সেই আলোমানুষের অপেক্ষা



তানিয়া চক্রবর্তী
অলঙ্করণ: কাজী যুবাইর মাহমুদ

অলঙ্করণ: কাজী যুবাইর মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিস্থিতি এখন খুব সুখের নয় তবু আশা, যেমন দিন ছিল তেমন নিশ্চয়ই ফিরে আসবে। সে তো আসবেই, যে ভারসাম্যের তাগিদে এই প্রকৃতিব্যাপী হেলদোল শুরু হলো সে তো ভারসাম্য আনবেই কিন্তু কথা হলো এই অজস্র জনজীবন, এই অজস্র ক্ষতির পূরণ কী হবে? যদি তা অপূরণীয় হয় তবে ধরে নিতে হবে তা সাজা—আর সেই সাজার মধ্যে ক্রমাগত কাটিয়ে আমরা কি জীবনের সুচারু রূপকে ধারণ করতে সক্ষম হব নাকি সব ফিরে পাওয়ার উল্লাসে আবার মানুষরূপী রাক্ষসে পরিণত হব পুনরায়! যদি হয়েও যাই তাতে প্রকৃতির কিছু যায় আসে না, তার দেহের ক্ষুদ্র ক্ষতি সে পূরণ করে নিতে জানে কিন্তু আমরা নিরুপায়—এই উপায়হীনতা আমাদের অক্ষমতা নয় আমাদের সহিষ্ণুতা ও বোধ তৈরির অস্ত্র হওয়া উচিত ছিল। উৎসমূলে অবস্থান করে তাকেই অতিক্রান্ত করতে চাওয়া হয়তো অন্যায় নয় কিন্তু তার ওপরে অবাধ স্বৈরাচার অন্যায়। পৃথিবীর কোথাও মানুষের মধ্যেই মানুষ সেই স্বৈরাচার মেনে নেয়নি। প্রকৃতি যার অনবরত তৈরি হওয়া প্রতিটি উপকরণে আমরা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণুজীবের মতোই নির্ভরশীল তাকে ছাড়ানোর সময় তাকেই ব্যবহার করতে হয় মানুষকে ফলত এটা যেন মানুষকে গার্হস্থ্যে পাঠানোর আগে ব্রহ্মচর্যে ফিরিয়ে এনে শিক্ষা প্রদান।

এই করোনা ভাইরাস এখন অবধি বিশ্বে ষাট হাজারের ওপর মানুষের প্রাণ নিয়েছে বিভিন্ন দেশে—তার কী কারণ, কিভাবে ছড়াচ্ছে সবকিছুর বিজ্ঞানসম্মত কারণ ইতোমধ্যেই সচেতন মানুষেরা জেনে গেছেন, এই নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। এর আগেও মানুষের শরীরের ভাইরাসের আক্রমণ হয়েছে ভয়াবহ—প্লেগ, ইবোলা, এইচ ফাইভ এন ওয়ান, মারবুর্গ,ডেঙ্গু, এইডস, পোলিও ইত্যাদি। ১৭২০-এ প্লেগ, ১৮১৭-তে কলেরা, ১৯২০-এ স্প্যানিশ ফ্লু। কোরান, হিন্দু ধর্মগ্রন্থ, বাইবেল তাদের নিজেদের ধর্মীয় মতামত দিয়ে এদের একেকটা ব্যাখ্যা খুঁজেছে। বিজ্ঞান ক্রমাগত চেষ্টা করে ভ্যাকসিন বার করেছে কিন্তু সমস্ত কুসংস্কার, ধর্মীয় সীমাবদ্ধতা বাদ দিয়ে একটি প্রশ্ন মনে কি আসে না—কেন কখনো কখনো পর্যুদস্ত হয়ে যাই আমরা এতটা? আসলে আদানের প্রদানের ব্যবহার যেখানে ভারসাম্যমূলক সেখানেই আমরা নিরন্তর মহাখাদক হয়েছি, আমাদের ক্লোরোফ্লুরো কার্বন, আমাদের নির্বিচারে গাছ কাটা আবাসন বানানো, যুদ্ধের মহা আগ্রাসী মনোভাব, হিংসা বিদ্বেষ সব কি শক্তির অনুকূলে?

