‘বিভাজিত না হয়ে রাষ্ট্র সংস্কারে মনোনিবেশ করা উচিত’

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেছেন, আমরা সবাই পরিবর্তন চেয়েছি, তাই পরিবর্তন আনতে পেরেছি। সবার সম্মিলিত চাওয়া একটি গণ অভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছে। এ অভ্যুত্থান ব্যর্থতায় ম্লান হবে, যদি আমাদের চাওয়া-পাওয়া অনুযায়ী দেশকে গড়তে না পারি। তাই সবার উচিত কোনভাবেই বিভাজিত না হয়ে রাষ্ট্র সংস্কারে মনোনিবেশ করা।

রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারি কক্ষে জুলাই গণঅভ্যুত্থান: স্মৃতিচারণ ও ভবিষ্যৎ ভাবনা শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

পেশিভিত্তিক রাজনীতির পরিবর্তে বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতির চর্চা সমুন্নিত হোক মন্তব্য করে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ফয়সাল বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আমাদের ওপর ভয়াবহ এক ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছিল। জাহাঙ্গীরনগর ছিল এখানকার আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র। ১৫ জুলাই যখন জাবিতে হামলা হয়, তখন গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা এসে যুক্ত হই। শিক্ষকরা আমাদের সামনের দিক থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা চাই পেশিভিত্তিক রাজনীতির পরিবর্তে বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতির চর্চা হোক৷

জুলাই গন অভ্যুত্থানে নিম্নবিত্ত শ্রেণি পেশার মানুষের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণের কথা স্মরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে যখন আন্দোলন থেমে গিয়েছিল, জাবিতে এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্দোলন চলমান ছিল। শুধু ছাত্ররাই ছিল এমন নয়, শিক্ষকরা আমাদের পাশে ছিলেন। ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় ও রাতে আমাদের ওপর দুই বার হামলা হয়। ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত হন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ৫ আগস্টের চূড়ান্ত দিনে শিক্ষকরা ছিলেন সামনের সারিতে। এ আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ করেছে নিম্নবিত্তরা৷

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন, ছাত্র আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার দিন আমি প্রক্টরকে অনুরোধ করি প্রশাসন যেন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা না করে। শিক্ষার্থীরা বিপদে পড়ে আমার সাথে যোগাযোগ করেছে, আমরা শিক্ষকরা সাধ্যমত তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। ১৫ জুলাই রাতে হামলার পর ফেরারি আসামির মতো ঘুরে বেড়িয়েছি। এখন বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠুক এটাই প্রত্যাশা।

এসময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রবসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।