করোনা-মশা নিধনে মেহেরপুরে দিনরাত কাজ করছেন তারা
মেহেরপুর পৌরসভার ৮ জন কর্মীর একটি দল। বিশেষ পোষাকে তারা জরুরি কাজে নিয়োজিত। এ দলটি দিনের বেলায় করোনা মোকাবিলায় সারা শহরে জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন, আর রাতে চলছে তাদের মশক নিধন কর্মসূচি। প্রাণঘাতী করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে অনেকটাই নির্ঘুম কাটাচ্ছেন তারা। এই কাজগুলো বেশ ঝুঁকি থাকায় সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে পরিবারের সঙ্গে থাকছেন না তারা। এরপরও তারা খুশি দেশের জন্য কিছু করতে পেরে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। পৌরসভার পিকআপ ভ্যানে কয়েকটি পানির ট্যাংকযুক্ত করে তাতে ব্লিচিং পাউডার ও অন্যান্য জীবাণুনাশক মিশিয়ে সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনায় স্প্রে শুরু হয় ৮/১০ দিন আগে থেকে। পৌর গোরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক জয়নাল আবেদীন, হারুন-অর রশিদ, কালু মিয়া, আবুল হোসেন, মিনারুল ইসলাম, জালাল উদ্দীন, পৌর ঈদগাহের তত্ত্বাবধায়ক কাহিরুল ইসলাম ও জামিল হোসেন এ দলের সদস্য। তাদের সাথে রাত দিন কাজ করছেন পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন নিজেই ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাপ্পি।
দলনেতা জয়নাল আবেদীন বলেন, দেশের মানুষের প্রয়োজনে কিছু করতে হবে মেয়রের এমন অনুপ্রেরণায় আমরা মাঠে নেমেছি। সকাল ৮টা থেকে জীবাণু নাশক স্প্রে শুরু করি। সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রধান সড়ক, অলিগলি, গুরুত্বপূর্ণ অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে স্প্রে সম্পন্ন করা হয়। আর সন্ধ্যা থেকে ডেঙ্গুর জন্য ওষুধ স্প্রে করছি গভীর রাত পর্যন্ত।
৮নং ওয়ার্ড বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, শুধু সড়কে নয় অনেক বাড়িতেও স্প্রে করে দিচ্ছে পৌরসভা।
এ দলের কাজের তদারকি করেন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আবু আব্দুল্লাহ বাপ্পি। এ দলের সাথে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে তিনি দল পরিচালনা করছেন। এ প্রসঙ্গে সৈয়দ আবু আব্দুল্লাহ বলেন, মেয়র আমাকে বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছেন। তা পালনের মধ্য দিয়ে দেশের জন্য কিছু করতে পারছি বলে মনে হয়। এটাই আমার গর্ব। তবে আমাদের পরিবারের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে রাতে পরিবার থেকে আমরা আলাদা থাকি।
শুধু কাউন্সিলরই নয় মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন নিজেও এ স্প্রে হাতে করে সড়কে নামেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, আমাদের শহর যদি আমরা জীবাণু মুক্ত রাখতে পারি তাহলে পৌরবাসী নিরাপদে থাকবেন। মানুষকে নিরাপদ রাখতে আমার পক্ষ থেকে এসব কাজ অব্যাহত থাকবে।