শ্রেণীকক্ষের দাবিতে ইবির শিক্ষক লাউঞ্জে তালা



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইবির শিক্ষক লাউঞ্জে তালা

ইবির শিক্ষক লাউঞ্জে তালা

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে তালা মেরেছে অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগেন শিক্ষার্থীরা।

শ্রেণীকক্ষ সংকট নিরসনে প্রশাসন বরাবর একাধিকবার অনুরোধ করে আশানুরূপ ফল না পেয়ে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে লাউঞ্জে তালা মারে শিক্ষার্থীরা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতিতে তালা ভাঙতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে প্রক্টর। দ্রুত শ্রেণীকক্ষ সংকট নিরসন না হলে শিক্ষক লাউঞ্জ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তারা।

ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের থেকে জানা যায়, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের শ্রেণীকক্ষ সংকট দীর্ঘদিন ধরে। প্রতি শিক্ষাবর্ষে দুই এক বছরের সেশনজটে রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এক দফা এক দাবি করে শ্রেণীকক্ষ সংকট অতি দ্রুত নিরসন করতে চাচ্ছে। তা নাহলে শিক্ষক লাউঞ্জ খুলতে দিবে না তারা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা সেশনজটের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকব আর শিক্ষকরা নিশ্চিন্তে থাকবে এটা কীভাবে হয়? প্রশাসনের কাছে বারবার শ্রেণীকক্ষ সংকট নিরসনের দাবি নিয়ে গিয়েছে তারপরেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না । তিনি বলেন আরো বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে বারবার গিয়েছি। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু সমাধান করে দেয়নি। গত কয়েকদিন ধরে উপাচার্য মহোদয়ের কাছে বারবার যাচ্ছি। আজ যখন শিক্ষক লাউঞ্জে তালা মারা হয়েছে, তখন চারদিকে এতো সংবাদ ছড়াচ্ছে কেন? 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হেসেন আজাদ বলেন, আজ দুপুরে জানতে পারলাম শিক্ষক লাউঞ্জে নাকি শিক্ষার্থীরা তালা মেরেছে। পরে ঘটনা পরিদর্শন করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক ওই তালা ভাঙার সময় শিক্ষার্থীরা বাঁধা দেয়। তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন কাজ চলমান, খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ থাকলে প্রশাসনের কাছে যেতে পারে। কিন্তু শিক্ষকদের খাবার লাউঞ্জে এভাবে তালা মারা এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যৌক্তিক বলে মনে করে না।

এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডির সামনে প্রতিবাদ করে, শেষ পর্যন্ত প্রোক্টরিয়াল বডি অনুষদ ভবন থেকে চলে আসে।

   

স্থবিরতা দূর করতে শনিবারও অফিস করবেন জবি উপাচার্য



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম

নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান একাডেমিক, দাফতরিক ও প্রশাসনিক স্থবিরতা দূর করতে শনিবারও অফিস করবেন বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

ড. সাদেকা হালিম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু সংকট আছে। সবকিছু একদিনে সমাধান সম্ভব নয়। একটা একটা করে সমাধান করতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান স্থবিরতা দূর করতে আমি শনিবারও অফিস করবো।

ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চৌধুরী, সদস্য সচিব অপূর্ব চৌধুরী, দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিনিধি মো. আশিকুজ্জামান আশিক, সকালের সময়ের তোহা ইসলাম, ঢাকা মেইলের সাহাদাত হোসেন অনু, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য ও আজকালের খবরের তৌফিকুর রহমানসহ সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। গত ১১ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

;

বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সমস্যা সমাধান করা হবে: জবি উপাচার্য



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জবির নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম

জবির নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সংকট রয়েছে সেগুলো আমাদের সবার জানা। এসব সমস্যা একেক করে সমাধান করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে যোগদান করে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল নেই জেনেছি আগেই। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে নতুন ক্যাম্পাস ও হলের বিষয়টি ভাবতে হবে, এটা আগে দরকার। এছাড়া যে সকল অসুবিধা আছে একেক করে সমাধান করা হবে। সবার সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে হবে।

উপাচার্য বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে গবেষণা ও রিসোর্স বাড়াতে হবে। গবেষণা ও রিসোর্সের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ এবং প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে আগামী ৪ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।

সাদেকা হালিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদেরও প্রথম নারী ডিন ছিলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধান তথ্য কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। 

