করোনা: সচেতনতামূলক প্রচারণা শুধু শহরে, উপেক্ষিত গ্রাম
ঝিনাইদহে করোনা প্রতিরোধে প্রতিনিয়ত সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ নানা সামগ্রী। করা হচ্ছে মাইকিংও। তবে তা যেন সীমাবদ্ধ জেলা ও উপজেলা শহরেই। স্বাস্থ্য বিভাগের বার্তা পৌঁছাচ্ছে না গ্রামের মানুষের কাছে। যেখানে সব থেকে ঝুঁকিতে রয়েছে গ্রামের মানুষরাই।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের দেয়া তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত জেলার ৬ উপজেলায় ইতালি, চীন, ভারত থেকে ফেরত ৩৩২ জন প্রবাসীসহ তাদের পরিবারের ৫৪২ জনকে সঙ্গরোধে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ জনকে সঙ্গরোধে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদের অধিকাংশ মানুষের বাড়ি গ্রামে। কিন্তু সেই সব গ্রামে পৌঁছাচ্ছে না কোনো প্রচার বা নির্দেশনা। যেন উপেক্ষিত গ্রামের মানুষ।
সরেজমিনে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার একটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে একজন বিদেশ ফেরত ব্যক্তি সঙ্গরোধে থাকলেও তার বাড়ির পাশে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ৫ মণ দুধের পায়েস রান্না করে খাওয়ানো হচ্ছে। দেশব্যাপী সভা, সমাবেশ, সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সেটা জানেন না এই গ্রামের মানুষরা।
শৈলকুপার বিএলকে বাজারের ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম জানান, করোনারোধে গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কোনো কর্মসূচি নেই।
উমেদপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম জানান, টিভিতে, পত্রিকায় বা ফেসবুকে দেখি শহরে শুধু মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। গ্রামে করা হচ্ছে না কেন? বিদেশ ফেরতদের অধিকাংশ লোক গ্রামের। তাদের পরিবার ও প্রতিবেশীদের সচেতন করা প্রয়োজন।
এ বিষয়টি অস্বীকার করে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা জানান, শহরের পাশাপাশি গ্রামে গ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।