জবির বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের আসন বরাদ্দ পাওয়া বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের হল ছাড়র নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকারের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হলের আবাসিকতা লাভ, বসবাসের শর্তাবলি এবং আচরণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা-২০২১ এর ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীরা হলে সিট পাবেন না। তারা অতিদ্রুত হলের সিট ছেড়ে দেবেন। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, হলের যেসব ছাত্রীর মাস্টার্সের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে, তাদেরও অতিদ্রুত হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোনো মানোন্নয়ন (মাস্টার্স) পরীক্ষার্থী বা এম.ফিল ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। 

এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার বলেন, হলের বিধিমালার ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনো বিবাহিত ছাত্রী হলে সিটের আবেদন কর‍তে পারবেন না। আমরা বিধি অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরোও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ছাত্রী আছেন যাদের বাবা-মা নেই। তারা হলের সিটের জন্য কান্নাকাটি করেন। তাদের আসলেই হলে সিট প্রয়োজন। সিট পেলে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সুবিধা হবে। কিন্তু অনেক বিবাহিত মেয়েরা আছেন যাদের খরচ বহন করার পরিবারের সামর্থ্য আছে। প্রয়োজনে তারা আমাদের কাছ থেকে হল ছাড়তে সময় চাইতে পারেন। আমরা সেটি কনসিডার করব।

   

ক্ষতিপূরণ দিতে নারাজ সেলফি কর্তৃপক্ষ, জাবিতে আটক ১৫ বাস



মাহমুদুল হাসান, জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-মানিকগঞ্জ রুটের মরণফাঁদ সেলফি পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় গত ৭ ডিসেম্বর ঘটনাস্থলেই মারা যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী মো. রোবেল পারভেজ। এরই প্রেক্ষিতে ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে চার দিন ধরে সেলফি পরিবহনের ১৫টি বাস আটক করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে ৫টায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় খেলার মাঠে সেলফি পরিবহনের ১৫টি বাস রাখা আছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ হয়ে দুর্ঘটনার দিন বৃহস্পতিবারই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলমান সেলফি পরিবহনের ২০টি বাস আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরদিন শুক্রবার সকালে আরও ৫টিসহ মোট ২৫টি বাস আটক করা হয়। পরে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ১০টি বাস ছেড়ে দেওয়া হয়।

একইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রুবেল পারভেজের হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা ডেইরি গেইট সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেনে মানববন্ধন করেন।

শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, সেলফি পরিবহনের বেপরোয়া গতি এবং চালক-হেলপারদের খারাপ আচরণ, হাফ ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ইত্যাদি কারণে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল তাদের। বাসের চাপায় রুবেল পারভেজের নিহত হওয়ার পর এ ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা সেলফি পরিবহনের রুট পারমিট বাতিলসহ ভুক্তভোগী পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত বাসগুলো ছাড়তে অসম্মতি জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেলফি পরিবহনের নাম দিয়ে বর্তমানে ২৮০ থেকে ৩০০টি বাস আছে এই রুটে। এরমধ্যে প্রতিদিন রাস্তায় চলাচল করে ১৮০ থেকে ২০০টি বাস। প্রতিদিন গাড়িপ্রতি কমপক্ষে ২,৫০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। আর এসব টাকা তুলে থাকেন কোম্পানির নিয়োগ করা চেকাররা।

হিসাবে অনুযায়ী ২০০ বাস থেকে সেলফি পরিবহনের একদিনে চাঁদা ওঠে ৫ লাখ টাকা। মাসে ১ কোটি ৫০ লাখ, আর বছরে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। যদিও লপরিবহনের ফান্ডে তেমন কোনো অর্থ নেই বলে দাবি করেছেন মালিকপক্ষ। এবং শিক্ষার্থীদের ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবির টাকা দিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে সেলফি পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

তবে প্রথম আলোচনায় ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছিল তারা। এ নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এক হয়ে দুই দফায় সর্বশেষ শনিবার রাতেও আলোচনায় বসে সেলফি পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে, তবে এতেও আসেনি কোনো সুস্পষ্ট সমাধান।

নিহত রুবেল পারভেজ ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। পড়াশোনা শেষে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের হরিরামপুর শাখায় ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দেড় বছরের কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। এছাড়া বাড়িতে বয়স্ক মা আছেন। তার ছোট ভাইয়েরা এখনো পড়াশোনা করছেন বলে জানা যায়।

