বন্ধের সিদ্ধান্তের পরও শেকৃবিতে চলমান ল্যাব খাতার রীতি 



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বন্ধের সিদ্ধান্তের পরও শেকৃবিতে চলমান ল্যাব খাতার রীতি 

বন্ধের সিদ্ধান্তের পরও শেকৃবিতে চলমান ল্যাব খাতার রীতি 

  • Font increase
  • Font Decrease

পুরনো বছরের কোনো ল্যাব খাতা দেখে নতুন খাতায় লিখা কিংবা কোনো শিট দেখে ল্যাব খাতায় তুলে ফেলা বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান এক আদিম প্রথা। রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও (শেকৃবি) এই রীতির বাইরে নয়। যদিও আট মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ল্যাব খাতা লিখা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, যে সকল শিক্ষক আগে থেকেই ল্যাব খাতা লিখার বিপক্ষে ছিল এবং এর পরিবর্তে ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করত সিন্ডিকেট মিটিং এর এই সিদ্ধান্ত শুধু তাদের কার্যক্রমকে বৈধতা দিয়েছে। আর যারা পূর্বেও ল্যাব খাতা লিখার পক্ষে ছিল তারা এখনও একই রীতিতে কার্যক্রম চালাচ্ছেন।  

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, 'আমাদের ল্যাব কোর্সগুলোর ১০ শতাংশ নম্বর ল্যাব খাতার উপর থাকে। কিন্তু এই অংশ থেকে আমরা কিছুই শিখতে পারি না। উল্টো রাতভর ল্যাব খাতা লিখতে গিয়ে পরীক্ষার আসল জিনিস পড়তে বা প্রাকটিস করতে পারি না। অনেক সময় পরীক্ষা খারাপ হওয়ার কারণও হয়ে দাড়ায় এই ল্যাব খাতা লিখা। আমাদের ক্লাস নোটগুলোর উপর ল্যাব খাতার মার্কিং করলে আমাদের জন্য বেশি কার্যকর হতো। সবাই মনোযোগ দিয়ে ক্লাসও করত, শেখাও হতো এবং নম্বরও পাওয়া যেতো। এই পদ্ধতি চালুকরণে কোনো সমস্যা হওয়ার তো কথা নয়। অনেক শিক্ষক এই পদ্ধতি অনুসরণও করছেন।' 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃতীয় বর্ষের কৃষি অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, 'মাড়িয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এত বড় আন্দোলন হলো। শুনলাম সিন্ডিকেট মিটিংয়েও পাশ হলো লিখতে হবে না ল্যাব খাতা। সিদ্ধান্তের বিষয়ে আনন্দিত হলেও নতুন সেমিস্টারে সেই আগের পদ্ধতিতেই ল্যাব খাতা লিখতে হচ্ছে। জানি না এই সিদ্ধান্তের কি কার্যকারিতা হয়েছে, তবে দীর্ঘ দিন ধরে চলমান এই রীতি বন্ধ হওয়া উচিত। মাড়িয়া মৃত্যু কেন্দ্রিক অন্য দাবিগুলো কার্যকর না হলেও এই একটি দাবি অন্তত বাস্তবায়িত হওয়া উচিত।' 

উল্লেখ্যে,গ ত ২৩ মার্চ ২০২৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাড়িয়া নামক এক শিক্ষার্থী আবাসিক হলের ১০ তলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করলে সাধারণ শিক্ষার্থী
বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। মিডটার্ম চালু, সাইকোলজিস্ট নিয়োগ এবং ল্যাব খাতা বন্ধকরণসহ বেশ কিছু দাবি শিক্ষার্থীরা উত্থাপন করলেও ল্যাব খাতা বন্ধে প্রশাসন একমত পোষণ করে এবং দ্রুত সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ল্যাব খাতা লিখা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষকগণ এই রীতিকে অকার্যকর মনে করলেও বন্ধের সিদ্ধান্তের আট মাস পরে এখনও চলমান রয়েছে এই রীতি।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. আবুল ফায়াজ মো. জামাল উদ্দিন বলেন, 'প্রথমত আমরা বিশ্ববিদ্যালয় হলেও এখনও বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে  অপারগতা দেখিয়েছি ।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে নিজেদের সন্তান হিসেবে চিন্তা করতে পারিনি। তাদের সমস্যা গুলোকে নিজেদের সমস্যা মনে করা বাদ দিয়ে, নিজেদের সমস্যা ও স্বার্থ হাসিলে আমরা ব্যস্ত। ল্যাব খাতা লিখা বন্ধকরণ বড় কোনো বিষয় নয়। ক্লাস নোটকেই ল্যাব খাতার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এমনিতেই আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড মানসিক চাপে থাকে। তার উপর অপ্রয়োজনীয় দীর্ঘ দিন ধরে চলমান এই রীতি তাদেরকে আরও প্রেসারে ফেলছে। একটু চেষ্টা করলেই পরিবর্তন সম্ভব।' 

অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, 'স্মার্ট বাংলাদেশে থেকে কীভাবে আমরা এই আদি রীতি অনুসরণ করি তা বোধগম্য নয়। আগের লেখা ল্যাব খাতা দেখে নতুন করে লেখার মধ্যে কি মহত্ত্ব বিদ্যমান রয়েছে তা আমাদের অজানা। এগুলো শুধু সময়ের অপচয় মাত্র। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খাতা লিখা বন্ধ করলেও আমাদের এখনও অধিকাংশ ডিপার্টমেন্টের ল্যাব খাতা লিখতে হচ্ছে। আশা করছি এই অপ্রয়োজনীয় রীতি থেকে প্রশাসন যথার্থ ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের নিষ্কৃতি দিবে।' 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.অলক কুমার পাল বলেন, 'আমাদের সিন্ডিকেটে ল্যাব খাতা লিখা বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা ব্যাবস্থা নিয়েছি। কিন্তু বয়স্ক কিছু শিক্ষক দীর্ঘ দিন ধরে চলমান এই রীতি পরিবর্তন করে নতুনত্বের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারছেন না। তবে আমরা চেষ্টা করছি, তাদেরকে বুঝাচ্ছি, আশা করি দ্রুতই পরিবর্তন সম্ভব হবে। আমরা পুরোনো খাতা দেখে ল্যাব খাতা লিখার পক্ষে নই।' 

   

রিকুইজিশনের নিয়ম মেনেই শিক্ষার্থীদের গাড়ি দেওয়া হয়েছে: বশেফমুবিপ্রবি প্রশাসন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) মাইক্রোবাস নিয়ে ছাত্রলীগের নেতারা ঢাকায় ঘুরতে যাওয়ার ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) সমালোচনার ঝড় বইছে। তবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কামরুল আলম খান বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, গাড়িটি যথাযথ নিয়ম মেনেই শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছিলো।

জানা গেছে, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের মাইক্রোবাসটি (ঢাকা মেট্রো চ- ৫৬-৩৮৭৩) রিকুইজিশনে নিয়ে গত কয়েকদিন আগে ঢাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একটা প্রোগ্রামে যান।

কিন্তু গত বুধবার ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি নিয়ে ঢাকায় ৬ ছাত্রলীগ নেতা’ শিরোনামে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে বলা হয়, কর্মচারীদের জন্য ব্যবহৃত মাইক্রোবাস নিয়ে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ছয় নেতা। তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কাউসার আহাম্মেদ স্বাধীন, যুগ্ম আহ্বায়ক তাইফুল ইসলাম পলাশ, মোকাররম হোসাইন, নাজমুল ইসলাম, এন সাকলাইন ও সদস্য ইখতিয়ার উদ্দিন ইমন।

তবে বিষয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কামরুল আলম খান শুক্রবার (১৪ জুন) বিকালে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে রিকুইজিশনের শর্তমতে গাড়িটি তাদের দেওয়া হয়। শর্তানুযায়ী তারা গাড়ির যাবতীয় খরচ পরিশোধ করেছেন। বিষয়টা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন নীতিমালায় উল্লেখ করা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো শিক্ষার্থী চাইলে জরুরি প্রয়োজনে গাড়ি নিতে পারবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউসার আহাম্মেদ স্বাধীন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের একটা প্রোগ্রাম ছিলো। ঈদের এই সময়ে ঢাকা গিয়ে ফিরে আসতে গাড়ি পাওয়া যায় না, অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবার রিকুইজিশনে গাড়ি চেয়ে আবেদর করেছিলাম। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনুমতি দেয়। সাধারণ শিক্ষার্থী ‍হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কেউ এ আবেদন করতে পারে। অথচ বিষয়টিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তাইফুল ইসলাম পলাশ বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। যে সাংবাদিকরা নিউজ করেছেন তারা কেউই আমাদের কোনো বক্তব্যই নেয় নাই। যা হয়েছে নিয়ম মেনেই হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন নীতিমালার কোনো ব্যত্যয় আমরা ঘটাইনি। সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে যে কেউ চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি স্বাপেক্ষে এ সুবিধা নিতে পারবে। এতে ভাড়াসহ যাবতীয় খরচ শিক্ষার্থীকে বহন করতে হয়।

;

শামুক নিয়ে গবেষণায় রাবি গবেষক দলের সাফল্য



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শামুক নিয়ে গবেষণায় যুগান্তকারী সাফল্য পেয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের মলাস্কান রিসার্চ ল্যাবরেটরীর একদল গবেষক। এই গবেষণায় প্রথমবারের মতো দেশে গেছো শামুকের এমফিড্রোমাস প্রজাতির উপর কাজ করে পাঁচটি প্রজাতি শনাক্ত করেছে গবেষক দলটি। যার মধ্যে দুটি নতুন এবং অপ্রকাশিত প্রজাতি। গবেষক দলটির অভিমত, দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এই গবেষণাটি ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ রাখবে।

রাবির প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহরিয়ার শোভনের নেতৃত্বে পরিচালিত এ গবেষণার ফলাফল সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জার্নাল সিস্টেমেটিক্স অ্যান্ড বায়োডাইভারসিটিতে প্রকাশিত হয়েছে।

যৌথ এই গবেষণা প্রকল্পে ড. শাহরিয়ার শোভনের সহযোগী ছিলেন- চেক রিপাবলিকের মাসারিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. তাকুমি সাইতো, জাপানের রিউকাস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক তাকাহিরো হিরানো, খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রূপময় তঞ্চঙ্গা, রাবির প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রহিম বাদশা এবং জাপানের তহুকো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক ইয়াসুতো ইশি।

গবেষক দলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে চলমান এ গবেষণায় বাংলাদেশের ১৩টি স্থান থেকে ৪৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে গেছো শামুকের প্রজাতি এমফিড্রোমাস-এর উপর কাজ করা হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচটি প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুটি নতুন এবং অপ্রকাশিত প্রজাতি। সংগৃহীত নমুনাগুলো মাইটোকন্ড্রিয়াল ১৬এস রাইবোসোমাল আরএনএ, সাইটোক্রোম সি অক্সিডেজ সাবইউনিট ওয়ান এবং নিউক্লিয়ার ইন্টারনাল ট্রান্সক্রাইবড স্পেসার ১-এর মলিকুলার ফাইলোজেনেটিক বিশ্লেষণ এবং হ্যাপ্লোটাইপ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। এছাড়া, এলিপটিক্যাল ফুরিয়ার এনালাইসিসের মাধ্যমে শামুকের খোলসের আকার ও ব্যান্ড প্যাটার্ন মূল্যায়ন করা হয়।

গবেষক দল জানিয়েছে, আবিষ্কৃত প্রজাতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এমফিড্রোমাস গ্লোবোনেভিলি, যা বাংলাদেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের বিস্তৃত এলাকায় পাওয়া গেছে, এটি মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ বৈচিত্র্য প্রদর্শন করে। এছাড়া, এসবে এমফিড্রোমাস সাইনেনসিস ভিকারিয়া এবং এমফিড্রোমাস সিলহেটিকাস-এর উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে এমফিড্রোমাস সিলহেটিকাস বাংলাদেশে নতুনভাবে আবিষ্কৃত হয়েছে, যা দেশের পূর্বাঞ্চলে পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে এই গবেষণায় প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যৌথভাবে ড. শাহরিয়ার শোভন এবং ড. তাকুমি সাইতো বলেন, এই গবেষণাটি বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও মূল্যায়নের জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরবে। এই গবেষণার ফলাফল ভবিষ্যতের গবেষণা ও পরিবেশের বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি সংরক্ষণ কৌশলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি প্রদান করবে। এই সাফল্যের ফলে দেশে গেছো শামুকের প্রজাতি নিয়ে গবেষণায় নতুন দিগন্তের সূচনার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই গবেষণাটি আরও গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের আশা জাগাচ্ছে বলে জানান এই দুই গবেষক।

