যানবাহনের চাপ নেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে
রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নৌরুট পারাপারের জন্য ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষমাণ থাকা এখানকার চিরচেনা রূপ। তবে করোনা পরিস্থিতিতে চিরচেনা এই রূপের বিপরীত চিত্র এখন পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে।
যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের চেয়ে অধিক পরিমাণে নৌরুট পারাপার হচ্ছে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেল। রাজধানী থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চাপ বেশি পাটুরিয়া ফেরিঘাটে। তবে বাস ও ট্রাক কম থাকায় ভোগান্তিহীন নৌরুট পারাপার হচ্ছে ঘাট এলাকায় আগত এসব যানবাহন।
সোমবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় যানবাহনের বাড়তি কোনো চাপ নেই। নৌরুটের উভয় ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষমাণ যানবাহনের দীর্ঘ কোনো লাইন নেই। ফেরিঘাট এলাকায় আসা মাত্রই নৌরুট পারাপারের সুযোগ পাচ্ছে বাস-ট্রাকসহ সকল প্রকার যানবাহন।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ছোট বড় মিলে ১৫টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ভাসমান মেরামত কারখানা মধুমতিতে রয়েছে বড় ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন। তবে সরকারিভাবে ১০ দিনের ছুটিতে নৌরুটে পারাপার হতে আসা যানবাহনের চাপ এক সঙ্গে বেড়ে গেলে কিছুটা ভোগান্তি হতে পারে বলে মন্তব্য করেন জিল্লুর রহমান।