সমস্যার সমাধানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বার্তা২৪.কমকে জানান, গতকাল শনিবার এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল ভুক্তভোগী পরিবার ও সেলফি পরিবহনের মালিকপক্ষের সঙ্গে। এসময় ভুক্তভোগী পরিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হেল কাফি স্যারকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটাই মেনে নেবেন ভুক্তভোগী পরিবার। সবকিছু বিবেচনা করে ও সবার সঙ্গে আলোচনা করেই ওই পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ তিন লাখ টাকা দিতে রাজি হয়েছে।

তিনি আরও জানান, শেষ মুহূর্তে কিছু সমস্যার কারণে আলোচনা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত আর সমাধান হয়নি। রুবেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হওয়ায় আমরা চেষ্টা করছি তার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। আশা করছি মালিকপক্ষ ও রুবেলের পরিবারের সম্মতিতে দ্রুতই এর একটা সমাধান হবে।

;

রাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, রাজশাহী 
রাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

রাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক আবাসিক হলের কক্ষে ফুয়াদ আল খতিব নামের এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ১৮৪ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত ফুয়াদ আল খতিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়।

ফুয়াদের পার্শ্ববর্তী ১৮১ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ইমামুল হাসানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর রাতে প্রাইমারি নিবন্ধন পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসে ফেরেন ফুয়াদ। রোববার আনুমানিক বেলা ৩টার দিকে ফুয়াদের পার্শ্ববর্তী কক্ষের শিক্ষার্থীরা তাকে বিছানায় অস্বাভাবিক অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখতে পায়। এসময় তারা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে ফুয়াদকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল ও শরীরে লাল দাগ ছিল।

ফুয়াদের রুমের দরজা খোলা ছিল বলে জানান তারই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শামসুজ্জোহা শিশির। তিনি জানান, আজ দুপুরে তিনি শহীদ শামসুজ্জোহা হলে খেতে এসেছিলেন। আনুমানিক দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে তিনি খাওয়া শেষ করে ফুয়াদের কক্ষের সামনে দিয়ে হেঁটে গেলে দরজাটি খোলা দেখতে পান। বিভাগে দুপুর পৌনে দুইটায় তার ক্লাস থাকায় তিনি আর ফুয়াদকে নক করেননি।

এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক একরামুল ইসলাম জানান, গতকাল রাতে বাড়ি থেকে ফিরে হল কক্ষে অবস্থান করছিলেন ফুয়াদ। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত কক্ষ থেকে বের না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন এবং তাকে ডাকেন। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া না গেলে এবং শরীর ঠান্ডা দেখে আমাকে জানান। তখন আমি ঘটনাস্থলে যাই। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, মৃত ফুয়াদ সিঙ্গেল কক্ষে থাকতেন। তার কক্ষের দরজা খোলা ছিল এবং মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল। আশপাশের কক্ষের কোনো শিক্ষার্থীও তার মৃত্যুর বিষয়ে কিছু জানেনা। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে বলে জানান প্রাধ্যক্ষ।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিহার জোনের ডিসি মধুসূদন রায় বলেন, আমরা মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। মৃতদেহ পোস্টমর্টেম করা হবে। কক্ষটি আমরা প্রাথমিকভাবে পরিদর্শন করেছি। যেহেতু এটি ক্রাইম সিন, আমাদের বিশেষ ইউনিট এসে কক্ষটি পুনরায় পরিদর্শন করবে এবং অনুসন্ধান শুরু হবে।

;

ঝুঁকিপূর্ণ ঢাবির মুহসীন হল: পুনর্নির্মাণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলটি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় উপাচার্যের নিকট হল পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছে মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীবৃন্দ।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ১০০ জন শিক্ষার্থীর সাক্ষর সংবলিত হল পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়ে মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীবৃন্দ একটি আবেদনপত্র ঢাবি উপাচার্যের নিকট জমা দেওয়া হয়।

জানা যায়, সম্প্রতি সময়ে ভূমিকম্পে এ হলের বহু কক্ষে ভঙ্গুর পলেস্তারা খসে পড়ে এবং রিডিং রুমের দরজার ফ্রেম ভেঙে পরে। পাকিস্তান আমলে তৈরি এ হলের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে বলে শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ সময় মুহসিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সোহরাব হোসেন বলেন, আমাদের হলের অনেক রুমেই পলেস্তারা খসে পড়েছে। প্রায়ই এমন ঘটনা দেখা যায়। কিছু কিছু রুমে ১০ কেজি ওজনের পলেস্তারা ও খসে পড়েছে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আমরা ভিসি স্যারের কাছে হল পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়ে দরখাস্ত দিয়েছি এবং সেইসাথে ১০০ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর ও বিভিন্ন ভঙ্গুর অবস্থার চিত্র সংযুক্ত করে দিয়েছি।

