নিয়ম মানছে না রিকশা চালকরা, তবুও সড়কে ত্রাণ বিতরণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
নিয়ম মানছে না রিকশা চালকরা, তবুও সড়কে ত্রাণ বিতরণ

নিয়ম মানছে না রিকশা চালকরা, তবুও সড়কে ত্রাণ বিতরণ

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া অন্যসব বন্ধ থাকার কথা থাকলেও রিকশা-অটোরিকশা চালকরা তা মানছে না। এক একটি রিকশায় ৩-৪ জন যাত্রী উঠতে দেখা গেছে । আবার সেই রিকশা চালকদেরকেই নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন পুলিশ প্রশাসন ও রাজনীতিবিদরা। এসময় খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সবাইকে বাড়ি চলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার দালাল বাজার এলাকায় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ড. এএইচএম কামরুজ্জামান দিনমজুরদের মাঝে নিত্য পণ্য বিতরণ করেন।

এদিকে লক্ষ্মীপুরে কর্মরত সরকারের শীর্ষ স্থানীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা রোববার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ত্রাণের জোয়ারে সঙ্গরোধ (কোয়ারেন্টাইন) গেল হারিয়ে। এতে অনেকেই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মন্তব্য লিখেন।

সচেতনদের ভাষ্যমতে, দেশের এই সংকট মুহূর্তে প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিরা খাদ্যসামগ্রী ও দায়িত্ব পালনে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন। তবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণে গণজমায়েত না করে কষ্ট করে হলেও দিনমজুরদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে দেওয়া গেলে ভালো হতে। এতে সঙ্গরোধ নিশ্চিত হবে।

অন্যদিকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জন চন্দ্র পাল দিনমজুরদেরকে নিজ কার্যালয় প্রাঙ্গণে তলব করে এনেছেন। রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে ৭৫ জন দিনমজুরের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। যদিও তিনি দিনমজুরদের নির্দিষ্ট দূরে রেখে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিষ্ক্রিয়তার সংবাদে খাদ্যসামগ্রী বিতরণে মাঠে নেমেছে এমপিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের এই ত্রাণ সামগ্রী দিতে গিয়ে জমায়েত সৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের রাস্তায় সঙ্গরোধের নিয়ম ভাঙা রিকশা চালক ও অসহায় নারীদেরকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছেন। কিন্তু মুখে মাস্ক থাকলেও কোনো নেতাকর্মীর হাতেই গ্লাভস দেখা যায়নি। এছাড়া সরকারি বরাদ্দের খাদ্যসামগ্রী দিনমজুরদের দিয়ে নিজ উদ্যোগে দেওয়া হচ্ছে বলে প্রচার করছেন জনপ্রতিনিধিরা।

তিনজন অটোরিকশা চালক জানায়, পেটের তাগিদে তারা বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামছেন। কাজে না নামলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। পেট তো আর লকডাউন বুঝে না।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, মানুষ সচেতন হলেই জনসমাগম ও অপ্রয়োজনে চলাচল বন্ধ করা সম্ভব। তা না হলে জেলা প্রশাসনের পক্ষে এটি রোধ করা কষ্টকর। তবুও জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন। সার্বক্ষণিক সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ টহল দিচ্ছে। নির্দেশনা অমান্যকারীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া বাস, ট্রাক, রিকশা, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, মুদি ও ফার্মেসির দোকান ছাড়া হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও চায়ের দোকানসহ অন্যসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;