পাঁচ দফা দাবিতে রুয়েট শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

  • রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচ দফা দাবিতে রুয়েট শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

পাঁচ দফা দাবিতে রুয়েট শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নগরীর তালাইমারী মোড়ে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা।

শিক্ষার্থীদের অন্য দাবি হলো, রুয়েট সংলগ্ন এলাকাগুলো চুরি, ছিনতাই, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করা; ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত টহল নিশ্চিত করা; অবিলম্বে তালাইমারী মোড়ে পুলিশ বক্স নির্মাণ করা।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীরা বলেন, সেদিন হত্যার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। অথচ জড়িতরা জামিনে মুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনার জবাব চাই। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় আন্দোলন চলবে।

জানতে চাইলে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, এ ঘটনার রাতেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তারাসহ অন্য আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকার পাশে হজোর মোড়ে রুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। ফলে ৭ জনের নামসহ ৫০ জন অজ্ঞাত আসামি মামলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক (সিকিউরিটি) জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ ঘটনায় শাহাবুদ্দিন ও জুয়েল নামে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে সবাই এখন জামিনে মুক্ত হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রকি ও শুভ কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য পদ্মা আবাসিকের হজোর মোড়ে যান। কেনাকাটা শেষে ৫০০ টাকার নোট দিলে দোকানদার শাহাবুদ্দিন জানান তার কাছে খুচরা নেই। তখন শিক্ষার্থীরা আরও জিনিস কিনে টাকাটা ভাংতি করতে বলেন। তখন দোকানদার খারাপ আচরণ করেন। এ নিয়ে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়। শুভর মাথায় স্থানীয় একজন বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন। রকিকেও মারধর করা হয়। পরে তারা সহপাঠীদের মুঠোফোনে খবর দেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকরাও উপস্থিত হন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে বাজারের বণিক সমিতির সঙ্গে কথা বলছিলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এসময় দ্বিতীয় দফায় হামলা করা হয় শিক্ষার্থীদের ওপর। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।