'প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহারসহ তিন দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

'প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহারসহ তিন দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এর আয়োজনে সোমবার (১ জুলাই) থেকে সারা দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে সর্বাত্মক কর্মবিরতি।

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের প্রধান ফটকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাবি শিক্ষকগণ বেলা ১২টা থেকে ১টা অব্দি এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সকল কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেন।

এ সময় প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে কলা ভবনের মূল ফটকে ফেডারেশনের সঙ্গে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাশাপাশি কর্মবিরতি পালন করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।

এ আন্দোলনে, শিক্ষকদের দাবি- প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি শুধু প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল।

প্রসঙ্গত, এর আগে রোববার কর্মসূচির বিষয়ে ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে জানানো হয়, পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন তিন মাসেরও অধিক সময় ধরে বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে। কিন্তু এ সময়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

প্রস্তাবিত ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাস্তবায়ন করা হলে যারা আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে আগ্রহী, তারাও ভুক্তভোগী হবেন। কাজেই এ আন্দোলন আগামী দিনের তরুণ সমাজের স্বার্থরক্ষার পক্ষে এবং উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের চক্রান্তের বিরুদ্ধে। এখনো আশা করি, সরকার অনতিবিলম্বে এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেবেন। অন্যথায় ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও গতকাল ৯টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের সব ক্লাস বন্ধ থাকবে, অনলাইন-সন্ধ্যাকালীন ক্লাস ও শুক্র-শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস বন্ধ থাকবে, সব পরীক্ষা বর্জন করা হবে, বিভাগীয় চেয়ারম্যান বিভাগীয় অফিস-সেমিনার-কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ রাখবেন, একাডেমিক কমিটি-সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটি ও প্রশ্নপত্র সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে না, অনুষদের ডিনরা তাদের কার্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন, নবীনবরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহণ করা যাবে না, কোনো বাছাই বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা ইনস্টিটিউটের কার্যালয়, ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখবেন, সন্ধ্যাকালীন, শুক্র ও শনিবারের ক্লাস বন্ধ থাকবে, বিভিন্ন গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালকরা কোনো সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপের কর্মসূচি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষরা প্রাধ্যক্ষ কার্যালয় বন্ধ রাখবেন এবং প্রধান গ্রন্থাগারিক কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বন্ধ রাখবেন।'

উল্লেখ্য, এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, কারিগরি কর্মচারী ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সংগঠনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছে। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে তারা প্রতিবাদ সমাবেশও করেছে। সোমবার থেকে শিক্ষকদের মতো কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদও অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছে।

বাংলা ব্লকেড: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, ১৩ কিলোমিটার যানজট



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাংলা ব্লকেড

ছবি: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাংলা ব্লকেড

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষণার প্রতিবাদে ও ২০১৮ সালের কোটা বাতিল করে দেওয়া প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীরা প্রায় চার ঘন্টা অবরোধ করেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক।

সারাদেশে 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই অবরোধে অংশ নেয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ, জেলার বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এই অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুইপাশে প্রায় ১৩ কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা সদর দক্ষিনের কোটবাড়ি অংশের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এসে সড়ক অবরোধ করেন। পরবর্তীতে সাড়ে সাতটা নাগাদ তারা অবরোধ তুলে নেন।

এসময় তারা 'লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই, আমার সোনার বাংলায়, বৈষ্যমের ঠাই নাই, লেগেছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে, একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে ইত্যাদি বলে স্লোগান দেন।

স্লোগানের পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থাও করেন শিক্ষার্থীরা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের পলাশ হাসান বলেন , 'সাংস্কৃতিকভাবে আমরা আন্দোলনে আছি। আমি কবিতা আবৃত্তি করেছি, কবিতা হচ্ছে প্রতিবাদের ভাষা। বায়ান্ন, একাত্তরে কবিতা ছিলো প্রতিবাদের বাহক, তাই আমরাও এই আন্দোলনে কবিতাকে আওতাভুক্ত করেছি।'

এর আগে গত ৪ ও ৭ জুলাই ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক প্রায় তিন ঘন্টা ও চার ঘন্টা অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে চারদফা দাবি জানিয়ে অবরোধ তুলে নেয় তারা।

;

কোটা আন্দোলন, শাহবাগে কৃষক বেশে তিন শিক্ষার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শাহবাগে কৃষক বেশে তিন শিক্ষার্থী, ছবি: বার্তা২৪.কম

শাহবাগে কৃষক বেশে তিন শিক্ষার্থী, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেও মেধার মূল্যায়ন পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। এর অন্যতম কারণ ৫৪ শতাংশ কোটা। ফলে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে কোটা আন্দলোনের পঞ্চম দিনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে কৃষকের বেশে দেখা গেছে তিনজন শিক্ষার্থীকে। তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী।

কৃষকের বেশে আসা শিক্ষার্থীরা হাতে বহন করছিলেন একটি প্লাকার্ড। যেখানে লেখা রয়েছে- ‘চল, চল, চল- পড়াশোনা বাদ দেই, মাঠে গিয়ে চাষ দেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাদমান বলেন, ‘আমাদের বাবা-মা মধ্যবিত্ত৷ চাষার সন্তান। আমরা দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। পড়াশোনা শেষে সরকারি চাকরির সঠিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় হচ্ছে। সরকার আমাদের মেধার মূল্যায়ন করতে পারছে না।

তাই চাকরির পরীক্ষায় কোটা আর প্রশ্ন ফাঁসের মতো নানা অনিয়মের কারণে মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষের আদি পেশায় ফেরত যাওয়া ছাড়া কোনো পথ দেখছি না।

এ সময় তার সঙ্গে কৃষকের বেশে ছিলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ্দাম এবং জাপানিজ ভাষা অনুষদের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম। তাদের এক হাতে কোটা সংস্কার ও কৃষি কাজে যাওয়ার প্লেকার্ড। অপর হাতে বই। লুঙ্গি, গেঞ্জি আর গামছায় সেঁজে ছিলেন নবীন কৃষক।

;

রাবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

ছবি: রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্থারের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ সংলগ্ন ফ্লাইওভারের নিচে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের ৪ ঘন্টা রেলপথ অবরোধের ফলে কয়েকটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক আহম্মেদ মাসুম। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধের ফলে ঢালারচর থেকে চাপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখী ঢালারচর এক্সপ্রেস, খুলনা টু রাজশাহী অভিমুখী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস এবং ঢাকা টু রাজশাহী অভিমুখী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এসব ট্রেনের আবার ফেরার ক্ষেত্রেও শিডিউল বিপর্যয় হবে।

এর আগে, এদিন বেলা ১১টায় বিভিন্ন হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সমবেত হন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে দুপুর ১২টায় রেলপথে অবস্থান নেয় তারা। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা কোটা বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানের পাশাপাশি কবিতা আবৃতি ও নানা ধরনের সংগীত পরিবেশন করেন। এভাবে ৪টা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন বিভিন্ন বিভাগের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। এ সময় ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘কোটা বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘১৮ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠায় নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’সহ একের পর এক বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

বিকেল ৪টায় কর্মসূচি শেষে রাবি কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রেজোয়ান গাজী মহারাজ পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে বলেন, আমরা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আন্দোলন করেছি, কিন্তু পরিস্থিতি আমাদের মেইন গেটে নিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। আজকে আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রেললাইন অবরোধ করেছি। পরিস্থিতি যদি আমাদের আরও কঠোর হতে বাধ্য করে, আমরা আরও কঠোর হবো। আমাদের এখন এক দফা দাবি, কেবল প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারী চাকুরিতে নয়, বরং সকল চাকুরিতেই আমরা কোটার সংস্কার চাই। এসময় পরবর্তী কর্মসূচি সারাদেশের সঙ্গে সমন্বয় করে সন্ধ্যার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া, এদিন একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।

;

শেকৃবিতে 'বাংলা ব্লকেড' চলমান, আগারগাঁও মোড় অবরোধ



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা বিরোধী তীব্র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) এবং আগারগাঁও অঞ্চল। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ এবং আগারগাঁও মোড়ে অবরোধ পালন করে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।‌

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ৩ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে ক্যাম্পাস জুড়ে স্লোগান-মিছিল দিয়ে আগারগাঁও আট রাস্তার মোড়ে জড়ো হয়। পরবর্তীতে শত শত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠে। এসময় মিরপুর-ফার্মগেট এবং মহাখালী-শিশুমেলা সড়ক দুই ঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। যার ফলস্বরূপ এই রুটে যান চলাচল বন্ধ থাকে এবং দুই রুটে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। বিকাল ৫টার পরে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধা-ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা; ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের থেকে মেধা-ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া।

এই অবরোধকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে কোটা প্রথার বিরোধিতা করেন। শিক্ষার্থীদের দেওয়া স্লোগান গুলো “উড়ছে পাখি দিচ্ছে ডাক, কোটা প্রথা নিপাত যাক”, “যুদ্ধ হবে আরেকবার, করবো কোটা সংস্কার”, “কোটা বৈষম্য দূর কর, নইলে বুকে গুলি কর”, “আমার দেশ আমার মা, বৈষম্য মানি না” সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হারুনর রশীদ বলেন, 'শিক্ষার্থীদের এই অবরোধকালীন সময়গুলোতে আমরা উপস্থিত ছিলাম। মানুষের দুর্ভোগ ও বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেজন্য বারবার অনুরোধ করেছি।'

উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি মুলতবি হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন। ফলে আপাতত হাইকোর্টের রায় বহাল রয়েছে।

;