;

মুস্তাকিম-ইকবালের নেতৃত্বে ইবি’র আই-ইইই



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার্স (আই-ইইই) ইবি ব্রাঞ্চের ২০২৪ বর্ষের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মুস্তাকিম মুসল্লী পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন ইকবাল হোসেন।

বুধবার (১২ জুন) আই-ইইই এর ইবি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গতকাল অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

৩২ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহ সভাপতি ফারুক আহমেদ, শফিকুল ইসলাম ও মারুফা ইয়াসমিন মিশু এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রনক হাসান এবং সহকারী সম্পাদক হিসেবে সাজ্জাদ হোসেন সৈকত পদপ্রাপ্ত হয়েছেন।

কমিটিতে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে মো. বুরহান মিয়া, ওয়েবমাস্টার আব্দুল্লাহ আল নোমান ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ওয়েবমাস্টার ইব্রাহিম চৌধুরী এবং সাদমান সাকিব। এছাড়াও প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ মো. হেমায়েত হোসেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ জুবায়ের আনজুম রনি এবং ভিজুয়াল অ্যান্ড গ্রাফিক্স কো-অর্ডিনেটর হজরত শাহ শয়ন ও সাকীফ মাহমুদ ফয়সাল। পাবলিক রিলেশনস কোঅর্ডিনেটর মুবাশশির আমিন। তাছাড়া লজিস্টিকস কো-অর্ডিনেটর শাহজাদা সাজিদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট লজিস্টিকস কো-অর্ডিনেটর মাহবুব হাসান উল্লাস ও আশিকুর রহমান সম্পদ, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অপারেশন কো-অর্ডিনেটর নাঈমুল ফারাবী ও মো. জুলফিকার আলী। কন্টেন্ট রাইটার কোঅর্ডিনেটর কে এম জুবায়ের আহমদ, পাবলিকেশন কোঅর্ডিনেটর ওমর ফারুক, স্টুডেন্ট অ্যাক্টিভিটি কোঅর্ডিনেটর মো. ইয়াকুব আলী ও সরকার তুহাসসিনুল আর্নব রয়েছেন। 

সাজিয়াতুন জান্নাত ছোঁয়া ও জীবন আলী উক্ত কমিটিতে আছেন পাবলিসিটি কোঅর্ডিনেটর হিসেবে। বিভিন্ন বিভাগের মেম্বারশিপ ডেভলপমেন্ট কোঅর্ডিনেটর হিসেবে আছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নাবিলা, এ আর রাফি অয়ন, তৌহিদ হাসান নীরব ও তাহমিদ ইসলাম আকিব। ফটোগ্রাফি কোঅর্ডিনেটর মিনহাজ তাজনিম হিমেল ৩২ সদস্যের এই কমিটিতে পদায়ন হয়েছেন।

এছাড়াও আই-ইইই ইবি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের কাউন্সিলর হিসেবে সংযুক্ত আছেন আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাহিদুল ইসলাম। এছাড়াও উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. মনজারুল আলম ও অধ্যাপক ড. মো. জালাল উদ্দিন।

সদ্য গঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন ‘আমরা প্রযুক্তির উন্নতি ও উদ্ভাবনের প্রতি গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে নতুন ধারণা ও উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের শাখাকে আরও এগিয়ে নিতে চাই। সকল সদস্যের সহযোগিতায় আমরা প্রযুক্তিগত অগ্রগতির শীর্ষে পৌঁছানোর জন্য নিরলস পরিশ্রম করবো।’

নবনির্বাচিত সভাপতি মুস্তকিম মুসল্লী পিয়াস বলেন ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আমাদের সদস্যদের জন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা যেখানে তারা প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং তাদের সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগাতে পারে।’

প্রসঙ্গত, ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্সটিটিউট অব ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (আই-ইইই) বিশ্বের ইঞ্জিনিয়ারদের সর্ববৃহৎ সংগঠন। সংগঠনটি বিশ্বব্যাপী প্রকৌশল ও প্রযুক্তির উন্নতি সাধনে নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ২০১৯ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আই-ইইই স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ যাত্রা শুরু করে। একই বছর দেশসেরা উদীয়মান ব্রাঞ্চ হওয়ার গৌরব অর্জন করে আই-ইইই ইবি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ।

;

পার্বত্য অঞ্চলে কিছু গোষ্ঠী বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে: চবি উপাচার্য



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলে কিছু গোষ্ঠী উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো আমাদের সংবিধানে বিস্তারিত বলা আছে। বঙ্গবন্ধু এ বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতেন বলেই সংবিধানে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের অধিকার সমানভাবে যুক্ত করেছেন।

মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ২টায় চবি উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ, বাংলাদেশের (সিসিআরএসবিডি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত "সশস্ত্র সংঘাত ও তথ্যবিভ্রান্তির বিরুদ্ধে ছাত্র-যুবসমাজের ভূমিকা" শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

চবি অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তন্ময়ী হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, বিশেষ অতিথি চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সিসিআরএসবিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মাহফুজ পারভেজ, সিসিআরএসবিডির পরিচালক রাজকুমার সুই চিং প্রু, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম এবং আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক।

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু খুব দ্রুত পার্বত্য অঞ্চলের সংঘাত নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এ ছাড়া ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেছিলেন। ইতোমধ্যে নৃগোষ্ঠীর ভাষাগুলো সংগ্রহের জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলো মূলত তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্যই। যুবসমাজের প্রতি বিশেষ অনুরোধ, আমাদের মধ্যে বিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু ভালো করে জানতে হবে প্রকৃত ঘটনা কী? প্রয়োজনে গবেষণা করতে হবে, আলোচনায় বসতে হবে, যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বিষয়গুলো সমাধান করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘স্থলভাগের চেয়ে জলভাগে সম্পদ বেশি থাকে। আমাদের সমুদ্রে যে সম্পদ আছে, সেটা আহরণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও ব্লু ইকোনোমির দিকে নজর দিচ্ছেন। খুব দ্রুতই কক্সবাজার আন্তর্জাতিকভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হয়ে উঠবে। মূলত সব সংঘাতের পেছনে এগুলোই কারণ। সাম্রাজ্যবাদ বিভিন্নভাবে আপনার ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে চাইবে, সেগুলো আমাদের বুঝতে হবে। সরকার পার্বত্য অঞ্চলে উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। মনে রাখবেন আমাদের দেশে দুর্নীতিও হয়, উন্নতিও হয়। এটাকে অনেক অর্থনীতিবিদ মিস্ট্রিয়াস ইকোনমিও বলছে।’

অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজ বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করতে হবে। শান্তি একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে চূড়ান্ত করতে হবে। পার্বত্য এলাকার পিছিয়ে পড়া তরুণ সমাজকে আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। অস্ত্রের মুখে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। পাহাড়ে যেভাবে সন্ত্রাস-০জঙ্গিবাদ চলছে, তা কারও অজানা নয়। আমাদের সচেতনভাবে সেগুলো মোকাবিলা করতে হবে।’

সিসিআরএসবিডির পরিচালক রাজকুমার সুই চিং প্রু বলেন, ‘দুঃখের বিষয় এ অঞ্চলে সংঘাতের কারণে আমাদের মানুষের মাঝে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। আমাদের সংঘাতের কারণগুলো উদঘাটন করতে হবে। তথ্য বিভ্রান্তি আমাদের এ সংঘাতের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মারমা সম্প্রদায় শান্তি ও সম্প্রীতির প্রতি ঐতিহ্যগতভাবে একমত। বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আমরা শিখতে পারি শান্তি স্থাপনে যুবসমাজ অনেক বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আপনাদের সচেতনতা এবং সহযোগিতাই কাম্য।’

সভাপতির বক্তব্যে চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলের সঙ্গে যে শান্তিচুক্তি, সেখানের ৭৫টি দাবির মধ্যে ৫০টির বেশি ইতোমধ্যে পূরণ করা হয়েছে। অথচ আমরা দেখছি একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী সংঘাত সৃষ্টি করছে। ফলে শান্তিচুক্তি ভঙ্গ হওয়ার ব্যাপক আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। সেটা একবার পার্বত্য অঞ্চল ঘুরে এলেই উপলব্ধি করা যায়।’

;