পেঁয়াজ বাজার নিয়ন্ত্রণে মার্কিং পয়েন্ট ও কন্টোলরুম স্থাপন
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধ করতে পেঁয়াজ ও রসুন বিক্রেতা এবং আড়তদাররা যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রেখে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারে সেই লক্ষ্যে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন ও বাজার মনিটরিং কমিটি সীমানা নির্ধারণ ও কন্টোলরুম স্হাপন করবে।
এরই মধ্যে জনসমাগম এড়াতে পেঁয়াজের বাজারকে স্থান্তরিত করে বালিয়াকান্দি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে নিয়ে এসেছেন বাজার মনিটরিং কমিটি।
শনিবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ৫-৬ জন চৌকিদার সামাজিক দূরত্বের সীমানা নির্ধারণের জন্য কাজ করছে। কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কিনা সেটি পরিদর্শনে এসেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম হেদায়েতুল ইসলাম। এ সময় উপস্হিত ছিলেন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও বাজার মনিটরিং কমিটির সভাপতি নায়েব আলী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
সামাজিক দূরত্বে সীমিনা নির্ধারণের কাজে দায়িত্ব থাকা উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের কার্যসহকারি মো: নুরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, পেঁয়াজ বিক্রেতাদের জন্য ১০ ফুট দূরত্বের ১০০ টি এবং আড়তদার জন্য লম্বা ৩০ ফুট এবং চওড়া ২০ ফুট দূরত্বের ২০ টি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বার্তা২৪ কমকে বলেন, বালিয়াকান্দিতে পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি। পেঁয়াজ বিক্রি করা একেবারে বন্ধ করে দিলে এ অঞ্চলের কৃষক মারাত্বক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই কৃষকদের কথা চিন্তা করে প্রথমেই পেঁয়াজ বাজারকে স্হান্তারিত করে নিয়ে এসেছি। বাজার সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা হওয়ার জন্য একটি কন্টোলরুম স্হাপন করা হয়েছে। একাজে দুজন স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করবে।
প্রতিটি মার্কিং পয়েন্টের সাড়িতে একজন করে চৌকিদার দায়িত্বে থাকবে। সে তার সারিতে শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত থাকবে।