মাস্ক বিক্রি করে সংসার চলে মিলন দাসের
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সারা দেশে মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে এর বিক্রিও। অনেকে আবার মাস্ক বিক্রি করে সংসারও চালাচ্ছেন। তেমনি একজন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মশান বাজারের মাস্ক বিক্রেতা মিলন দাস।
ধুলাবালি থেকে বিরত থাকুন, মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন, ধুলাবালি থেকে পরিষ্কার থাকতে মাস্ক ব্যবহার করুন, নেন নেন মাস্ক নেন। মাত্র ২০ টাকা আর ৩০ টাকায়। শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মশান বাজারে এভাবেই হেঁটে হেঁটে মাস্ক বিক্রি করছিলেন মিলন ।
তিনি বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে এবং করোনাভাইরাস রোধে মাস্ক ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে।
তাই আমি পায়ে হেঁটে হেঁটে মানুষের দ্বারে দ্বারে মাস্ক বিক্রি করছি। স্বল্প মূল্যের এ মাস্কগুলো গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলোর উপকারে আসছে বলেও জানান তিনি।
মিলন দাস বার্তা২৪.কম-কে বলেন, মশান বাজারে আমার একটা ছোট জুতার দোকান আছে। সেখানে জুতা সেলাই করে সংসার চালায়। কিন্তু করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সংসার চালানোর জন্য কোনো উপায় না থাকায় আমি এই মাস্ক বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেই। তাছাড়া এই বাজারে কেউ মাস্ক বিক্রি করে না। তাই ভাবলাম মানুষের উপকারও হলো আবার আমার সংসার চালানোর জন্য কিছু উপার্জনও হলো।
মনিরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা জানান, আমার নিজের ব্যবহারের মাস্ক আছে বাবার জন্য ৩০ টাকা দিয়ে একটা মাস্ক নিয়ে নিলাম।
বাদশা নামের এক বাদাম বিক্রেতা বলেন, মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে মাস্ক ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে তাই ২০ টাকা দিয়ে একটা মাস্ক কিনলাম।
এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েন দিনমজুর খেটে-খাওয়া মানুষগুলো।