তথ্য গোপন করে আড়ালে ২৫৬ বিদেশি, খুঁজছে পুলিশ

  • মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য গোপন করে আড়ালে ২৫৬ বিদেশি, খুঁজছে পুলিশ

তথ্য গোপন করে আড়ালে ২৫৬ বিদেশি, খুঁজছে পুলিশ

দেশে চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত ১৬ দিনে কক্সবাজারে এসেছে ২৫৬ বিদেশি নাগরিক। যাদের আসার তথ্য থাকলেও তাদের অবস্থানের সন্ধান পাচ্ছে না পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, সম্প্রতি তারা বিদেশ থেকে ফিরে কোয়ারেন্টাইনে থাকার তথ্য না দেওয়ায় তাদের চিহ্নিত করার কাজ করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ দিনে ২ হাজার একশ ৮৭ জন প্রবাসী কক্সবাজার এসেছেন। যাদের মধ্যে অনেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এদের সঙ্গে আসা ২৫৬ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। যারা গত ১৬ দিনের মধ্যে বাইরে থেকে কর্মস্থলে এসে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা থাকলেও তারা সেটা মানছেন না। আর পুলিশের কাছ থেকে তথ্য গোপন করে বেড়াচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কক্সবাজার আসার পর ২৫৬ বিদেশিকে অন্তত ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা ছিল। কিন্তু তারা সেটা না করে চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আবার বেশিরভাগ বিদেশি নাগরিক তাদের অবস্থানের তথ্য গোপন করছেন। তাই তাদের চিহ্নিত করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, এনজিও আইএনজিওগুলো দাম্ভিকতা দেখিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। এসময় তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা থাকলেও এসব বিদেশি কক্সবাজার ও ক্যাম্পে দিব্যি ঘুরছেন নিজেদের মতো করে।

বিজ্ঞাপন

কক্সবাজার পিপলস ফোরামের মূখপাত্র এইচ এম নজরুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বিদেশিরা দল বেঁধে এখন চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যাচ্ছে তাদের অফিসের গেইটে জটলা বেদে গল্প করছে। যেখানে সরকার দেশের সকল জনগণকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে সেখানে তারা কি করে বাইরে থাকে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে সমস্ত বিদেশি নাগরিক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। যদি কেউ কোয়ারেন্টাইনে না মেনে থাকে বা প্রশাসনকে তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য না দেয় তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত যে, কক্সবাজার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এক নারীর। আর হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪১২ জন, কোয়ারেন্টাইনে শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৭১ জনকে। লকডাউন করা হয়েছে চারটি বাড়ি।