ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে তালা মেরেছে অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগেন শিক্ষার্থীরা।
শ্রেণীকক্ষ সংকট নিরসনে প্রশাসন বরাবর একাধিকবার অনুরোধ করে আশানুরূপ ফল না পেয়ে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে লাউঞ্জে তালা মারে শিক্ষার্থীরা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতিতে তালা ভাঙতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে প্রক্টর। দ্রুত শ্রেণীকক্ষ সংকট নিরসন না হলে শিক্ষক লাউঞ্জ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তারা।
ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের থেকে জানা যায়, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের শ্রেণীকক্ষ সংকট দীর্ঘদিন ধরে। প্রতি শিক্ষাবর্ষে দুই এক বছরের সেশনজটে রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এক দফা এক দাবি করে শ্রেণীকক্ষ সংকট অতি দ্রুত নিরসন করতে চাচ্ছে। তা নাহলে শিক্ষক লাউঞ্জ খুলতে দিবে না তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা সেশনজটের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকব আর শিক্ষকরা নিশ্চিন্তে থাকবে এটা কীভাবে হয়? প্রশাসনের কাছে বারবার শ্রেণীকক্ষ সংকট নিরসনের দাবি নিয়ে গিয়েছে তারপরেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না । তিনি বলেন আরো বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে বারবার গিয়েছি। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু সমাধান করে দেয়নি। গত কয়েকদিন ধরে উপাচার্য মহোদয়ের কাছে বারবার যাচ্ছি। আজ যখন শিক্ষক লাউঞ্জে তালা মারা হয়েছে, তখন চারদিকে এতো সংবাদ ছড়াচ্ছে কেন?
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হেসেন আজাদ বলেন, আজ দুপুরে জানতে পারলাম শিক্ষক লাউঞ্জে নাকি শিক্ষার্থীরা তালা মেরেছে। পরে ঘটনা পরিদর্শন করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক ওই তালা ভাঙার সময় শিক্ষার্থীরা বাঁধা দেয়। তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন কাজ চলমান, খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ থাকলে প্রশাসনের কাছে যেতে পারে। কিন্তু শিক্ষকদের খাবার লাউঞ্জে এভাবে তালা মারা এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যৌক্তিক বলে মনে করে না।
এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডির সামনে প্রতিবাদ করে, শেষ পর্যন্ত প্রোক্টরিয়াল বডি অনুষদ ভবন থেকে চলে আসে।