ভোগান্তি নিয়েই ঘরমুখো মানুষ
করোনা সংক্রামণ ঠেকাতে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে সরকার। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর সারাদেশের ন্যায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কেও বন্ধ হয়ে যায় বাস চলাচল। এরপর ট্রাক ও পিকআপে চাপ বাড়তে থাকে ঘরমুখো মানুষের।
স্থানীয় প্রশাসনের নজরদাড়িতে ট্রাক-পিকআপে যাত্রী বহন বন্ধ হলেও মোটরসাইকেল এবং প্রাইভেটকারে করে বাড়ি যাচ্ছে দূরপাল্লার যাত্রীরা। আর কাছাকাছি যাত্রীদের নিয়ে মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রিকশা ও ভ্যান চালকেরা। প্রশাসনের কড়া নজরদাড়ির পরেও থেমে নেই ঘরমুখো মানুষের যাত্রা। অনিরাপদ যাত্রা জেনেও পরিবারের কাছে যেতে ব্যস্ত ঘরমুখো মানুষেরা।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায় সরেজমিনে। জরুরি প্রয়োজনে নানা ভোগান্তির পরও বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা বলে মন্তব্য যাত্রীদের। আর পারিবারিক চাহিদার কারণেই ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে যাত্রীদের নিয়ে যাত্রা বলে জানান চালকেরা।
মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক বলেন, ছোটখাটো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন তিনি। দীর্ঘ কয়েকদিন ধরে তার দোকান বন্ধ। বাড়িতে মা-বাবা ও তার নিজের পরিবার মিলে মোট সদস্য সংখ্যা সাত জন। তবে থেমে নেই কারো মুখের আহার। তাই শখের মোটরসাইকেল নিয়ে মহাসড়কের নবীনগর থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত যাত্রী বহনে রাস্তায় নেমেছেন তিনি।
মহাসড়কের গোলড়া এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে আটকে যাওয়া এক প্রাইভেটকার যাত্রী রুমানা ইসলাম জানান, ধামরাইয়ের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরে ভাড়া বাড়িতে একা রয়েছেন। আরও কতোদিন দেশের অবস্থা এমন থাকে তারও ঠিক নেই। আর আশেপাশের সব ভাড়াটিয়া বাড়ি চলে যাওয়ায় তিনি যাচ্ছেন বলে জানান।
চেকপোস্টে দায়িত্বরত সাটুরিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, পাটুরিয়া ফেরিঘাটমুখী প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল যাত্রীর প্রচুর চাপ মহাসড়কে। ভাড়ায় আসা প্রাইভেটকার এবং মোটরসাইকেল থেকে যাত্রী নামিয়ে গাড়িগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবুও ঘরমুখো মানুষের চাপ রয়েছে বলে জানান তিনি।