নরসিংদীতে পিকআপ-প্রাইভেট কারের দখলে মহাসড়ক
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী বাস বা গণপরিবহন, নৌপথ ও রেলপথ। ফলে দেশের অন্যতম ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর অংশটি দখলে নিয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা।
ঢাকাসহ আশপাশের এলাৃকায় যাতায়াত করতে গণপরিবহন না পেয়ে বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছেন নরসিংদীবাসী।
সোমবার (৩০ মার্চ) সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, গণপরিবহন না থাকায় নরসিংদীর বিভিন্ন স্ট্যান্ড থেকে কয়েকজন মিলে ভাড়া করেন একটি প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাস। এছাড়া মাধবদী, গাউছিয়া, সেখেরচর, ইটাখোলা, মনোহরদী, ভৈরব, শিবপুর বা আশপাশের এলাকায় যাওয়ার প্রয়োজন হলে স্ট্যান্ডে গিয়ে কয়েকজন যাত্রী মিলে ভাড়া করেন একটি সিএনজি। অবশ্য মহাসড়কে সিএনজি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও এ সময় অবাধে চলাচল করছে।
বিকেলে নরসিংদী শহরের ভেলানগর জেলখানা মোড়ে দাঁড়িয়ে দেখা যায় আগেকার সময়ের তুলনায় এখন রাস্তায় প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান ও সিএনজির অবাধ যাতায়াত। ফলে রাস্তা পারাপার যেন মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার মাঝে মাঝে দেখা যায় ২০ থেকে ২৫ জনের লোকবোঝাই পিকআপ ভ্যানের যাতায়াতও।
ভেলানগর প্রাইভেটকার স্ট্যান্ড গিয়ে কয়েকজন চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন বিকেলে গাড়ি চলাচল করছে। ভাড়া আগের তুলনায় কিছুটা বেশিও। কারণ, এ সময় রাস্তায় কোনো গণপরিবহন না থাকায় এসব ব্যক্তিমালিকাধীন গাড়ির উপর চাপ পড়েছে বেশ।
এছাড়া রোগী পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়ার মাধ্যমে সাধারণ জনগণ যাতায়াত করতে দেখা গেছে। আবার এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো ডেকে ডেকে ভাড়া চুক্তির মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনেরও অভিযোগ রয়েছে একাধিক।
এ বিষয়ে নরসিংদী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আবু কাউছার সুমন জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসটি হাঁচি, কাশি বা থুথুর মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। এর জন্য সরকার গণপরিবহন নিষিদ্ধ করেছে। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনা না মানলে হয়তো কেউ আক্রান্ত হতেও পারে। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে একটি গাড়িতে একাধিক লোক যাতায়াত ঠিক নয়।’