নাটোরে বেপরোয়া মাটি সিন্ডিকেটের বলি ফসলি জমি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাটোর
গুরুদাসপুরে বেপরোয়া মাটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

গুরুদাসপুরে বেপরোয়া মাটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি নির্দেশনা থাকার পরও থামানো যাচ্ছে না নাটোরের গুরুদাসপুরের বেপরোয়া মাটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটদের। এখানকার ফসলি জমিতে চলছে অবাধে পুকুর খনন। এভাবে চলতে থাকলে কিছু বছর পর আবাদি জমি কমে আসবে বলে ধারনা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

জানা যায়, নাটোর সদর, নলডাংগা, সিংড়া, বাগাতিপাড়া, গুরুদাসপুর উপজেলায় কৃষি জমিতে অবৈধ খনন বন্ধে তদারকি এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা, এলাকাবাসীর প্রতিবাদ, জনপ্রতিনিধিদের নিষেধাজ্ঞা ও প্রশাসনের অভিযান কোনো কিছুই তোয়াক্কা করছে না মাটি ব্যবসায়ীরা।

সম্প্রতি উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে অন্তত ১৫টি পুকুর খননের সত্যতা পাওয়া যায়। দেখা যায়, স্থানীয় মশিন্দা বাজারের পূর্বপাশে ২টি,কাছিকাটা স্কুল এ্যান্ড কলেজের পাশে ১টি, মাঝপাড়ায় ১টি, ঝিনিগাড়িতে ১টি, বামনকোলায় ২টি, সাহাপুরে ১টি, হাঁসমারি হাজীর হাটে ২ সহ অন্তত ১৫ স্থানে তিন ফসলি কৃষি জমিতে চলছে পুকুর খনন।

এলাকাবাসী তাদের অভিযোগে জানান, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে পুকুর খননের সাথে জড়িত স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী রফিক, বাচ্চু, শামিম, লতিফ, সানোয়ার, সুরুজ, আলিমুদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারা গ্রামের কৃষকদের জমি চড়ামূল্যে অথবা দীর্ঘমেয়াদী ইজারা নিয়ে পুকুর খনন করে। পুকুরের মাটি ইটভাটা মালিকদের কাছে বিক্রি করে।

শনিবার (২১ মার্চ) মশিন্দা ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, বামনকোলা, ঝিনিগাড়ি, সাহাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় এস্কেবেটর (মাটি কাটার মেশিন) দিয়ে কাটা তিন ফসলি জমির মাটি। প্রতিটি এস্কেবেটর দিয়ে কাটা মাটি ৮/১০টি ট্রাক্টর ট্রলি ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে পাঠানো হচ্ছে সরাসরি ইটভাটায়।

স্থানীয়রা জানান, শুধু মশিন্দা ইউনিয়নেই ১৩০ থেকে ১৫০টি মাটি বহনের যান গ্রামীণ মেঠোপথ ও মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ওই পরিবহনগুলো ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত মাটিবহনের ফলে গ্রামীণ কাঁচা, আধপাকা ও পাকা-সড়ক মহাসড়ক, কালভার্টগুলোর বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে যাচ্ছে আর অপরিকল্পিত পুকুর খননের ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায় দীর্ঘ মেয়াদী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।

গুরুদাসপুর পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা বলেন, পৌরসভার রাস্তা রক্ষায় জমির মালিকদের পুকুর খনন বন্ধ করতে বলা হয়েছে। মাটিবাহী গাড়িগুলোকে পৌর সদরের রাস্তা পরিহার করে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পুকুর খননের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, মাটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এতই শক্তিশালী যে তারা জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা মানছে না। এমনভাবে চলতে থাকলে গুরুদাসপুর আবাদিজমি শূন্য হতে বেশি সময় লাগবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন জানান, অবৈধ পুকুর খননের বিরুদ্ধে প্রশাসন অভিযান অব্যাহত আছে। আইন অমান্য করে তিন ফসলি জমিতে কাউকে পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বলেন, বিনাচাষের রসুন, পেঁয়াজসহ শীতকালীন শাক-সবজির আবাদের এলাকা হিসেবে গুরুদাসপুর পরিচিত। পুকুর খননের কারণে দিনদিন খাদ্যশস্যের আবাদ কমে আসছে এখানে। নতুন করে কোনো ব্যক্তি যেন পুকুর খননের অনুমতি না পায়, সেজন্য কৃষি বিভাগ জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করবে।

প্রসঙ্গত, পুকুর খনন ঠেকাতে ও নাটোরের কৃষিজমি রক্ষার্থে ঢাকার ‘ল’ইয়ারস সোসাইটি ফর ল’ নামে একটি মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠনের পক্ষে মহাসচিব অ্যাড. মেজবাহুল ইসলাম আতিক সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। গত বছর ১২ মে ওই রিটের শুনানি শেষে নাটোর সদর, নলডাংগা, সিংড়া, বাগাতিপাড়া, গুরুদাসপুর এই পাঁচটি উপজেলায় কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে তদারকি এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন আদালত।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;