উপাচার্য ড. এ এইচ এম মাকসুদ কামাল এ ব্যাপারে বলেন, ইঞ্জিনিয়ারদের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে যাচাই করা হবে এ হলটি কতটা বসবাস উপযোগী। যদি উপযোগী না হয় এই বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

;

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রধান জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়: জাবি উপাচার্য



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ' এর উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে 'একুশ শতকের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও নির্বাচন' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে স্ট্যাটিসটিকস এন্ড ডাটা সায়েন্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীরের সঞ্চালনায় এই আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সদস্য সচিব এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমাদের নিজেদের মধ্যে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। মানবাধিকার দিবস রাজনৈতিক উপাখ্যানে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে অনেকেই অপেক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশের উপর কীভাবে স্যাংশন আসে। কিন্তু স্যাংশন না আসায় তাদের মন খারাপ। তারা মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু প্যালেস্টাইনে কোথায় তাদের সেই মানবাধিকার ও গণতন্ত্র?

তিনি আরো বলেন, হেনরি কিসিঞ্জার যখন বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলেন, তখন আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৯০ ডলার। আজকে আমাদের মাথাপিছু আয় প্রায় ৩ হাজার ডলার। ২০৪১ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় হবে সাড়ে ১২ হাজার ডলার। ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশেকে আবারও সেই তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করতে চায়। আমরা সেই তলাবিহীন বাংলাদেশ চাই না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে যে বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন, আমরা সেই বাংলাদেশ চাই। আজ দেশে-বিদেশে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আপনাদেরকে সেই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সোচ্চার থাকতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম বলেন, উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও নির্বাচন তিনটি বিষয়ই এক এবং অভিন্ন। একটিকে বাদ দিয়ে অপরটি চিন্তা করা যায় না। স্বাধীনতার প্রথম দিকে এদেশে কিছুই ছিল না। বঙ্গবন্ধু শূন্য হাতে এ দেশ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করেন৷ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে স্কুল প্রতিষ্ঠা ও অন্যান্য অবকাঠামো শক্তিশালী করেন। প্রথম থেকেই তিনি সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বেশিদিন সময় পাননি৷ ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে উন্নয়নকে থামিয়ে দেয়। উন্নয়নের চাকা পেছনে ঘুরিয়ে দেয়। তবে তা আবার শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে অনেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রত্যয়টি বুঝতে পারেনি। কিন্তু এখন আমরা সেই সুফল সবাই ভোগ করছি৷ ১২ লক্ষ রোহিঙ্গাকে পৃথিবীর কোনো দেশ স্থান দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী সেই কাজ করে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মাদার অব হিউম্যানিটি খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট নির্মাণে তিনি সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। নিজ অর্থায়নে পদ্মাসেতুর মত বিশাল প্রজেক্ট শেষ হয়েছে শুধু প্রধানমন্ত্রীর অবদানে। এখন দেশের এক প্রান্ত থেকে খুব অল্প সময়ে অন্য প্রান্তে পৌঁছানো যায়। যোগাযোগ ও অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বিপ্লব ঘটিয়েছেন। মেট্রোরেলসহ অন্যান্য প্রজেক্টের কারণে শতশত কর্মঘণ্টা বেঁচে যাচ্ছে যা দেশের উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করছে। আগামী নির্বাচনে আপনারা শান্তির পক্ষে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। আমি মনে করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রধান জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়। তাই আপনারা সবাই স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সহযোগী হবেন সেই প্রত্যাশা রাখছি।

সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ এ মামুন বলেন, অনেক দেশ ও সংগঠনই মানবতার কথা বলে। কিন্তু, মানবতা ভূলুণ্ঠিত হওয়া দেখার দুর্ভাগ্য প্রধানমন্ত্রীর মতো আর কারও হয়নি। ১৫ আগস্ট এর চেয়ে ঘৃণ্য কাজ পৃথিবীতে আর কোথাও ঘটেনি৷ তখন জাতিসংঘ বা আমেরিকার মানবিকতা কোথায় ছিল? প্রধানমন্ত্রী বেঁচে আছেন শুধু দেশ ও জনগণের জন্য। প্রধানমন্ত্রী যে উন্নয়ন করেছে তা অতীতে কখনো হয়নি৷ ভবিষ্যতে যদি হয় তবে তা শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যার দ্বারাই হবে। এর কিছুই প্রধানমন্ত্রী নিজের জন্য করেনি। যা করেছে সব জনগণের জন্য। তাই উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের দায়িত্ব হলো ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে আবারও জয়যুক্ত করা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, রেজিস্ট্রার আবু হাসান, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রমুখ।

 

;