ভাবতে অবাক লাগে যে জীব আপন উচ্চকিত প্রকাশে দম্ভ নিয়ে লম্ভঝম্ভ করে বেড়ায় সেই তাকে নিরীহ প্রাণীর মতো খাদ্যসংগ্রহ করে পুনরায় ঘর নামক গর্তে ঢুকে পড়তে হচ্ছে—মশকরার কিছু নয়, মানুষ আবার তার শক্তি ফিরে পাবে লম্ফঝম্ফ করবে কিম্বা আমরা সকলেই করব তবু যদি ক্ষণিকের জন্য ভাবা যেত আমরা তুচ্ছ! যত উন্নতি করি না কেন যার মধ্যে থেকে যার উপকরণ নিয়ে নিত্য এই উন্নতি তার মতিগতি বোঝা বা তাকে আয়ত্তে কখনোই সে পূর্ণমাত্রায় আনতে পারবে না তাই তো অজস্র সূত্রের মধ্যেই ব্যতিক্রম উঁকি মেরে পালায় ফলে নতুন সূত্র আসে আবার পুনরায় এক ঘটনা ঘটে। একটি ভাইরাস তথা একটি বিপর্যয় এই মুহূর্ত এনে দিল যে, যে যেটুকু পাব তাই খাব কেবল যেন সচেতন থাকি মানে আমাদের হাতে অনিবার্য কিছু নেই। কোনো ধর্মীয় বোধ ধরে নয় কেবল দর্শন হিসেবে গীতার এই কথাটি মনে আসে—“সৎ-এর কখনো অনস্তিত্ব হয় না আর অসৎ-এর কখনো স্থিতি হয় না—এখানে সৎ বা অসৎ যে ভালো মন্দের স্পষ্টত রূপক তা কিন্তু নয়। আসলে অসৎ সেইসব পার্থিব নশ্বর তথা ক্ষণস্থায়ী, যা কখনো আমাদের ছিল না কখনো আমাদের পূর্ণরূপে হবেও না; আর সৎ হলো সেই আত্মিক দর্শন বা জ্ঞান যা প্রতিকূলে অনুকূলে সবজায়গায় আমাদের প্রয়োজন অথচ আমরা এই নশ্বর অসৎকে নিয়েই তো লোভাতুর, তাই তো লোভীর মতো দাপিয়ে বেরিয়েও শূন্য হয়েই বসে আছি একমাত্র সৎ সেই আত্মিক দর্শনের কাছে গেলে শান্তি পাচ্ছি। তাই তো বলা হয়েছে ভোগও আসলে আমাদের হয় না, সব ভোগই কোনো না কোনো পথে বেরিয়ে যায়—শুধু যে আপেক্ষিক ভোগী সে সুখে, আনন্দে, লোভে, কষ্টে দূষিত হতে থাকে—অনেকটা ধূমপানের মতো ধোঁয়া আসলে গৃহীত হয়েও বেরিয়েই যায় শুধু মাঝপথে ধূম্রপায়ীকে দূষিত করে দিয়ে যায়”—শুনতে বা প্রাসঙ্গিকতায় ধর্মীয় হলেও ভাবলে বোঝা যায় এটা যুক্তিযুক্তভাবেই সত্যি।

আরো পড়ুন↴ গল্পের ওপারে মৃত্যুর হাতছানি

ভোগ তো আমরা ছাড়তে পারব না কিন্তু যদি নিয়ন্ত্রণ পারি তাও কি কম নয়! প্রকৃতির অপার রূপের সামনে একা একা দাঁড়ালে যেমন বোঝা যায় এই বিশাল ভয়ানক সুন্দর যার গায়ে পিঠে চড়ে তাকে আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছি সে দুরন্ত, সে অবাধ্য, সে বলীয়ান নিজ শক্তিবলে, আমরা কেবলই তার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রেক্ষক। উত্থানে পতনে আমরা তার আনুকূল্য পেলে বেঁচে যাব শুধু আর সেটাও তীব্র অনিশ্চিয়তায় ভরা—এই অভিযোজনের ভিন্নতা, এই অভ্যাস-অনভ্যাসের চরিত্র প্রকৃতি নিজ অঙ্গের আনুকূল্য ধরে বানিয়ে নিয়েছি আমরা সেই গা ধরে বেড়ে ওঠা বাস্তুর একেকটা ধাপে অবস্থান করি মাত্র।এই মুহূর্ত কিভাবে কতখানি প্রভাব ফেলল তাকে কাউন্টার না করে যদি এই প্রকৃতিকে আদতেই ভালোবাসি তাহলে কে বলতে পারে যোগ্যতম যোগ্যতমই রয়ে গেল অনন্তের পথে তাকে ইতিহাস হতে হলো না কেবল।

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান



কনক জ্যোতি,  কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক কবিতা দিবসে ছায়ানট (কলকাতা) এবং লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস যৌথভাবে আয়োজন করে একটি কবিতা সন্ধ্যার। অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতায় অবস্থিত একটি স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট তাপাস্তে - তে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছায়ানট (কলকাতা)-এর সভাপতি সোমঋতা মল্লিক এবং পরিকল্পনা করেন  লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস-এর প্রতিষ্ঠাতা শুভজিৎ রায়।

