কুমিল্লা ইপিজেডে করোনা ঝুঁকিতে ১০ হাজার শ্রমিক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের কারখানা চালু রেখেছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছেন এসব কারখানার অন্তত ১০ হাজার শ্রমিক।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে। এছাড়া, করোনা ঠেকাতে সরকার গ্রহণ করেছে নানা কঠোর পদক্ষেপ। তবে এসবের পরও কুমিল্লা ইপিজেডে এখনো চালু রয়েছে বেশ কয়েকটি কারখানার কার্যক্রম। এতে এসব কারখানার শ্রমিকরা পড়েছেন করোনা ঝুঁকিতে।
শনিবার (২৮ মার্চ) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) কাদেনা স্পোর্টস ওয়্যার, নাসা, চিংচাং, বারিধি (বি-টুপি) গ্রুপের কারখানাসহ আরো কয়েকটি কারখানা চালু রয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শ্রমিক জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবস ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিলো। আজ শনিবার করোনা ঝুঁকির মধ্যেই কারখানা খোলা। প্রতিষ্ঠান থেকে কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের ফোনে ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয়েছে আজ শনিবার কারখানা চালু থাকবে। সবাই যেন নির্দিষ্ট সময়ে কারখানায় চলে আসে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে অন্তত ৫ জন শ্রমিক জানান, সারাদেশে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও আমাদেরকে প্রতিদিনই অফিসে যেতে হচ্ছে। শুক্রবার আমাদেরকে বার্তা পাঠানো হয়েছে, শনিবার কারখানায় আসার জন্য। আমরা এখন চলমান ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছি।
তবে এসব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা ইপিজেডের কাদেনা স্পোর্টস ওয়্যার কোম্পানির পরিচালক আবদুল মাজেদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলেন, বেপজা থেকে এসব কারখানা বন্ধ রাখা বা না রাখার বিষয়ে কোন নোটিশ দেওয়া হয়নি। তাই কারখানা চালু আছে। তবে আজই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।