নির্বাচনে সক্রিয় ছাত্রলীগ, নিষ্ক্রিয় জবির অন্যান্য ছাত্র সংগঠন



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংহতির ধারক-বাহক পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), লেখাপড়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক চর্চায়ও পিছিয়ে নেই এই প্রাচীন বিদ্যাপীঠটি। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সৃষ্টিলগ্ন থেকেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ছাত্ররাজনীতির 'সুপার ইউনিট' বলা হয় ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটিকে।


এখানে যেমন ক্ষমতাসীন দল ছাত্রলীগের উপস্থিতি রয়েছে তেমনি রয়েছে ছাত্রদল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সরব উপস্থিতি। তবে বর্তমানে সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগ।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে(জবি) সক্রিয় অবস্থানে সংগঠনটি। ক্যাম্পাসে নিয়মিত রাজনৈতিক আড্ডা, শোডাউন, মিছিল, মিটিং সহ নানা সাংগঠনিক কার্যক্রমে শক্ত অবস্থানে রয়েছে সংগঠনটি। অপরদিকে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম দেখা যায় না বললেই চলে। জাতীয় নির্বাচন ঘিরে একমাত্র ছাত্রলীগ তাদের সংগঠনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা বজায় রেখেছে ।

জানা যায়, ২০২২ সালে ১লা জানুয়ারি মো. ইব্রাহীম ফরাজীকে সভাপতি ও এস. এম. আকতার হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ছাত্ররাজনীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন তারা। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে ও ইনিস্টিউটের কমিটি দেওয়া হয়। যার ফলে ছাত্রলীগের রাজনৈতিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা যায়।

কেন্দ্র ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক কর্মীসহ সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে তারা বিভিন্নভাবে সংগঠনিক কার্যক্রম পালন করছে। চলমান বিএনপির হরতালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলসহ নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা ক্যাম্পাসে বেঞ্চ পেতে পাহারা দেয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ক্যাম্পাসে নিয়মিত শোডাউন, মিছিল, মিটিংসহ সার্বক্ষণিক অবস্থা দেখা যায় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের।

অন্যদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের দীর্ঘ ১৯ বছর পর গত বছরের অক্টোবরের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলেও এখনো পর্যন্ত ক্যাম্পাসে তেমন কোন অবস্থা তৈরি করতে পারেনি। এমনকি ক্যাম্পাসে কখনো মিছিল, মিটিং বা প্রবেশ করতে পারেনি। পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তাদের সংগঠনিক কার্যক্রম সীমাবদ্ধ। শুধুমাত্র এই বছরের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তালা দেওয়াই ছিল তাদের ক্যাম্পাস ভিত্তিক একমাত্র কার্যক্রম।

সার্বিক বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, কোন ছাত্রদল কর্মী ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে গেলে তাকে জখম করা হয়, তার থেকে টাকা আদায় করা হয়। এজন্য ছাত্রদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা ক্যাম্পাসের বাইরে প্রোগ্রাম করি। সেক্ষেত্রে আমাদের ক্যাম্পাসে অবস্থান নেই সেটা বলা যাবে না। সবার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই ক্যাম্পাসে প্রোগ্রাম করি না ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, আমরা কমিটি হওয়ার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য ভিসি এবং প্রক্টর স্যারের সাথে কথা বলি। ওনারা বলেন আমরা ক্যাম্পাসে গেলে ছাত্রলীগ হামলা করতে পারে এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় ক্যাম্পাসের গেটে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে গিয়েছিলাম। তখন ছাত্রলীগের হামলায় ১ জন আহত হয়। আমাদের কমিটির ৬-৭ জন নেতাকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষার হল থেকে ধরে এনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নির্মম নির্যাতন করে আহত করে। যেখানে একজন নিয়মিত ছাত্রের নিরাপত্তা নেই সেখানে সহ অবস্থান কাল্পনিক ।

অপরদিকে কালে-ভদ্রে দু’একটি প্রেস রিলিজ ছাড়া দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম করতে দেখা যায় না জবির বাম সংগঠনগুলোকে। তবে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের দাবি, করোনা পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসে তাদের সাংগঠনিক কাজের ছেদ ঘটলেও বর্তমানে তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে । নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত শেষ করাসহ বর্তমান ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সংকট নিরসনের দাবি নিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের মাঝে যাচ্ছে। একই সাথে তারা পাঠচক্রের আয়োজন করছে ।

এদিকে ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা বলছেন, বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রহীনতার সংস্কৃতি চলছে। সেই সাথে ক্যাম্পাসগুলোয় নিয়মিত দমন-পীড়ন। যার ছাপ পড়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদেও। সরকারি ছাত্র সংগঠনের দমন-পীড়ন আর দীর্ঘদিনের গণতন্ত্রহীনতার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্রুত রাজনীতি প্রতি অনীহা জন্মাচ্ছে।

সার্বিক বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত করার জন্য ইতিমধ্যেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে সকল উন্নয়নগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা শুরু করেছি। আমরা আশা করি এবার নির্বাচনে তরুণ প্রজন্মের একক রায় হবে নৌকার পক্ষে। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করলে আমরা ছাত্রলীগ পরিবার তা কঠিন হাতে দমন করবো ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস. এম. আকতার হোসাইন বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা ক্যাম্পাসের আশেপাশে ও পুরান ঢাকায় প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তাছাড়া কারোর জান-মালের ক্ষতি ও নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হলে, যে কোন অপশক্তিকে প্রতিহত করা হবে।

   

নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা

জাবিতে ছিনতাইয়ের প্রচেষ্টায় দুই বহিরাগতকে পুলিশে সোপর্দ



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হল ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে মনপুরা এলাকার প্রবেশপথে দুই শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়, নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা ও ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে দুই বহিরাগতকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আটক নাজমুল হাসান (৩২) সাভারের লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা, তার স্থায়ী ঠিকানা পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার খলিলপুর গ্রাম। আরেক অভিযুক্ত আলামিন (২৮) একই প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন প্রকল্পে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায়৷ এছাড়া অভিযুক্তদের মধ্য থেকে একজন পালিয়ে যাওয়ায় তার পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি৷

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা যায়, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন ও তার নারী বন্ধু সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনপুরা এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন৷ এসময় তিনজন ছিনতাইকারী তাদের পথরোধ করে দাঁড়ায়। তারা সঙ্গে সঙ্গে ভুক্তভোগীদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ও তাদের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়৷

পরবর্তীতে প্রায় তিনঘণ্টা আটকে রাখার পর রুহুল আমিন টাকা আনার কথা বলে সুকৌশলে বন্ধুদের ফোন করেন। এসময় সালাম বরকত হল থেকে শিক্ষার্থীরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এসময় ছিনতাইকারীদের বেধড়ক মারধর করেন৷ অভিযুক্তদের একজন পালিয়ে গেলেও অবশিষ্ট দু'জনকে হাতেনাতে ধরে নিরাপত্তা শাখায় হাজির করে শিক্ষার্থীরা৷ এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী৷

এদিকে ঘটনা ঘটার প্রায় ৩ ঘণ্টা পর রাত দশটায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসে অভিযুক্তদের নিয়ে আসে৷ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবিরের সঙ্গেমুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘটনাটি যেহেতু বহিরাগতদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেহেতু নিরাপত্তা অফিস বিষয়টি দেখভাল করবে। আমি নিরাপত্তা অফিসকে সঙ্গেসঙ্গেবিষয়টি জানিয়েছি।

পরে রাত পৌনে একটায় আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক নুর আলম মিয়া অভিযুক্ত, ভুক্তভোগী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে আশুলিয়া থানায় যান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন ।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল জানান, আমি এ ঘটনা জানার পরপরই প্রক্টর মহোদয়কে অবহিত করেছি। রেজিস্ট্রার মহোদয়ের অনুমতি সাপেক্ষে পুলিশের সোপর্দ করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মামলা দেয়ার জন্য কিন্তু ধর্ষণচেষ্টা অভিযোগের মামলা ভিকটিমকেই দিতে হয় বিধায় আমরা এখন ভিক্টিমকে নিয়ে থানায় যাচ্ছি৷

;

শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিল চায় চবি শিক্ষক সমিতি



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিল চায় চবি শিক্ষক সমিতি

শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিল চায় চবি শিক্ষক সমিতি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদেশে গবেষণা বা পিএইচডি করার জন্য শিক্ষকদের ২০% শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত দুইটি দাবি সম্বলিত একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

উপাচার্য বরাবর পাঠানো চিঠিতে অস্থায়ী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ ও শিক্ষকদের পদোন্নতির ব্যাপারেও দাবি করা হয়। এক্সট্রা অর্ডিনারি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধানের জোর দাবিও জানায় সংগঠনটি।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- দীর্ঘদিন যাবৎ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত না হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে আছে। এমনকি কিছু সংখ্যক শিক্ষকের স্থায়ী নিয়োগও আটকে আছে। এসব শিক্ষকের স্থায়ী নিয়োগ জুনের পরে হলে তাদেরকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম (প্রত্যয় স্কিম) এ অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

এমতাবস্থায়, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে একটি এক্সট্রা অর্ডিনারি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধানের জোর দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটির বিষয়ে ২০% বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে অনেক শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে যাওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। অথচ অনেক শিক্ষক নিজ উদ্যোগে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপের মাধ্যমে ভর্তি নিশ্চিত করেছেন এবং তাদের অনেকের এমএস/পিএইচডি প্রোগ্রাম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এই বাধ্যবাধকতা থাকা অবস্থায়ও এমন কোনো রেকর্ড নেই যে, ইতোমধ্যে কোনো শিক্ষককে শিক্ষা ছুটি প্রদান করা হয়নি।

এমতাবস্থায়, ২০% বাধ্যবাধকতার বিধান রহিত করার দাবি জানাচ্ছি। এটি রহিত না করা পর্যন্ত শিক্ষা ছুটির আবেদনকরী শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটি মঞ্জুর করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুর রহমান এ ব্যাপারে বার্তা২৪.কমকে জানান, দীর্ঘদিন সিন্ডিকেট সভা না হওয়ায় কিছু শিক্ষকের স্থায়িত্ব ও পদোন্নতি আটকে আছে, এগুলো যাতে ৩০ জুনের মধ্যেই সমাধান হয় এ ব্যাপারে আমরা উপাচার্য মহোদয়কে জানিয়েছি।

এছাড়াও ২০% শিক্ষাছুটি যাতে করে বাতিল করা হয়। কারণ একজন শিক্ষকের বাইরের দেশে যাওয়ার ব্যাপারটা এই কোটার উপর সীমাবদ্ধ নয়, এখানে অনেক পরিশ্রম ও ফান্ডের ব্যাপার আছে। ইতঃপূর্বেও অন্যান্য উপাচার্যগণ ২০% এর ওপরে শিক্ষা ছুটি দিয়েছেন। আমাদের দাবি যাতে করে ২০% শিক্ষা ছুটির শর্তটি রহিত করা হয়।

;

যবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ১৩ কর্মীকে আজীবন বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চাকরি প্রার্থীদের অপহরণ এবং একজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ১৩ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানাসহ চারজনকে এর আগেও বহিষ্কার করা হয়েছিল। আজীবন বহিষ্কৃত ১৩ জনের বিরুদ্ধেই দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ১০০তম (বিশেষ) সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায় ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর লিফট অপারেটরের চাকরি প্রার্থীদের অপহরণের ঘটনা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এবং তাদের বিষয়ে ইতোমধ্যে জারিকৃত বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করায় যবিপ্রবি’র ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. বেলাল হোসেন, ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম রাইসুল হক রানা, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থী নৃপেন্দ্র নাথ রায়, মুশফিকুর রহমান, ফাহিম ফয়সাল লাবিব ও মো. আবু বক্কারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যবিপ্রবির রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস অনুযায়ী, আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে ফাহিম ফয়সাল লাবিবের বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই।

এছাড়া চলতি বছরের ৪ জুন দিনগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩০৬ নম্বর কক্ষে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিন রহমানকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় যবিপ্রবির শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সোহেল রানা, রেদওয়ান আহমেদ জিসান, মো. বিপুল সেখ, ইছাদ হোসেন, মো. আশিকুজ্জামান (লিমন) ও মো. আমিনুল ইসলাম; ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. বেলাল হোসেন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. রায়হান রহমান রাব্বীকে যবিপ্রবির রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস অনুযায়ী আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তবে সোহেল রানা, ইছাদ হোসেন এবং আশিকুজ্জামান (লিমন) ও ফাহিম ফয়সাল লাবিবের বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই।

উল্লিখিতদের মধ্যে যাদের ছাত্রত্ব নেই, তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও আবাসিক হলে প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

;

কুবি প্রশাসনকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অফিসার্স এসোসিয়েশন দাবি আদায়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) অফিসার্স এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর দেওয়া এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়।

চিঠিতে উল্লেখিত দাবিগুলো হলো- অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেনের ওএসডি নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহারকরণ, সহকারী রেজিস্ট্রার/সমমান পদের কর্মকর্তাদের গ্রেড ৭ম থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেডের স্কেলে উন্নীতকরণ, ডেপুটি রেজিস্ট্রার/সমমান পদের কর্মকর্তাগণ ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে সর্বমোট ১২ (বারো) বছর পূর্ণ হলে সরকারি গেজেট মোতাবেক গ্রেড ৫ম থেকে ৪র্থ গ্রেডের স্কেলে উন্নীতকরণ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে যোগদানকৃত ১২ জন কর্মকর্তাকে যোগদানের তারিখ থেকে সেকশন অফিসার পদে পদায়নের ব্যবস্থাকরণ, অভ্যন্তরীণ প্রার্থীদেরকে শূন্য পদে স্থায়ীকরণের ব্যবস্থাকরণ, আপগ্রেডেশন নীতিমালা সংশোধন কমিটি পুনঃগঠন ও তা দ্রুততার সাথে বাস্তবায়নকরণ, ডিউ ডেইট থেকে কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ, অর্গানোগ্রাম সংশোধনে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশবিশেষ দ্রুততার সাথে কার্যকর করণের ব্যবস্থা গ্রহণ, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় বিভাগে (একাডেমিক ভবন) কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরীক্ষা পারিতোষিক প্রদান করা।

এ দাবিগুলো আগামী সাত দিনের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সময় বেধে দিয়েছে অফিসার্স এসোসিয়েশন।

এ ব্যাপারে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, 'আমাদের দাবিগুলা সাত কর্মদিবসের মধ্যে মেনে নিতে হবে। যদি না মানা হয় তাহলে আমরা ৭ কর্মদিবসের পর কঠোর কর্মসূচি পালন করবো।'

;