করোনার প্রভাব ও নদীতে মাছ ধরা বন্ধ, জেলেদের মানবেতর জীবনযাপন
একদিকে করোনার প্রভাবে চালসহ নিত্যপণ্যের দাম চড়া, অন্যদিকে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ, নেই কোনো আয়। এরপর আবার পাওয়া যায়নি প্রণোদনার চাল। এ কারণে চরম মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছে ভোলার জেলে পরিবারগুলো।
মূলত করোনার প্রভাবে ভোলায় নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
গত প্রায় ১ মাস ধরে জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত রয়েছে। এ কারণে মৎস্য বিভাগ থেকে একমাস আগে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে চাল পৌঁছে দেয়া হলেও জনপ্রতিনিধিদের গাফিলতির কারণে তা জেলেরা পায়নি।
জানা গেছে, ভোলা জেলার ৭০টি ইউনিয়ন ও ৫টি পৌরসভার ১ লাখ ৩২ হাজার ২২৬ জেলের মধ্য থেকে ৭০ হাজার ৯৪৩ জেলেকে ফেব্রুয়ারি-মার্চ-এপ্রিল-মে পর্যন্ত ৪০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা রয়েছে সরকারের। কিন্তু গত এক মাসে মাত্র ২১ হাজার জেলের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এখনো অধিকাংশ জেলে চাল না পাওয়ায় খেয়ে না খেয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
জেলে এরশাদ বলেন, ‘সরকার আমাগরে ৪০ কেজি করে প্রত্যেক মাসে চাউল দেয়ার কথা কইছে। এর লাইগা আমাগর জাইল্যা কার্ড নিয়া গেছে। কিন্তু এহনো চাউল দেয় নাই। হের পরে কী একটা ভাইরাস রোগ আইছে, যার লাইগা ১ টাকার চাউল ১১ টাকা অইয়া গেছে। ১২শ টাকার বস্তা ১৮শ টাকা অইছে।’
জেলে রহমান বলেন, ‘নদীতে গেলে কোস্টগার্ড ম্যাজিস্ট্রেট ধইরা লইয়া যায়। চাউলের দাম, সবজির দাম বাড়তি, তার উপর সমিতির কিস্তি আছে। অভাবের তাড়নায় অনেক জেলে সংসার থুইয়া, বউ-বাচ্চা ফালাইয়া পালাইয়া গেছে।’
এ বিষয়ে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, জেলেদের মাঝে যেন দ্রুত চাল বিতরণ করা হয় সে ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।