রাজবাড়ীতে মধ্যরাতে শিলা বৃষ্টি
হঠাৎ করে রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলাতেই মধ্যরাতে প্রচুর শিলা বৃষ্টি পড়েছে। একেকটি শিলা আনুমানিক ১০০-৩০০ গ্রামের মতো হবে। দীর্ঘ সময় এক নাগাড়ে শিলা পড়ায় বরফের মতো সাদা হয়ে যায় পথ-ঘাট।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৩টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত বৃষ্টির মত পড়তে থাকে শিলা বৃষ্টি। শুধু শিল পড়ায় ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ঘুমন্ত মানুষ। এসময় জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ করে মধ্যরাতে এই শিলা বৃষ্টি মানুষের জন্য সতর্কবার্তা বলে মন্তব্য করেন অনেক মানুষ।
রাতেই অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এসকে লিজা নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী তার ব্যক্তিগত আইডিতে লিখেছেন- এটা আমি কি দেখছি। একদিকে করোনাভাইরাস অন্যদিকে আবার বড় বড় শিলা বৃষ্টি। আল্লাহ তুমি আমাদের রক্ষা ও হেফাজত করার মালিক। তুমি আমাদের রক্ষা কর।
মাত্র ১৫ মিনিট স্থায়ী এই শিলা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি অধিদপ্তর। বিশেষ করে পেঁয়াজ ও আমের ক্ষতি হবে সবচেয়ে বেশি। আমের ছোট ছোট গুটিগুলো শিলা বৃষ্টিতে ঝরে পড়েছে মাটিতে। মাঠের পেঁয়াজ-রসুনগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হবে এতে।
বালিয়াকান্দির বাসিন্দা সুইট বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমার ৩৫ বছরের জীবনে এতো বিকট শব্দ করে শিলা বৃষ্টি পড়া কখনো দেখিনি। হঠাৎ শব্দ ও মেঘের গর্জন শুনে ঘুম ভেঙে যায় আমাদের পরিবারের সবার। এ সময় বাড়ির মুরব্বিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা জামে মসজিদের পেশ ইমাম আবু সাঈদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, জানিনা এই বৃষ্টির মধ্যে আল্লাহর কোন রহমত বর্ষিত আছে কিনা। তবে শিলা বৃষ্টি মানুষের জন্য অভিশাপ। মানুষকে এখনই সাবধান হয়ে তওবা করতে হবে। কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: সাখাওয়াত হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই সময় শিলা বৃষ্টি পড়া মানে আম ও পেঁয়াজ-রসুনের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হওয়া। আমের গুটিগুলো সব নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।