করোনাভাইরাস: কুড়িগ্রামে রিকশা চালকদের আয় ৬০ টাকা
পরিবারে স্ত্রী সন্তানসহ আমরা ৫জন। করোনাভাইরাসের কারণে ঘর থেকে কেউ বের হন না। তাই যাত্রী নেই। দিন শেষে আয় হয় মাত্র ৫০-৬০টাকা। পুরো টাকাই চলে যায় অসুস্থ স্ত্রীর পেছনে। গত ১৫ বছর ধরে আমার স্ত্রী অসুস্থ। এতদিন যা আয় হতো তা দিয়ে কোনরকম সংসার চললেও করোনার কারণে এখন আর সংসার চলে না। মরণ ছাড়া পথ নেই।
এভাবেই আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন ৩ সন্তানদের বাবা মো. শমসের আলী (৪০)। তিনি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের জুম্মা পাড়া গ্রামের মৃত আঃ সাত্তার মিয়ার ছেলে।
সরকারি নির্দেশনায় কুড়িগ্রামে করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৫ম দিনের মতো শহর ও গ্রামাঞ্চলের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বিপুল সংখ্যক শ্রমজীবী মানুষ।
স্থানীয় মোঃ মাইনুল ইসলাম ও সৈকত বার্তা২৪.কমকে বলেন, শমসেরকে আমরা অনেক দিন যাবত চিনি। সে রিকশা চালিয়ে সংসার চালান। খুব কষ্ট করে চলেন। এখনতো রিকশার যাত্রীও নাই। এই সময়টাতে এ সব মানুষজনকে সহায়তা করা দরকার।
পাঁচগাছী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, এখনো কোনো বরাদ্দ পাই নাই গরিব দুস্থদের দেওয়ার মতো।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম জানান, নিম্ন আয়ের এবং কর্মহীন মানুষের তালিকা তৈরি করে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।