চবির হলে দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা, অপেক্ষায় শতাধিক শিক্ষার্থী

  • চবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম,চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দীর্ঘ ৮ বছর পর আবাসিক হলগুলোতে আসন বরাদ্দ দিয়ে প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আসন ফাঁকা সাপেক্ষে পরের সপ্তাহে দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও চার সপ্তাহের ব্যবধানেও তা প্রকাশ করেনি তারা। অপেক্ষমান শিক্ষার্থীদের মধ্য শঙ্কা জেগেছে কবে প্রকাশ হবে এই বরাদ্দ তালিকা।

জানা যায়, ৪ অক্টোবর হলের আসন বরাদ্দ দেওয়ার পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে মেধার ভিত্তিতে দ্বিতীয় মেরিট দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো প্রকাশ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে বিপাকে পড়েছেন অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা। অধিকাংশ বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা শুরু হওয়ায় হলের বাইরে থাকতে কষ্ট হচ্ছে বলে জানান তারা।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীরা বলেন, কোনো বিভাগ থেকে ৫০ জন সিট পেয়েছে, আবার কোনো বিভাগ থেকে অল্প কয়েকজন সিট পেয়েছে। আবার অনেক শিক্ষার্থী হলে আসন নেয়, কিন্তু অবস্থান করে না। এছাড়া, এক শিক্ষার্থী দুই হলে আসন পেয়েছে। অন্যদিকে, দীর্ঘ সময় পর বছরের শেষ দিকে ক্যাম্পাস সচল হওয়ায় প্রায় সব বিভাগে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় আবাসন ব্যবস্থার সুরাহা না হওয়ায় হতাশায় রয়েছেন অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা।

পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তাক আহমেদ বলেন, হলের সিট বরাদ্দের প্রথম মেরিট দেওয়ার পরে প্রায় ১ মাস হয়ে যাচ্ছে দ্বিতীয় মেরিট দিচ্ছে না প্রশাসন। এই দিকে যারা ওয়েটিং এ আছে তাদের সবাই একটা আশা নিয়ে বসে আছে মেরিট দিলে হলে উঠবে। এমতাবস্থায় কেউ বাইরেও বাসা নিতে পারতেছে না। ইতোমধ্যে অনেক ডিপার্টমেন্টের পরীক্ষাও শুরু হয়ে গেছে ও অনেক ডিপার্টমেন্ট পরীক্ষার তারিখ দিয়ে দিছে ফলে আবাসন কষ্ট হচ্ছে । আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যেই হল প্রশাসন যেন দ্বিতীয় মেরিট প্রকাশ করে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, ছাত্রী হলগুলোর মধ্যে আগে থেকেই প্রায় সিটে শিক্ষার্থীরা বৈধভাবে হলে অবস্থান করছেন। নতুন করে কিছু আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ছাত্র হলগুলোর মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ আসন খালি রয়েছে। এর মধ্যে আলাওল ও এ এফ রহমান হলে প্রায় অর্ধেক আসন খালি। অন্য হলগুলোর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী হলে তেমন আসন খালি নেই। আমানত, শাহজালাল ও আব্দুর রব হলে কিছু আসন খালি রয়েছে। অন্যদিকে, নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু হল ও অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি।

আইসিটি সেল এবং বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশের পর বিভিন্ন সমস্যা ও অভিযোগ নিয়ে প্রায় ৭০০টি আবেদন পড়েছে। এগুলো সমাধান করে দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করতে সময় লাগছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের প্রতিটি অভিযোগ আমলে নিয়ে কাজ হচ্ছে বলেও জানানো হয়।

আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর সাইদুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমাদের আইসিটি সেলে যেসব অভিযোগ পড়েছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করছি। এসব কাজ শেষ করতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে। আমাদের কাজ শেষ হওয়া মাত্রই আমরা দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন বলেন, প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশের পর বেশ কিছু অভিযোগ পড়েছে। এগুলো বিবেচনায় নিয়ে কাজ চলছে। আমরা চাচ্ছি যে অভিযোগগুলো এসেছে পরবর্তী ফলাফলে এগুলোর পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে। শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে।