হাটে পড়ে থাকে করলা, আসেন না মহাজন



নাইমুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাটোর
করলার হাট/ ছবি: বার্তা২৪.কম

করলার হাট/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের খরসতি গ্রামে চাষ হয় বিপুল পরিমাণ করলা। গ্রামের শতকরা ৯৫ জন মানুষ করলা চাষ করেন। প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই ক্ষেতের করলা তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন চাষিরা। ক্ষেত থেকে তোলা করলা ডালাভর্তি করে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয় স্থানীয় খরসতি ঈদগাহ মাঠে। তবে এখানেই থমকে যায় কৃষকের সকল চেষ্টা।

উপজেলা সদর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরের এই বাজারে আসার ৩ কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দে পরিপূর্ণ হওয়ায় আসতে চান না কোনো মহাজন। তাই গ্রামের করলা পড়ে থাকে হাটে। দিনশেষে দাম পান না কৃষক। করোনা পরিস্থিতি আরও কমিয়ে দিয়েছে করলার বিক্রি।

চাষিদের দাবি, যোগাযোগ ব্যবস্থা যখন ভালো ছিলো তখন এই হাট থেকে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মণ করলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতেন তারা। তখন বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা করলা কিনে নিজস্ব যানবাহনে নিয়ে যেতেন। বরাবরের মতো এখনও গ্রামটিতে করলার বাম্পার ফলন হলেও যোগাযোগ অবকাঠামো ভেঙ্গে পড়ায় উৎপাদিত করলার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত চাষিরা।

উপজেলা কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে সিংড়ার ৭০ হেক্টর জমিতে করলার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে শুধু খরসতি গ্রামেই ২৫ হেক্টর জমিতে করলার আবাদ হয়েছে। করলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৪০ মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

খেত থেকে তোলা হচ্ছে করলা/ছবি: বার্তা২৪.কম

খরসতি গ্রামের করলা চাষিরা জানান, পরিচর্যা ও কীটনাশকসহ এক বিঘা জমির করলা আবাদে খরচ হয় ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ৫০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করা যায়। কিন্তু যাতায়াতের রাস্তা ভালো না থাকায় প্রায় অর্ধেক দামে স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে করলা বিক্রি করতে হয়। পাইকাররা না কিনলে করলা ক্ষেতেই পচে নষ্ট হয়।

করলা চাষি বাবু সরদার বলেন, গ্রামটি করলা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও যোগাযোগ ও বিপণন ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। তাছাড়া করলা বিক্রির কোনো সুনির্দিষ্ট বাজার নেই ঈদগাহ ছাড়া। এতে ন্যায্যমূল্য পাই না আমরা।

করলা চাষি ফরিদ উদ্দীন বলেন, শুধু রাস্তার কারণে আমরা করলার দাম পাই না। বাইরের থেকে দু-একজন মহাজন এলেও মণপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কমে করলা বিক্রি করতে হয়। না দিলে আর বিক্রি হয় না করলা।

নওগাঁর পাইকারি ব্যবসায়ী মজিবর রহমান বলেন, রাস্তা খারাপ, তাই করলা নিতে বেশি ভাড়া দিয়ে গাড়ি আনতে হয়। মাত্র তিন কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ হলেই আমাদের কষ্ট কমে যাবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস জানান, সিংড়া উপজেলা সদর থেকে ১৩ কিলোমিটার রাস্তার মাত্র ৩ কিলোমিটারের বেহাল দশার কারণে কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের তাগিদ দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, খরসতি গ্রামে করলার চাষ তুলনামূলক বাড়ছে প্রতি বছর। কৃষকরা যেনো তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পান সেই লক্ষ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;