রতিবছর দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হয়ে থাকে।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সারাদেশে সকল ধরনের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সেই নির্দেশ ইতোমধ্যে জেলার সকল ইউএনও এবং ওসিদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে প্রতিবছর হওয়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী স্নানোৎসব বাতিল করতে আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের অনুরোধ জানিয়েছি। তারাও এটি মেনে নিয়ে উৎসব বাতিল করেছেন।
মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজিৎ সাহা জানান, আগেই আমরা উৎসবের পরিসর ছোট করার চিন্তা করছিলাম। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশের সাথে আমরা একমত। জেলা প্রশাসন আমাদের এ নির্দেশনা জানানোর পর আমরা ভক্তদের অনুরোধ জানাচ্ছি এবারের উৎসবে না আসতে।
হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী দেবতা পরশুরাম হিমালয়ের মানস সরোবরে গোসল করে মাতৃ হত্যার পাপমুক্ত হন। এরপর তিনি এ পবিত্র পানি লাঙ্গল দিয়ে চষে হিমালয় থেকে সমভূমিতে নামিয়ে আনেন। টানা লাঙ্গল চষে যেখানে এসে তিনি লাঙ্গল থামান বা বন্ধ করেন সে স্থানটির নাম লাঙ্গলবন্দ। প্রতিবছর চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে লাখ লাখ ভক্ত পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমী স্নান করেন।