মাঝরাতে ঢাবির ছাত্রীদের আন্দোলন, উপাচার্যের আশ্বাসে হলে ফেরত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীগণ মাঝরাতে আন্দোলন করছেন হল প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। পরে উপাচার্যের আশ্বাস পেয়ে তারা হলে ফিরে গেছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে হলের ভেতরে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ৯টার দিকে বঙ্গমাতা ও মৈত্রী হলের বাইরের মূল গেটের ভেতরে ও হল গেটের বাইরের রাস্তায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। এরপর ভিসি চত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীগণের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তাঁর আশ্বাস পেয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীগণ রাত পৌনে দুইটার দিকে হলে ফিরে যান।

জানা যায়, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের সিকদার মনোয়ারা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত করেছে ঢাবি প্রশাসন। যার ফলে এ ভবনটি থেকে আবাসিক শিক্ষার্থীদের সরিয়ে মূল ভবনের রুমগুলোতে সিট বরাদ্দ করা হচ্ছে। কিন্তু হল প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে নারাজ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীগণ। এর কারণ হিসেবে তারা বলেন, হলের ৪ জনের রুমগুলোতে ৬/৭ জন করে থাকছি। এর মাঝে আবার অন্য ভবন থেকে শিক্ষার্থী রুমে আসলে রুমটিতে অত্যধিক সমস্যার সৃষ্টি হবে। এ সমস্যা এড়াতেই আন্দোলন করছি।

এ বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল হলের ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানান, ভূমিকম্পের পরে আমি নিজে হল পরিদর্শনে গিয়েছি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে ছাত্রীদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলমান রয়েছে। হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এর একটি সুন্দর সমাধান করা হবে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সুন্দর সমাধান আমি করার চেষ্টা করব।

উল্লেখ্য, এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হলের নানা ধরনের অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করেছে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

 

   

কুবির তিন শিক্ষকের সদস্যপদ বাতিল ‘অযৌক্তিক'; দাবি শিক্ষকদের



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতি থেকে তিন শিক্ষকের সদস্যপদ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতি। তবে সদস্যপদ বাতিল হওয়া শিক্ষকরা বলছেন, 'এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।'

সদস্যপদ বাতিল হওয়া তিনজন শিক্ষক হলেন- লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখ, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী এবং অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান শিকদার।

সোমবার (৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পৃথক তিনটি চিঠি থেকে এই বিষয়টি জানা গেছে।

চিঠিগুলোতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ মে শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করার অভিযোগে তিন শিক্ষকের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে পাঁচ কার্যদিবসের মাঝে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলে সেটির জবাব দেন তিন শিক্ষকই। তবে সেটিকে 'সন্তোষজনক নয় বলে বিবেচিত' করে শিক্ষক সমিতি। সেই প্রেক্ষিতে গত ২৮ মে হতে তাদের শিক্ষক সমিতির সদস্য পদ বাতিল করা হয়।

এই বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, 'আমার সদস্যপদ কেন বাতিল হলো তা আমি জানি না। আমি কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছি। কিন্তু সেটিকে অসন্তোষজনক উল্লেখ করে সদস্যপদ বাতিল করা সম্পূর্ণ অবৈধ, অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছি। পাশাপাশি এটি আমার চরিত্র হননের জন্য একটি পন্থা মনে হচ্ছে।'

অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান শিকদার বলেন, 'আমার কারণ দর্শানো অসন্তোষজনক এমন উল্লেখ করে সদস্যপদ বাতিল করাটা রাজনৈতিক মনে হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অযৌক্তিক।'

ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'আমি শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করিনি। বরং শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা তিন দপ্তরে তালা দিয়েছিলো সেটির বিরোধিতা করেছি। আমি মনে করি আমাদের সদস্যপদ বাতিল না করে যারা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার কাজ করেছে তাদের সদস্যপদ বাতিল করা উচিত। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।'

শিক্ষক সমিতির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, 'আমরা তিনজন আলোচনা করছি। আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিবো।'

এই বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, 'সদস্যপদ বাতিলের ক্ষেত্রে আমরা শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের যথাযথ আইন মেনেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের সম্মতিক্রমেই উনাদের (তিন শিক্ষক) সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। তাই এটিকে অবৈধ এবং অযৌক্তিক বলার কোনো কারণ নেই।'

;

ইবির আন্তঃহল ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল হল



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ইবির আন্তঃহল ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল হল

ইবির আন্তঃহল ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল হল

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আন্তঃবিভাগ ও আন্তঃহল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২০২৪ এ হল পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শেখ রাসেল হল। ফলে টানা দুইবার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নিজেদের সেরা প্রমাণ করলো হলটি।

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে শুরু হওয়া ফাইনাল ম্যাচে লালন শাহ হলকে ৯ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলে শেখ রাসেল হল।

খেলার শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় লালন শাহ হল। শেখ রাসেল হলের ওপেনিং বোলার শুভ প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পরে লালন শাহ হল। পরবর্তীতে নির্ধারিত দশ ওভারে জয়ের করা উনচল্লিশ রানের উপর ভর করে ছয় উইকেটে ছিয়াত্তর রান করতে সক্ষম হয় লালন শাহ হল।

এরপর সাতাত্তর রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে শেখ রাসেল হল। প্রথম ওভারেই তুলে নেন বারো রান। পরবর্তীতে সাকিবের অপরাজিত চৌত্রিশ ও দোলনের অপরাজিত একুশ রানের ফলে নয় উইকেটের বড় জয় পায় শেখ রাসেল হল।

এ জয়ের ফলে টানা দুইবার আন্তঃহল ক্রিকেটের শিরোপা নিজেদের করে নিলো শেখ রাসেল হল।

উল্লেখ্য, আগামীকাল আন্তঃবিভাগ ক্রিকেটের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাথে ফাইনালে মুখোমুখি হবে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ।

;

ঈদে আবাসিক হল খোলা রাখতে ইবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে হল খোলা রাখার দাবিতে আন্দোলন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে কোনো সিদ্ধান্ত না পেয়ে পরবর্তীতে হল গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।

সোমবার (৩ জুন) দুপুর ২টার বাস ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার সময় হলে মেইন গেইটে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় হল গেইটের সামনে শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসের লম্বা লাইন সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের উপস্থিতিতে উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎকারের আশ্বাস দিয়ে গেইটের তালা খুলে দেয়া হয়।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ'র উপস্থিতিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করেন।

এতে বলা হয়,আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ৬ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত মোট ২৩ দিন গ্রীষ্মকালীন ও পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ছুটি থাকবে। উক্ত ছুটির মধ্যে আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকবে ১০ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত মোট ১৪ দিন। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও গোষ্ঠীর শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। নির্দিষ্ট ধর্মীয় এসব ছুটিতে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী অনেক শিক্ষার্থীর বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হয় এবং দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।

সে সময় প্রভোস্ট কাউন্সিলে আলোচনা করবেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ।

এর আগে, গত ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে আগামী ১০ জুন সকাল ১০টা থেকে ২৪ জুন সকাল ১০টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সমূহ বন্ধ থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের ১০ জুন সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশও দেওয়া হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, অনেকের বিজেএস এর প্রিলি হয়েছে সামনে রিটেন পরীক্ষা। তাছাড়া অনেকেই বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই ওনাদের জন্য এই লম্বা ছুটি ক্ষতির কারণ। অনেক চাকরি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই প্রভোস্ট কাউন্সিলের সাথে আলোচনা করে ভিসি স্যার এই ছুটি কমিয়ে আনে যেন সেই দাবি আমাদের সকলের পক্ষ থেকে।

প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও সাদ্দাম হোসেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত হয় ১১ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত হল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। এখন শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি আমাকে ছাত্র উপদেষ্টা অবগত করেছেন। এখন যদি প্রশাসন থেকে আমাদের চিঠি দেয়া হয় তাহলে বিষয়টি নিয়ে একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নেব।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম জানান, এই বন্ধের বিষয়টি এখন এসে বললে সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হয়ে পরে। বিষয়টি নিয়ে যদি তারা আরো আগে আসতো তাহলে ছুটির বিষয়টি দেখা যেতো। ক্যাম্পাস এবং হল তার নিজস্ব নিয়ম এবং সিডিউল মেনে চলে। একাডেমিক ক্যালেন্ডার দিয়ে দেওয়া হয়েছে বছরের শুরুতেই। হল বন্ধের ব্যাপারটা পূর্ব নির্ধারিত। আমি চাইলেও নিয়মবহির্ভূত হয়ে তার বাইরে কিছু করতে পারবো না। এখন ছুটির সিদ্ধান্ত এবং রেজুলেশন হয়ে গেছে। এই বিষয়ে আমি ছাত্র উপদেষ্টাকে বলেছি প্রভোস্ট কাউন্সিলের সাথে যোগাযোগ করতে। তারপর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।

;

সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবি ইবি কর্মকর্তাদের



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সর্বজনীন পেনশনের 'প্রত্যয়' স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আওয়াতামুক্ত রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। এসময় বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন তারা।

সোমবার (৩ জন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবনের সামনে বটতলায় প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

এসময় উপস্থিত কর্মকর্তারা বলন, প্রত্যয় স্কিম প্রণয়নে একজন কর্মকর্তা মারা গেলে তার নমিনি ৭৫ বছর পর্যন্ত ভাতা পাবে, যা বর্তমানে চালু থাকবে না। একজন সচিব ঠিকই রিটায়ারমেন্টের পর ভাতা পাবে কিন্তু আমাদের থাকবে না। এমনই নানা রকম অসঙ্গতি রয়েছে এই সিস্টেমে। তাই এই বৈষম্যমূলক প্রত্যয় স্কিম থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আওতামুক্ত রাখতে হবে।

আরও বলেন, এটি একটি ষড়যন্ত্র। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন সর্বজনীন পেনশন ঘোষণা করেন তখন এই ‘প্রত্যয়’ স্কিম অন্তর্ভুক্ত ছিলো না। ২০১৫ সালে ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে শিক্ষকদের অবনমন করা হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্রের ফলেই এটি হয়েছে। আমরা আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং অনতিবিলম্বে এ বৈষম্যমূলক স্কিমের আওতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মুক্ত রাখতে দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ ২০২৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বর্তমান পেনশন ব্যবস্থা থেকে বের করে সর্বজনীন পেনশন স্কিম এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে যারা যোগদান করবেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সার্বজনীন পেনশনের সর্বশেষ স্কিমের আওতাভুক্ত করতে হবে। ফলে আগামী ১ জুলাই এবং তৎপরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

;