সাভারে করোনা সন্দেহে ১ জনকে হাসপাতালে প্রেরণ
বর্তমান বিশ্বের আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। সারা পৃথিবীকে স্তব্ধ করে দিয়েছে এই ভাইরাস। গৃহবন্দী করে রেখেছে সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশের মানুষকেও। তবে আশার কথা হলো অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এই ভাইরাসে আক্রান্তের হার কম। যাদের সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টাইন) থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কোনো লক্ষণ না থাকায় তাদের অনেককেই ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। ঢাকার প্রবেশদ্বার সাভার ও ধামরাইয়ের মোট ৭৫ সঙ্গরোধ (হোম কোয়ারেন্টাইন) ব্যক্তিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩০ মার্চ) বিকেলে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা এবং ও ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর রিফফাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাভার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা সাভার উপজেলায় সচেতনতার বার্তা কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি, যা এখনো চলমান আছে। প্রাবাসী বাংলাদেশিদের খুঁজে প্রত্যেকের সঙ্গরোধ (হোম কোয়ারেন্টাইন) নিশ্চিত করেছি। করোনা রোধে উপজেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছেন। সাভারে ১৮৩ জন প্রাবাসীকে সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টাইন) রাখা হয়েছিলো। এদের মধ্যে ৭২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে এবং ১১১ জনকে এখনো সঙ্গরোধে রাখা হয়েছে। তবে গতকাল (২৯ মার্চ) রাতে সাভারের আমিন বাজার থেকে একজনকে করোনা সন্দেহে পরীক্ষার জন্য কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।
ধামরাই স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর রিফফাত জানান, ধামরাইয়ে প্রবাসীসহ ২০৮ জনকে সঙ্গরোধ (হোম কোয়ারেন্টাইন) করে রাখা হয়েছিলো। এদের মধ্যে সঙ্গরোধের মেয়াদ শেষ হলে তিনজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রবাসীসহ ২০৫ জন সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টাইন) আছে। তারা সবাই এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন।