জাবিতে ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী



জাবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাধারণ মানুষের মাঝে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের জানা-অজানা বিভিন্ন ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে এবারের বিজয় দিবসে ‘সংবাদপত্রে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার সামনে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম। দিনব্যাপী প্রদর্শনীটি বিকাল সাড়ে চারটায় শেষ হয়।

সাতচল্লিশের দেশভাগের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় দিবস পর্যন্ত প্রায় একশটি দুর্লভ আলোকচিত্র এই প্রদর্শনীটিতে স্থান পেয়েছে। উন্মুক্ত এই প্রদর্শনীর আলোকচিত্রগুলোকে সাধারণ মানুষের কাছে সহজবোধ্য করে তুলতে ‘জাতির সূর্য সন্তান’, ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’, ‘মুক্তিযুদ্ধে নারী’, ‘দেশভাগ থেকে স্বাধীনতা’, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’, ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’, ‘শরণার্থী’, ‘সংবাদপত্রের পাতায় মুক্তিযুদ্ধ’ ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ বঙ্গবন্ধু। তার ডাকে এই মানুষ দেশ স্বাধীনের স্বপ্নে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। নয়মাসের যুদ্ধ শেষে সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করে। আজকের এই প্রদর্শনীটি বর্তমান প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানত সহায়ক হবে বলে প্রত্যাশা করছি।

এদিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জাবিতে বিজয় দিবস উদ্‌যাপিত হয়েছে। সকালে উপাচার্য জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির শুরু করেন। পরে সকাল সাড়ে সাতটায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। উপাচার্যের পর শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন হল প্রাধ্যক্ষ, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ, মহিলা ক্লাব, অফিসার সমিতি এবং অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।


বিজয় দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সকাল সাড়ে নয়টায় উপাচার্য কাপ হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের স্কুল আনন্দশালায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের আয়োজনে বিজয় মেলা, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের আয়োজনে মহুয়া তলায় বিজয়ের গান এবং বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গ্রন্থ, জার্নাল, পোস্টার ও আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়।


দিনব্যাপী চলমান কর্মসূচিগুলোতে উপাচার্যের সাথে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, আবাসিক হলের প্রভোস্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রমুখ।

   

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি মেলা শুরু



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে সামার-২০২৪ সেমিস্টার উপলক্ষে শুরু হয়েছে ভর্তি মেলা।

শনিবার (১ জুন) দুপুর তিনটায় ইউনিভার্সিটির সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে ভর্তি মেলার উদ্বোধন করেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ফাতিনাজ ফিরোজ।

ভর্তি’মেলায় যে সকল শিক্ষার্থীরা ভর্তি হবেন, তারা ভর্তি ফির উপর ৫০% ছাড়সহ টিউশন ফির প্রথম সেমিস্টারে ১০% ছাড় পাবেন। আগামী ৩ জুন পর্যন্ত  বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪টি বিভাগের অধীনে ২৮টি প্রোগ্রামে এ অফার চলবে।

ভর্তি মেলায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য ড.ফারাহনাজ ফিরোজ, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউনুস মিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জিয়াউল হাসান, ভর্তি মেলা কমিটির কনভেনর ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য,কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং- ২০২৪-এ স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭ম স্থান অর্জন করেছে। এছাড়া দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বেসরকারি আছে ১৫ তম অবস্থানে।

;

ইবিতে রাতভর বিবস্ত্র করে র‍্যাগিং, বহিষ্কার ৩



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বহিষ্কার

বহিষ্কার

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে রাতভর বিবস্ত্র করে র‍্যাগিংয়ের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ৩ জনকে সাময়িক (এক বছর) বহিষ্কার এবং দুইজনকে সতর্ক করা হয়েছে।

রোববার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এতে বলা হয়, লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে আল-ফিকহ এন্ড লিগাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অপু মিয়ার সাথে র‍্যাগিং সংক্রান্ত ঘটনার যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির ১৩তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাগর প্রামাণিক (২০২১-২২), একই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. উজ্জ্বল এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুদাসসির খান কাফিকে (২০২১-২২) এক বছর তথা দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হলো।

এছাড়াও ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকায় অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাসিম আহমেদ মাসুম ও আইসিটি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিসনো আল আসনাওয়ীকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশে বহিষ্কার করা হয়েছে সাময়িকভাবে। তবে তাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যদি তারা যৌক্তিক কিছু পেশ করে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারে তবে অভিযোগ থেকে খালাস পাবে।

উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ্ হলের ১৩৬ নম্বর গণরুমে রাতভর বিবস্ত্র করে র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। এতে সিনিয়র তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এবং আরও দুইজনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানা যায়। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে অভিযোগের সত্যতা পায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারই প্রেক্ষিতে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির ১৩তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

;

না থেকেও চিরদিনের জন্য রয়ে গেলেন তারা!



নূর ই আলম, ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সব বিদায়ই বেদনার! আর এই বেদনার মধ্যে আরেকটু বেদনা যুক্ত হলে তা বহন করা আরো কঠিন হয়ে যায়! ঠিক তেমনই ভারাক্রান্ত মুহূর্তের সৃষ্টি হয়েছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ল' অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম ব্যাচের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।

২০২৩ সালে বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী নওরীন নুসরাত এবং দু'বছর আগে একই ব্যাচের ফাবিহা সুহার অকাল মৃত্যুতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বিদায় ক্ষণে!

বিভাগের প্রতিষ্ঠার পর প্রথম ব্যাচ ছিল ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্নের পর বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের।

এসময় সব শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা গেলেও তাদের সবার কথার মধ্যেই যেন একটা বেদনা বিরাজ করছিল। গ্রাজুয়েশন শেষে আনন্দে বিভোর থাকলেও দিনশেষে তাদের থেকে চিরবিদায় নেওয়া দুই সহপাঠীকে স্মরণ করেছেন বার বার!

শনিবার (১ জুন) ল' অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নওরীন এবং সুহার স্মরণে ‘এত আনন্দ আয়োজন সবই বৃথা আমায় ছাড়া’ নামে বিশেষ কর্নারের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে সহপাঠীরা ‘স্টিকি নোটস’ দিয়ে স্মৃতিচারণ করেন দুই সহপাঠীকে।

রওজা নামে এক সহপাঠী লেখেন- ‘নওরীন তুমি আমার প্রথম দিনের বন্ধু। তোমায় খুব মিস করি। আল্লাহ তোমাকে মাফ করে দিক’।

উর্মি নামে আরেক সহপাঠী লেখেন, ‘এমন কোনোদিন নেই যেদিন তোদেরকে মনে করি না আমরা। তোরা ছাড়া নন্দিনী অপূর্ণ। অনেক অনেক দোয়া সোহা এবং নওরীনের জন্য’!

এছাড়াও নাম-পরিচয় ছাড়া তাদের সহপাঠী, জুনিয়ররা ক্ষুদ্র চিরকুট লাগিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তাদের।

কথাগুলো ছিল এমন- ‘হৃদয়ের কাতারে ওঠে ব্যথা, খুঁজে বেড়ায় নওরীন আপুর আভা’, ‘ওপারে ভালো থাকুন আপনারা’, ‘আপনারা এখানে থাকলে পরিবেশটা ভিন্ন হতো’, ‘আপু আপনি ফিনিক্স পাখি হতে চেয়েছিলেন, উড়ে গেলেন দিগন্তে’!

এমন আরো অনেক কথায় তাদের স্মরণ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি, মায়ের ওপর অভিমান করে সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিজবাড়িতে গলায় ফাঁস দেন ফাবিহা সুহা। পরে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এছাড়াও ২০২৩ সালে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বিয়ের ১৯ দিনের মাথায় সাভারের আশুলিয়ায় নওরিন নুসরাত ছয়তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

;

দেশে থেকেই যুক্তরাজ্যের ডিগ্রি অর্জনে দুই প্রতিষ্ঠানের চুক্তি সই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য ও সম্মানজনক ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ারের (ইউক্ল্যান) সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি)।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের বাইরে না গিয়ে কম খরচে যুক্তরাজ্যের ডিগ্রি অর্জনের নতুন দ্বার উন্মোচনের লক্ষ্যে দু'টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ চুক্তি সই হয়েছে।

শনিবার (১ জুন) রাজধানীর গুলশানে ইউসিবি ক্যাম্পাসে এ উপলক্ষে একটি চুক্তি সই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইউসিবি'র চেয়ারম্যান ও বোর্ড অব ডিরেক্টরস বব কুন্দানমাল এবং ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ক্যাথেরিন জ্যাকসন।

নতুন চুক্তির ফলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এখন থেকে দেশে থেকেই যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, এমপি, ইউসিবি'র পরিচালক জারিফ মুনির এবং এসটিএস গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মানস সিং।

অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানান ইউসিবি'র প্রেসিডেন্ট ও প্রভোস্ট অধ্যাপক হিউ গিল।

এ উদ্যোগের প্রশংসা করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি বলেন, ‘শুধুমাত্র দেশেই নয়, পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সময়োপযোগী দক্ষতায় আমাদের তরুণদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যত কর্মশক্তিকে সমৃদ্ধ করার ব্যাপারে আমাদের মনোযোগী হতে হবে। ইউসিবি ও ইউক্ল্যানের মধ্যে অংশীদারিত্ব বৈশ্বিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি অনন্য উদাহরণ। খাতসংশ্লিষ্ট অন্যান্যদেরও এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিকভাবে ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী দেশের বাইরে যুক্তরাজ্যের ডিগ্রি অর্জনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে, ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার গঠন করছে। যুক্তরাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিতে নিবেদিতভাবে কাজ করছে এবং বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত তৈরিতে কাজ করছে।

ইউসিবির চেয়ারম্যান ও বোর্ড অব ডিরেক্টরস বব কুন্দানমাল বলেন, ইডসিবি-তে ইউক্ল্যান প্রোগ্রাম অ্যাকাডেমিক সাফল্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের চমৎকার সমন্বয়ের প্রতিনিধিত্ব করে।

ইউসিবি-তে আমরা রূপান্তরমূলক শিক্ষার সুযোগের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের নেতৃত্ব ও উদ্ভাবক তৈরি এবং তাদের পরিচর্যায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আমরা মনে করি, ইউক্ল্যান প্রোগ্রাম বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে সহায়তা করবে এবং তাদের শিল্পখাতে প্রাসঙ্গিক দক্ষতা অর্জনের সুযোগ উন্মোচন করবে। এ উদ্যোগ যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য দেশেই মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ তৈরির গুরুত্বকে আরো জোরদার করে তুলবে।

;