ঘরমুখো মানুষের চাপ কমেনি পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে!
করোনার বিস্তার রোধে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। ব্যস্ততম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের উভয় ফেরিঘাট এলাকা যানবাহন শূন্য। জরুরি পণ্যবাহী যানবাহনগুলো ঘাট এলাকায় আসা মাত্রই সুযোগ পাচ্ছে নৌরুট পারাপারের। তবে ফেরিঘাট এলাকায় চাপ কমেনি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষদের।
যানবাহনের চাপ কম থাকায় নৌরুটে ফেরি চলাচল করছে সীমিতভাবে। মহাসড়কেও বন্ধ গণপরিবহন। তবে ট্রাক, প্রাইভেট কার ও পিকআপ ভ্যানে করে নানান কৌশলে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা হয়ে বাড়ি যাচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার হাজার হাজার মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ এ যাত্রায় পিছিয়ে নেই নারীরাও।
রোববার (২৯ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় এমন চিত্রই দেখা যায়। যানবাহনের চাপ না থাকায় নিরবতায় স্তব্দ পুরো ঘাট এলাকা। খোলা নেই ঘাট এলাকার কোনো দোকানপাট। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরও নেই তেমন আনাগোনা। তবে ফেরিঘাটের পন্টুন ভরপুর যাত্রীতে।
ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বাড়িতে যাতায়াতের বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিক যাত্রী জানান, গাবতলী ও সাভার এবং এর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাড়ি যাচ্ছেন তারা। মহাসড়কে গণপরিবহন না থাকায় গুণতে হয়েছে নির্ধারিত ভাড়ার কয়েক গুণ। কষ্টও হয়েছে সীমাহীন। করোনা ঝুঁকিও রয়েছে ব্যাপকভাবে। তবুও বাড়ি যাচ্ছেন।
সাভার থেকে পাটুরিয়া ঘাটে আসা এক প্রাইভেট কার চালক জানান, নিয়মিত ভাড়ায় প্রাইভেট কার চালান তিনি। লোকাল যাত্রী নিয়ে কখনোই ভাড়ায় যান না। তবে এখন যাত্রী সংকট। করোনা ইস্যুতে গাড়ি চালানোও বিপদ। তবে পরিবার আর বাড়ি ভাড়া যোগারের জন্য বাধ্য হয়েই প্রাইভেট কারে লোকাল যাত্রী বহন করছেন তিনি।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম (ভারপ্রাপ্ত) জিল্লুর রহমান জানান, জরুরি পণ্যবাহী যানবাহনগুলো পারাপারের জন্য সীমিতভাবে ফেরি চলাচল করছে। তবে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহনের চেয়ে মানুষের চাপ রয়েছে বেশি। প্রতিটি ফেরিই মানুষে ভরপুর। তবে যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য কয়েকটি ফেরিতে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।