করোনাভাইরাস: মেহেরপুর প্রশাসন কঠোর হচ্ছে
-
-
|
জেলা প্রশাসক আতাউল গনির সভাপতিত্বে সভায় সিভিল সার্জন, পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন, ছবি: সংগৃহীত
করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপের দিকে যাচ্ছে মেহেরপুরের প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ। জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় চলছে নানা প্রস্তুতি। জেলা কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গরোধ (কোয়ারেন্টাইন)। জেলাগুলোতে কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব সভা ও আজকের সভায় জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোকপাত করা হয়। জেলা প্রশাসক আতাউল গনির সভাপতিত্বে সভায় সিভিল সার্জন, পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেহেরপুর জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ভবনগুলোতে ২০০ জনের সঙ্গরোধ (কোয়ারেন্টাইন) করা যায় এমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অপরদিকে গাংনী উপজেলার জন্য চৌগাছা ও বাঁশবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মুজিবনগর উপজেলার জন্য মুজিবনগর আদর্শ মহিলা কলেজ প্রস্তুত করা হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১০০ জনকে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়াও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিট ৫ বেড থেকে বাড়িয়ে ১৫ বেড করা হয়েছে। অপরদিকে গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ বেডের আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়াও হাসপাতালগুলোর অ্যাম্বুলেন্স ছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে মেহেরপুর পৌরসভার ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জনসমাগম হয় এমন সব জায়গায় মানুষকে সচেতন করছে আইনশৃঙ্খলা বিভাগ। একই সঙ্গে এ সব জায়গায় জনসমাগম রোধে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন।
জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রিয়াজুল আলম বলেন, সঙ্গরোধের (হোম কোয়ারেন্টাইন) বাইরে যদি প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গরোধ (কোয়ারেন্টাইন) প্রয়োজন হয় সেজন্য আগে থেকে আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করছি। এখনো পর্যন্ত জেলায় কেউ করোনা আক্রান্ত হয়নি। এমন পরিস্থিতির মধ্যে যেন আমাদের না পড়তে হয় সেজন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