সাদেকা হালিমের পিতা ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৩ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে। তিনি ঢাকার উদয়ন বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

;

রাবিতে এনটিআরসিএ নীতিমালা সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নীতিমালা সংশোধন করে মাদ্রাসা শিক্ষায় আরবি প্রভাষক নিয়োগ পুনরায় সংযুক্ত করার দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানায় তারা।

মানববন্ধনে বিভাগটির শিক্ষার্থী কাউসার হাবিবের সঞ্চালনায় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা বলেন, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের প্রথম থেকে সপ্তদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-২০২০ সাল পর্যন্ত স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় সহকারি মৌলভি ও প্রভাষক পদে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের সুযোগ পেত এবং অনেকেই এখনো মাদ্রাসায় সহকারি মৌলভি ও প্রভাষক পদে চাকুরিরত আছেন। 

কিন্তু ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর এমপিও নীতিমালা সংশোধন করে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের নীতিমালা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি ২০২২-এ ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ হতে উত্তীর্ণদের প্রাথমিক সুপারিশ করা হলেও চুড়ান্ত সুপারিশ প্রদান করা হয়নি।

মানববন্ধনে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জুবায়ের আলম বলেন, 'এ নীতিমালা প্রয়োগ করে আমাদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমাদেরকে সুযোগ দিতে হবে। ফাজিল-কামিলে যা পড়ানো হয় আমরা তার থেকেও মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করি। অথচ এ নীতিমালা প্রণয়ন করে আমাদেরকে সকল প্রকার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যে অন্যায্য ও অন্যায়মূলক নীতিমালা জারি করা হয়েছে তা আমরা মানি না। নিঃসন্দেহে এটা বৈষম্যমূলক। অবিলম্বে এ নীতিমালা বাতিল করতে হবে। যদি তা না করা হয় তবে আমরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দেব।' 

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ.ন.ম মাসউদ উর রহমান বলেন, '১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন থেকে ইসলামিক স্টাডিজকে বাদ দিয়ে আমাদের ছাত্রদের সাথে প্রবঞ্চনা করা হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক ও ঘৃণ্য একটি সিদ্ধান্ত। আমরা এ অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে আমরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চাই। নতুবা কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।' 


উল্লেখ্য, ২ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-২০২৩-এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে আরবি ও ফিকাহ বিভাগে সহকারি মৌলভি ও প্রভাষক পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড হতে ফাজিল বা কামিল ডিগ্রি অথবা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় বা ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মাদ্রাসাসমূহ হতে ফাজিল বা কামিল ডিগ্রি অথবা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় হতে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিষয়ে অনার্সসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে আরবি বিষয়ে অনার্সসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নির্ধারণ করা হয়েছে।

কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ তথা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয় হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উক্ত পদসমূহে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

;

রুয়েট হবে দেশের প্রথম স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে (রুয়েট) বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হবে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রুয়েটে আয়োজিত দেশের প্রথম ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবোরেশন মিটে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দক্ষ শিক্ষার্থীগণ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়ার সামর্থ্য অর্জন করবে। যেখানে একাডেমিয়া এবং ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টরা সম্মিলিতভাবে কাজ করে শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী করে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট ও একাডেমিয়াদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং যৌথভাবে কাজ করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে রুয়েটে আরও বৃহৎ পরিসরে ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবোরেশন মিট আয়োজন করা হবে বলেও তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।

এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুয়েট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি-ইউএসএ)-এর অধ্যাপক মিজানুল এইচ চৌধুরী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়াদের যৌথভাবে কাজ করতে করার জন্য গুরুত্ব ও যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।

এদিকে গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তর এবং আইকিউএসি যৌথভাবে আয়োজিত এই মিটে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ও সেক্টরের ৭৬ টি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রুয়েটের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, রেজিস্ট্রার, পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

এই কোলাবোরেশন মিটে অংশগ্রহণকারী ১৫টি ইন্ডাস্ট্রি রুয়েটের একাডেমিয়া ও শিক্ষার্থীদের সাথে ইনোভেটিভ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করার জন্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে। এছাড়াও রুয়েটের প্রতিটি বিভাগে ইন্ডাস্ট্রিয়াল উপদেষ্টা প্যানেল গঠন করার বিষয়েও আলোচনা হয়।

কোলাবোরেশন মিটে উপস্থিত ছিলেন- প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান রিপন, গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন, আইকিউএসি এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন প্রমুখ।

;