শেকৃবির ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাসে শেষ করার পরিকল্পনা
করোনাকালীন দীর্ঘ বন্ধের পর শিক্ষার্থীদের স্বতস্ফুর্ত পদচারণায় মুখরিত হয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।কিন্তু আটকে থাকা পরীক্ষা এবং দীর্ঘ সেশনজটের সম্ভাবনায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে শিক্ষার্থীরা।এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা-জীবন যথাসময়ে শেষ এবং সেশনজটে নাকাল থাকা পরিস্থিতি দূর করতে ছয় মাসের সেমিস্টার গুলো চার মাসে শেষ করার পরিকল্পনা করছে শেকৃবি প্রসাশন।
চার মাসে সেমিস্টার শেষ করা প্রসঙ্গে শেকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর শহীদুর রশিদ ভুঁইয়া বার্তা২৪ কে বলেন,"আমাদের পরিকল্পনা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা দেখেছে।বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কিছু দিনের মধ্যে অধিকাংশ ব্যাচের পরীক্ষার রুটিন চলে এসেছে। পরীক্ষাও শুরু হয়ে যাবে।আমাদের পরিকল্পনা প্রথমে আটকে থাকা সেমিস্টার গুলোর পরীক্ষা যতদ্রুত সম্ভব শেষ করা।পরবর্তীতে অন্যান্য সেমিস্টার গুলোও চার মাসে শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েই আমরা অগ্রসর হচ্ছি।"
তিনি আরও বলেন,"তবে শিক্ষার্থীদের দিক থেকে সব কিছুর জন্য সহযোগিতা আশা করছি।বিগত সময় গুলোতে আমরা দেখেছি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা পিছাতে।ইতোমধ্যে এএসভিএম অনুষদের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা পিছানোর জন্য অনুষদের ডিনের কাছে গিয়েছে বলে শুনেছি।আসলে আমাদের পরিকল্পনার সাথে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ আশা করছি।"
সেমিস্টার গুলো দ্রুত শেষ করার ক্ষেত্রে কতটুকু সফল হওয়া সম্ভব এবং এগ্রিকালচার অনুষদ নিয়ে পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে এগ্রিকালচার অনুষদের ডিন পরিমল কান্তি বিশ্বাস বার্তা২৪ কে বলেন, "এগ্রিকালচার অনুষদের পরীক্ষা যতদ্রুত সম্ভব শেষ করা যায় এটাই আমার পরিকল্পনা।কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত আমি জানি না।কোনো নোটিস ও পাইনি।তবে আমার অনুষদের শিক্ষার্থীদের আটকে থাকা পরীক্ষা গুলো চার মাসের কম সময়ে শেষ করব।কিন্তু শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সর্বাত্বক সহযোগিতা পাচ্ছি না।"
এএসভিএম অনুষদের ডিন লাম-ইয়া-আজাদ বলেন,"এএসভিএম অনুষদের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে প্রায় তিনটি সেমিস্টার শেষ করেছে। শুধু সেমিস্টার গুলোর পরীক্ষা বাকি।আটকে থাকা সেমিস্টার গুলোর প্রত্যেকটা সেমিস্টার দুই মাসের কম সময়ে শেষ করার পরিকল্পনা আমাদের। আশাকরি আমরা দ্রুতই আমাদের আটকে থাকা সেমিস্টার গুলো শেষ করতে পারব।আর পরবর্তী সেমিস্টার গুলো নিয়েও পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি অভিহিত করেন।"
সামগ্রিক বিষয় নিয়ে সর্বশেষ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কমিটিতে থাকা সদস্য সচিব এবং বর্তমান পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিন অলক কুমার পাল বলেন,"শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা দৃশ্যমান।সর্বোচ্চ দ্রুত সময়ে আমরা পরীক্ষা গুলো শেষ করতে চাচ্ছি।পরীক্ষার প্লান,রুটিন ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। পিছিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই।শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবর্ষ স্বাভাবিক অবস্থায় যে সময়ে শেষ হওয়ার কথা ঠিক একই সময়ে শেষ করার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি।"