মেহেরপুরে চায়ের দোকানে আড্ডা বন্ধে কঠোর প্রশাসন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরে চায়ের দোকানে আড্ডা বন্ধে নির্দেশনা দিচ্ছে প্রশাসন

মেহেরপুরে চায়ের দোকানে আড্ডা বন্ধে নির্দেশনা দিচ্ছে প্রশাসন

করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্তির আশায় শিশু সমাবেশ ঘটিয়ে সিন্নি রান্না অনুষ্ঠান পণ্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া গ্রামে গ্রামে সমাবেশ আর চায়ের দোকানের আড্ডা বন্ধে কঠোর মেহেরপুর জেলা প্রশাসন।

রোববার (২২ মার্চ) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে তাস, ক্যারামবোর্ড খেলা ও আড্ডা বন্ধের কঠোর নির্দেশনা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই অভিযানে চালের মূল্য বৃদ্ধির দায়ে দোকানি ও সিন্নি রান্নার দায়ে দুই জনের কাছ থেকে সর্বমোট ১৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্তির আশায় মুজিবনগর উপজেলার শীবপুর গ্রামের বকুলতলা মোড়ে শিশুদের সমাবেশ ঘটিয়ে সিন্নি (খিচুড়ি) রান্না করছিলেন গ্রামের আহেল উদ্দীন ও রাহেলা খাতুন। এ অপরাধে তাদের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও সমাবেশ থেকে শিশুদেরকে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী হাকিম মোহা. ওসমান গনি।

অপরদিকে, চালের দর বৃদ্ধির দায়ে একই অভিযানে মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুরের তাপস স্টোর থেকে ৪ হাজার, গোপালনগর গ্রামের শাকিল স্টোর থেকে ২ হাজার এবং তুফান স্টোর থেকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া চায়ের দোকানের আড্ডা থেকে ক্যারামবোর্ড গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন
চা দোকানের ক্যারাম ঘর ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন

একই সময় গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের চায়ের দোকানের আড্ডা বন্ধ ও তাস, ক্যারাম বোর্ড খেলা বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম দিলারা রহমান।

চালের দর বৃদ্ধি ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার রাখার দায়ে হেমায়েতপুর বাজারের মুদি দোকানি মিঠু রহমানের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অপরদিকে হেমায়েতপুর বাজারের রবিউল ইসলাম বেশি দরে চাল বিক্রি করায় তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন দিলারা রহমান।

অভিযান তিনি বলেন, ‘শহর পর্যায়ে মানুষ সমাগম কমেছে অনেকটাই। গ্রামের চায়ের দোকানগুলোতে আড্ডা ও তাস ক্যারাম খেলায় লোক সমাগম হচ্ছে। এতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই এসব বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গ্রাম গ্রামে পুলিশের অভিযান চলছে।’