এই বিশেষ দিনে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করা হয় বাংলা এবং স্প্যানিশে। বিশ্ব কবিতা দিবসে কবিতার ভাষায় এক হয়ে যায় বাংলা এবং স্পেন। এক করলেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা এবং স্প্যানিশ দুই ভাষাতে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এই আয়োজন।

বাংলায় কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করেন সৌভিক শাসমল, তিস্তা দে, দেবলীনা চৌধুরী এবং স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ ও পাঠ করেন শুভজিৎ রায়। অনুষ্ঠানটি দর্শকদের প্রশংসা লাভ করে।

বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষ্যে ছায়ানট (কলকাতা) এবং কৃষ্ণপুর নজরুল চর্চা কেন্দ্র যৌথভাবে আরও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শরৎচন্দ্র বাসভবনে। প্রায় ৫০ জন কবি এবং বাচিক শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন কবির কবিতা এই অনুষ্ঠানে শোনা যায়।

;

দারুণ সৌভাগ্য আমাদের



মহীবুল আজিজ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...

আমি ক্রমশ সরু হয়ে যাওয়া ইতিহাসের
গলিটার দিকে তাকাই।
ওপার থেকে ছিটকে আসে বিগত কালের আলোক,
ইহুদিদের চর্বি দিয়ে সাবান বানিয়েছিল জার্মানরা।
বাথটাবে সেই সাবানের ফেনার মধ্যে ঠেসে ধরে
ওরা ঠাপাতো ইহুদি মেয়েদের।
পাকিস্তানিরা ঐভাবেই ঠাপাতো আমাদের।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
সিন্ধু থেকে আসতো আমাদের জেলা প্রশাসকেরা,
পেশোয়ার থেকে গভর্নরেরা।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডটিচার
প্রিন্সিপাল ভিসি'রা আসতো লাহোর করাচি মুলতান থেকে।
ফ্যালফেলে তাকিয়ে আমরা ভাবতাম,
আহা কবে জন্ম নেবে আমাদের মেসায়া!
নেপথ্যে ভেসে আসতো অদম্য কুচকাওয়াজের শব্দ।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
আমরা লম্বা লম্বা পাঞ্জাবি পরতাম গোড়ালি পর্যন্ত।
ঘরে ঘরে রবীন্দ্রনাথ নজরুলের গান বাজতো কাওয়ালির সুরে--
আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের নাম ভুলে যেতাম
কিন্তু জিন্না'কে ভুলতাম না।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
ঢাকার মাঠে খেলা হতো পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের।
প্রত্যেকটি খেলায় একজন করে সুযোগ পেতো
বাঙালি টুয়েল্ফথৃ ম্যান যারা মূল খেলোয়াড়দের
বিশ্রাম দেবার জন্য প্রচণ্ড দাবদাহের রোদে
প্রাণপণ ফিল্ডিঙয়ের ওস্তাদি দেখাতো।

আমাদের কাজ হতো শুধু
পাকিস্তানিদের চার-ছয়ে উদ্দাম হাততালি দেওয়া,
হাততালি দিতে দিতে তালু ফাটিয়ে ফেলা।
তীব্র হাততালির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি
আজ মার্চের সতেরো।
দারুণ সৌভাগ্য আমাদের তুমি জন্ম নিয়েছিলে!
১৭-০৩-২০২৩

;

বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্বে শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝদ্ধ মননের প্রাগ্রসর ভূমিপুত্র শাহ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ও মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর ও কিশোরগঞ্জ নিউজ'র নিয়মিত লেখক।

বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি,শিল্প, সংগীত, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার বহুল কার্যক্রম নিয়ে দেশের প্রাচীনতম ও অগ্রণী প্রতিষ্ঠা নবঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র এক সভা এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শনিবার (১১মার্চ ২০২৩) বিকেল ৪-৩০ টায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় নাট্যশালার কনফারেন্স হলের ভিআইপি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বরেণ্য শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্হিতিতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা
কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ। এতে সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সঞ্চালনা করেন।

সভায় বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সদস্য বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর লেখক, কমামিস্ট ও গীতিকার শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ’র কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা গঠনের দায়িত্ব আরোপ করে তার হাতে বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র ইশতেহার তুলে দেন বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম এবং অন্যান্য নেতৃবর্গ ।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয়'র জার্মানির সভাপতি কবি নাজমুন নেসা পিয়ারী, বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক আমিনুর রহমান বেদু, রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবিশ, ইউনেস্কোর ব্রান্ড এম্বাসেডর নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাত, বঙ্গীয়'র সভাপতি পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান, বঙ্গীয়'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আলী নিয়ামত, কবি নাঈম আহমেদ, বঙ্গীয়'র কেন্দ্রীয় সদস্য কবি মীনা মাশরাফী, কবি পারভিন আক্তার সহ প্রমুখ।

সভার প্রথম পর্বে আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র সম্মিলন উদযাপন বিষয়ক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কবি আজিজুর রহমান আজিজকে আহবায়ক এবং সংগীতশিল্পী শামা রহমানকে সদস্য সচিব করে উদযাপন কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে বঙ্গীয়র সভাপতি পর্ষদের সকল সদস্য, রবীন্দ্র একাডেমির নির্বাহী শাখার সকল সদস্য, বঙ্গীয়র যুগ্ম সম্পাদকবৃন্দসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশিষ্টজনকে নিয়ে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে।

দ্বিতীয় পর্বে অযুত তারুণ্যের বঙ্গবন্ধু সম্মিলন, দ্বিশতজন্মবর্ষে মাইকেল মধুসূদন দত্ত স্মরণ, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে লেখক কবির আলোচনা সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ইউনাইটেড নেশন্সের ব্রান্ড এম্বাসেডর জনাব নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাতকে সভাপতি পর্ষদের সদস্য, শিশু সাহিত্যিক হুমায়ূন কবির ঢালীকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , সংস্কৃতি সেবক রোকনউদ্দীন পাঠানকে সাংগঠনিক সম্পাদক, কবি আনোয়ার কামালকে লিটল ম্যাগ সম্পাদক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি সাংবাদিক শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে নির্বাহী সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক, কবি মীনা মাশরাফীকে নীলফামারী জেলার সমন্বয়ক, জনাব এ এইচ এম সালেহ বেলালকে গাইবান্ধা জেলার সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা লেখক কবি আবদুল হালিম খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, কবি মানিক চন্দ্র দে, কবি অর্ণব আশিক, কবি বাবুল আনোয়ার, দৈনিক বঙ্গজননীর সম্পাদক কামরুজ্জামান জিয়া, কবি শাহানা জেসমিন, কবি গবেষক আবু সাঈদ তুলু, চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. বিশ্ব রায় (কলকাতা), বঙ্গীয় চট্রগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ফ্যাশন ডিজাইনার আমিনা রহমান লিপি, শিল্পী শাহরিয়ার পিউ, কবি সোহরাব সুমন, কবি সরকার পল্লব, কবি রহিমা আক্তার মৌ, কবি লিলি হক, কবি আকমল হোসেন খোকন, শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন, হিরা পারভেজ, ড. দিপু সিদ্দিকী, শিক্ষক ও কবি রওশন ই ফেরদৌস, কবি পারভীন আক্তার, কবি শিল্পী মাহমুদা, পূর্বধলার মো. জাকির হোসেন তালুকদার, কবি আনারকলি, কবি অপরাজিতা অর্পিতা, ডা. নূরুল ইসলাম আকন্দ, আবৃত্তিশিল্পী যথাক্রমে রূপশ্রী চক্রবর্তী, রবিউল আলম রবি সরকার, জেবুন্নেছা মুনিয়া, চন্দনা সেনাগুপ্তা, কবি সংগঠক রাজিয়া রহমান, কবি শামীমা আক্তার, শিল্পী সাদিয়া শারমিন, কবি কনক চৌধুরী, কবি তাসলিমা জামালসহ প্রমুখ।

;

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব



মাহমুদ হাফিজ
কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতায় শুরু হয়েছে রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের তিন দিনব্যাপী সাহিত্য উৎসব। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দুমতি সভাগৃহে বিকালে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এবারের উৎসবে বাংলাদেশের কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, পরিব্রাজক ও ভ্রমণগদ্য সম্পাদক মাহমুদ হাফিজ, স.ম. শামসুল আলম, নাহার আহমেদ, ড. নাঈমা খানম প্রমুখকে সম্মানিত করা হয়।

বিকালে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক নলিনী বেরা। বিশিষ্ট নাট্যকার চন্দন সেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শঙ্করলাল ভট্টাচার্য ও কবি সব্যসাচী দেব। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাধারণ সম্পাদক কবি সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য। এতে সমাপণী বক্তৃতা করেন সংগঠনের সভাপতি কবি স্বপন ভট্টাচার্য। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য।

আজ ও আগামীকাল ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি হলে বিকাল থেকে কবিতা ও গল্পপাঠ, আলোচনা, শ্রুতিনাটক, সঙ্গীত অনুষ্ঠিত হবে। রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, নেপাল, আসাম, ত্রিপুরার কয়েশ’ কবি লেখক অংশগ্রহণ করছেন।

;