'আমার ঘরে আমার স্কুল' প্রোগ্রামে খুশি সবাই

  • সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

এই প্রোগ্রামটি চালু হওয়ায় রাজবাড়ীর শিক্ষার্থীরা বেশ খুশি ও আনন্দিত, ছবি: বার্তা২৪.কম

এই প্রোগ্রামটি চালু হওয়ায় রাজবাড়ীর শিক্ষার্থীরা বেশ খুশি ও আনন্দিত, ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনাভাইরাসের থাবায় বিপর্যয় নেমে এসেছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায়। ভাইরাস আতঙ্কে ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা স্তর মিলিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর সরাসরি ক্ষতি হচ্ছে এ অচলাবস্থার কারণে।

তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের রেকর্ড করা ক্লাস টেলিভিশনে প্রচার করার।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টা থেকেই সংসদ টিভিতে মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে 'আমার ঘরে আমার স্কুল'।

এই প্রোগ্রামটি চালু হওয়ায় রাজবাড়ীর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বেশ খুশি ও আনন্দিত। এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী উল্লেখ করে তারা সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিন বালিয়াকান্দির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়ে দেখা যায়, তারা বই-খাতা-কলম নিয়ে টেলিভিশনের সামনে বসে আছে।

বালিয়াকান্দি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাজী জীম তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, 'অনেক দিন হলো স্কুল বন্ধ। পড়ালেখা খুব একটা হচ্ছেনা। স্কুলের পড়ার চাপ না থাকলে বাসায় পড়তে মন চায়না। আমার ঘরে আমার স্কুল নামে যে প্রোগ্রামটি সরকার চালু করেছে তাতে আমাদের বেশ উপকার হবে। প্রতিদিন বইয়ের সাথে দেখা হবে'।

অভিভাবক মোস্তফা হোসেন বলেন, সরকার যে উদ্যোগটি নিয়েছেন তা যুগোপযোগী। স্কুল বন্ধ থাকায় ছেলে মেয়েরা তো বই নিয়ে বসতেই চায়না। এটা খুব কাজে লাগে ওদের।

বালিয়াকান্দি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দিন মোল্লা বার্তা২৪.কমকে বলেন, দীর্ঘ সময় স্কুল ছুটি থাকলে শিক্ষার্থীরা বাসায় খুব একটা বইমুখী হতে চায়না। সরকার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে আমরা মনে করে এটা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। এতে শিক্ষার্থীরা খুবই উপকৃত হবে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী এজাজ কায়ছার বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমার ঘরে আমার স্কুল প্রোগ্রামটি প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলবে। এটি পুন:প্রচার হবে দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। প্রতিদিন ৬ষ্ট থেকে নবম শ্রেণির ২টা বিষয়ে ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, এই ক্লাস দেখে শিক্ষার্থীরা বাড়ির কাজ করে স্কুল খোলার পর তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে। বাড়ির কাজের উপর প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক।