‘সর্বাত্মক কর্মবিরতি শিক্ষকদের স্বার্থে নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য’
সর্বাত্মক কর্মবিরতি শিক্ষকদের স্বার্থে নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান।
সোমবার (০১ জুলাই) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষকদের ডাকা সর্বাত্মক কর্মবিরতি সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষকরা কখনো চাই না শিক্ষার্থীরা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হোক। ইতোপূর্বে কোভিডের সময়ে সেশনজট তৈরি হয়েছিল।আমরা অনলাইনে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে সেশনজট মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, আমাদের এই পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। সাময়িকভাবে মনে হতে পারে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ আন্দোলন বর্তমান শিক্ষকদের স্বার্থের জন্য নয়, এ আন্দোলন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।
আগামী দিনে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ সকল জায়গাতে আসবে, কিন্তু সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা হয়, তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি এবং শিক্ষকতার প্রতি বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এই দায়বদ্ধতা থেকেই আমাদের এই আন্দোলন। আমরা আশা করছি, আমাদের এই দাবি মেনে নেওয়া হবে, এবং আমরা ক্লাসে ফিরবো। আমরা চেষ্টা করব, এ আন্দোলনের ফলে যতটুক ক্ষয়ক্ষতি হবে, তা সারিয়ে নিতে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সোমবার (০১ জুলাই) থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দাফতরিক ও একাডেমিক সকল কাজ হতে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ঘোষণা দিয়েছে সর্বাত্মক কর্মবিরতির। এতে করে শিক্ষার্থীরা রয়েছে চরম অনিশ্চয়তায়। সেশনজটের আশঙ্কাও করছেন অনেক শিক্ষার্থী।
তবে এ আন্দোলন শিক্ষার্থীদের সেশনজটের কারণ হবে না বলে জানিয়েছেন চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ.বি. এম আবু নোমান। তিনি বলেন, আমাদের এই কর্মবিরতির কারণে শিক্ষার্থীদের যদি কোনো ক্ষতি হয়, অনলাইনে ক্লাস নিয়ে, অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে এছাড়াও প্রয়োজনে বন্ধের দিনে ক্লাস নিয়ে আমরা এই ক্ষতি পোষিয়ে নিব।