জনসমাগম এড়াতে টহলে সেনাবাহিনী, স্বস্তিতে লক্ষ্মীপুরবাসী
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনসমাগম এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে লক্ষ্মীপুরে সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। জেলার অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতেও সেনাবাহিনীর টহল টিম দেখে স্বস্তিতে রয়েছেন এলাকাবাসী।
রোববার (২৯ মার্চ) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরে কাঁচা বাজার, চক বাজার, তমিজ মার্কেট, গোডাউন রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে।
এদিকে টহল চলাকালীন দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে ক্রেতাদের জন্য গোলবৃত্ত এঁকে দিচ্ছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে পথচারী ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। লিফলেটগুলোতে সচেতনতামূলক নির্দেশনাগুলো পড়ে মানুষকে বুঝিয়ে দিতেও দেখা গেছে। করোনা রোধে বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে জীবাণুনাশক স্প্রে করছে সেনাবাহিনীর টহল টিম। মাইক হাতেও সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে সঙ্গরোধ নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিচ্ছেন তারা।
অন্যদিকে দিনমজুরদের জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকার লক্ষ্মীপুরের জন্য ১০০ টন চাল ও ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইতোমধ্যে ত্রাণের চাল দিনমজুরদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিতরণ শুরু হয়ে গেছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় লক্ষ্মীপুরে ৮৪ জন সঙ্গরোধের তালিকায় যোগ হয়েছে। বর্তমানে ৫৬২ জন সঙ্গরোধে আছে। এর মধ্যে একজনকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সঙ্গরোধের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ৮৪৫ জনকে ছাড়পত্র দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ জেলায় রোববার পর্যন্ত ১ হাজার ৪০৭ জন সঙ্গরোধের তালিকায় ছিলেন।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সমেসেরাবাদ এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী কাউসার হোসেন বলেন, ‘ভাইয়ের ছেলেমেয়েকে নিয়ে গেইটের বাইরে বের হতেই সেনাবাহিনীর টহল টিমের দেখা পেয়েছি। আমাকে দেখে গাড়ি থামিয়ে বাচ্চাদের নিয়ে বাসার ভেতরে চলে যাওয়ার জন্য বলেছে তারা। বিষয়টি খুব ভালো লেগেছে।’
লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল ইসলাম বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া অন্যসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সঙ্গরোধ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে নিয়ে আমরা নিয়মিত টহল দিচ্ছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটাসহ জনসচেতনতামূলক নির্দেশনা দিয়ে প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। প্রয়োজনবোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হচ্ছে। ওষুধ ও দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে।’