ঝুঁকি নিয়ে গ্রামে আসছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ
করোনাভাইরাস রোধে সরকার ছুটি ঘোষণা করায় বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। এছাড়া সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও তা উপেক্ষা ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন তারা।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ি ঘাট সূত্র জানায়, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় মঙ্গলবার রাত থেকে ফেরিতে পার হচ্ছেন মানুষ। করোনার আতঙ্ক উপেক্ষা করেই বাড়ি ফিরেছেন তারা। বর্তমানে গাড়ি ও যাত্রী পার করতে ১৬টি ফেরির মধ্য ১৩টি সচল রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকলেও ফেরি চলাচল অব্যাহত আছে। এতে সীমিত আকারে কিছু গাড়ি পার হচ্ছে। সব বাঁধা উপেক্ষা করে আজও করোনার ঝুঁকি মাথায় নিয়েই ঢাকা ছাড়ছেন তারা। সকাল থেকেই এই নৌরুটে ঘরমুখী মানুষের ভিড় লেগে আছে। ফেরি থেকে নেমেই যে যার মত করে ট্রাকে, পিকআপে বা ট্রাকের ছাদে বাড়ি ছুটছেন । পুলিশ একদিক দিয়ে সরাচ্ছেন অন্য দিক থেকে আবার ট্রাকে চড়ে বাড়ির দিকে ছুটছেন রাজধানী ছেড়ে আসা মানুষ। ঘরে ফেরা মানুষের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে করোনা প্রতিরোধে পুলিশের নেওয়া সব পদক্ষেপ।
ঢাকা থেকে বরিশালগামী যাত্রী মাসুদ বলেন, ট্রাকে যামুনা কিসে যামু? বাড়িতে তো যাওয়া লাগবো। তাছাড়া ঢাকা থেকে যদি গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিতো তাহলেতো আমরা এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলীম বলেন, শিমুলিয়া ঘাটে গাড়ি ও যাত্রীদের চাপ অনেক। আমরা ১৩টি ফেরি চালু রেখেছি। যাত্রী পারাপার হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে। তবে পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পার হচ্ছে।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মো. আবির হোসেন বলেন, আজ মধ্যরাত থেকে গণপরিবহন বন্ধ তবুও ঢাকা থেকে যে কোনোভাবে কিছু লোক নদী পার হয়ে এপার আসতেছে। যেহেতু গণপরিবহন বন্ধ, তাই অনেকে তাড়াহুড়ো করে অনেক সময় ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছেন। এসব বন্ধে পুলিশ তৎপর আছে।