করোনার মাঝেও টেকনাফ স্থলবন্দরে টার্গেটের কাছাকাছি রাজস্ব আদায়
করোনাভাইরাসের মাঝেও মার্চ মাসে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দরে মাসিক টার্গেটের কাছাকাছি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
রাজস্ব আদায়ের এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা বিকাশ কান্তি বড়ুয়া।
তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের মার্চ মাসে ৪১৯ টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ১৩ কোটি ৩৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এই মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কতৃক মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ১৩ কোটি ৫৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা। যা মাসিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা কম আদায় হয়েছে। এই মাসে মিয়ানমারের প্যে আমদানি হয়েছে ৯০ কোটি ৮৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকার। এরমধ্যে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১১ হাজার ৪৭৩ মেট্রিক টন। আমদানিকৃত পেয়াঁজ থেকে কোন রাজস্ব আদায় হয়না। এছাড়া শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে মিয়ানমারের ২ হাজার ৭৫৬টি গরু, ১ হাজার ৬৬৬টি মহিষ আমদানি করে ২২ লাখ ১১ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
অপরদিকে মিয়ানমারে রফতানি হয়েছে বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ১ কোটি ৬৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকার দেশীয় পণ্য।
তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসের প্রভাব বন্দরেও পড়েছে। গত মাসে পেঁয়াজের পাশাপাশি পণ্য আমদানি একেবারে কমে গেছে। বর্তমানে সাধারণ ছুটির মাঝেও শুধু মাত্র নিত্য পণ্য আমদানির লক্ষ্যে সীমিত আকারে বন্দর চালু রাখা হয়েছে। গত কয়েকদিনে পেঁয়াজ ও আদা আমদানি হয়েছে। এই ভাইরাসের প্রভাব কেটে না যাওয়া পযর্ন্ত আমদানি ও রফতানি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভবনা নেই বলে জানান তিনি।