নৃত্য প্রতিযোগিতায় যশোরে সেরা প্রত্যুষা ঘোষ
দেশব্যাপি ৬৪ জেলার ক্ষুদে নৃত্য শিল্পীদের নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত নৃত্য প্রতিযোগিতায় যশোর জেলার শ্রেষ্ঠ নিত্য শিল্পী হিসেবে 'মঞ্চমুকুল' পুরস্কার পেলেন প্রত্যুষা ঘোষ (স্নেহা)। সারাদেশের প্রতিটি জেলার ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের নিয়ে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশন আয়োজিত 'মঞ্চকুঁড়ি ও মঞ্চমুকুল' পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত হয়ে পুরস্কার তুলে দেন পিপলস থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘প্রায় সবদেশেই শিশুদের নিয়ে নাটক হয়। আজকে সারা বিশ্বে যে শিশু নাটক হচ্ছে সেখানে আমরা অংশগ্রহণ করছি ১৯৯০ সাল থেকে। জার্মানিতে একটি নাট্যোৎসবে ‘ডাকঘর’ নাটকটি নিয়ে আমরা অংশগ্রহণ করেছিলাম। ২৫ দেশ সেখানে অংশগ্রহণ করেছিল। ৪ জন জুরি মেম্বার মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ করেন। নাটক ভালো লাগে এমন ৫/৭টি দেশের কথা বলেছিলেন তারা; তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।’
জানা গেছে, ২৬২টি শিশু-কিশোর, আদিবাসী ও অবহেলিত শিশু-কিশোর ও যুবনাট্য সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশন বিগত ৩৩ বছর যাবত নানান কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নাট্যশালায় অনুষ্ঠিত হয় ‘মঞ্চকুঁড়ি’ ও ‘মঞ্চমুকুল’ পদক প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবারে সারা বাংলাদেশ থেকে মোট ৩৯০ জনকে ‘মঞ্চকুঁড়ি’ ও ‘মঞ্চমুকুল’ পদক প্রদান করা হয়।
দেশব্যাপি প্রতিটি জেলার থানা পর্যায়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংগীত শিল্পী, নাট্য শিল্পী ও নৃত্য শিল্পীদের বাসাই করা হয়। বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রতিটি থানা থেকে নির্বাচিতদের নিয়ে জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় বাছাই প্রক্রিয়া। সব প্রক্রিয়া সম্পন্নের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যটাগরিতে সারাদেশ থেকে ৩৯০ জনকে নির্বাচিত করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
অনুষ্ঠানে সারাদেশের ৬৪ জেলা থেকে নির্বাচিত প্রায় ৩৯০ শিশু-কিশোরদের 'মঞ্চকুঁড়ি' এবং যুব নাট্যবন্ধুদের 'মঞ্চমুকুল' পদক প্রদান করা হয়।
অনুর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের 'মঞ্চকুঁড়ি' এবং ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের 'মঞ্চমুকুল' পদক এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
আলোচনা পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নাট্যকার, গবেষক এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহফুজা হিলালী। অতিথির বক্তব্য রাখেন পিপলস থিয়েটারের সংগীতের প্রধান শিক্ষক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসমীন আলী। শিশুদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সামিয়া মুত্তাকিয়া মহুয়া ও পুষ্পিতা বেপারী। আলোচনাপর্বে সভাপতিত্ব করেন পিপলস থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক শিশুবন্ধু লিয়াকত আলী লাকী।