তথ্য ফাঁসের মামলার আসামি কুবির নতুন উপাচার্য

  • কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য ফাঁসের মামলার আসামি কুবির নতুন উপাচার্য

তথ্য ফাঁসের মামলার আসামি কুবির নতুন উপাচার্য

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁসের অভিযোগে করা মামলায় আসামি হিসেবে নাম আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক এবং সদ্য নিয়োগ পাওয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর। মামলায় নামধারী ১৯ জনের তালিকায় ১১ নম্বর আসামি হিসেবে আছেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রধান আসামি করে ১৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৯ অক্টোবর) এনামুল হক (৩৯) নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলা করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির কাফরুল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) কাজী গোলাম মোস্তফা।

অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) কাজী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মামলা হয়েছে। বাকি তথ্য হেড কোয়ার্টার থেকে দেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহারে বলা হয়, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে জনগণের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বিক্রি করেছেন। জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেডকে এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসার অনুমতি দেন অভিযুক্তরা। যে তথ্য দেশ ও দেশের বাইরের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়। তৃতীয়পক্ষের কাছে তথ্য পাচার হওয়ায় জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। তথ্য বিক্রির প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও আনা হয় এ মামলায়।

মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক ডাক এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জোনায়েদ আহম্মেদ পলক, সাবেক ডাটা সেন্টার পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ , ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস এর পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরিফ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় এর সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, সাইবার নিরাপত্তা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক নির্বাহী পরিচালক(অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহাবুবুর রহমান, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এর সাবেক পরিচালক (অপারেশন) জনাব আবদুল বাতেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এর সাবেক সিনিয়র মেইন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার জনাব মো. আশরাফ হোসেন, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) লেফটেনেন্ট কর্ণেল অব. মো. রাকিবুল হাসান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক উপসচিব জনাব মো. রেজাউল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহফুজুল, রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সিস্টেম এনালিস্ট অলিউল হাসান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব মো. তবিবুর রহমান, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক সহকারী পরিচালক মুহা. সরওয়ার হোসেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক আব্দুল মমিন সরকার, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক জনাব মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ম্যানেজার (সিকিউরিটি অপারেশন) মোহাম্মদ মহিদুর রহমান খান, ম্যানেজার, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সফটওয়্যার ডেভেলপার, মো. সিদ্দীকুর রহমান।

এ বিষয়ে বাদী এনামুল হক বলেন, ‘এজাহারে আমি আমার বক্তব্য দিয়েছি। সেটিই মূলত আমার বক্তব্য।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।