রাবি শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধরের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের দুই কর্মী মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন। দুপুর ২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সেখানেই অবস্থান করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেলা সোয়া ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় শিক্ষার্থী মারধরের প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ঘটনাস্থালে এসে শিক্ষার্থীদের চলে যেতে অনুরোধ করেলেও শিক্ষার্থীরা অবরোধ চালিয়ে যান।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, কিছুদিন আগে আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের টর্চার সেল রয়েছে। বুয়েটে আবরার হত্যা, রাজশাহী পলিটেকনিকে অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলেছে ছাত্রলীগ। রাবিতেও বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের মারপিট করে ছাত্রলীগ। সব অপকর্মে ছাত্রলীগের কিছু দুষ্কৃতিকারী জড়িত। তাদের এ ক্ষমতা কে দেয়?

সোহরাবের সহপাঠীরা জানান, মারধরে তার বাম হাতের কনুইয়ের ওপর ও নিচে দুই জায়গায় ভেঙে গেছে। মাথার তিন জায়গায় মোট ১৫টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আপাতত এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ফিন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সোহরাব মিয়া নামের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মী। তার মাথা ও শরীরে ১৫টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মারধরে জড়িতরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। এরা দুইজনই জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বে রয়েছেন এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী।

হল সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ লাকের নেতৃত্বে সোহরাবসহ ফ্যাইনান্স বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হলের তৃতীয় ব্লকের ২৫৪ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সোহরাবকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। একপর্যায়ে তারা দুইজন মিলে সোহরাবকে রড দিয়ে মারধর শুরু করেন। সোহরাব রক্তাক্ত হলে তারা মারধর বন্ধ করেন। পরে সোহরাবের বন্ধুরা গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

   

শেকৃবির ছাত্রী হলে তীব্র পানি সংকট



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ছবি: বার্তা২৪.কম

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) আবাসিক হলগুলোতে বিভিন্ন সময়ে পানি সংকটের সমস্যা দীর্ঘদিনের। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ সায়েরা খাতুন হলের ছাত্রীরা তীব্র পানি সংকটে ভুগছেন। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে ছাত্রীরা হলে এসে পানি পাচ্ছে না। ওয়াশরুমে ও ফিল্টারে খাবার পানি না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

জানা যায়, ২০২০ সালে ১০ তলা বিশিষ্ট শেখ সায়েরা খাতুন ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০২৩ সালে চালু করা হয়। চালুর পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে হলে পানি সংকটের ঘটনা ঘটলেও স্থায়ী কোনো সমাধান করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রিজার্ভার নষ্ট থাকার কারণে হলটিতে দুপুরে বেশিরভাগ সময়ে ওয়াশরুমে পানি থাকে না, কখনো খাবার পানি থাকে না। ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা হলে এসে ওয়াশরুমে যেতে পারেনা, গোসল করতে পারেনা। মাঝেমধ্যে ওয়াশা থেকে পানি সাপ্লাই দেওয়া হয় তবে তা পর্যাপ্ত নয়।

হলে অবস্থানরত এক শিক্ষার্থী বলেন, হলে ওয়াশরুমে পানি নেই, কোনো ফিল্টারে পানি নেই। হঠাৎ একটু পানি আসলেও তাতে ময়লা থাকে, পানির রং থাকে কালচে। সেই পানি দিয়ে হাত মুখ ধোয়াও সম্ভব না, শরীর চুলকায়। এভাবে হলে থাকতে কষ্ট হচ্ছে খুব। পরীক্ষা থাকার কারণে হলে আসতে হয়েছে ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার সাথে সাথেই। হল প্রশাসন আমাদের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিলে এরকম পানি সমস্যায় ভুগতে হতো না।

হলটির আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গোসলের সময় পানি না পেয়ে অন্য হলে গিয়ে গোসল করেছি। পানি আবাসিক হলের মৌলিক প্রয়োজনগুলোর একটি অথচ আমরা দীর্ঘদিন পানি না থাকার সমস্যায় ভুগছি। আমরা মেয়েরা অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করছি এখানে। প্রভোস্ট স্যারকে বারবার বলেও কোনো সমাধান পাচ্ছি না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অতিদ্রুত পানি সংকটের স্থায়ী সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।’

শেখ সায়েরা খাতুন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের যেন অসুবিধা না হয়। পাম্পে সমস্যার জন্য এমন হয়েছে। চলতি মাসের ২৮ জুন নাগাদ সমস্যা সমাধান হবে বলে প্রকৌশল বিভাগ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। বর্তমানে আমরা ওয়াসা থেকে পানি নিয়ে শিক্ষার্থীদের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছি। নিজস্ব পাম্প ঠিক হলে সমস্যা থাকবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. মোমেনুল আহসান বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের পানির সমস্যা হতে দিব না। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই নতুন পাম্পের সাথে হলের পানির সংযোগ স্থাপন করে দিব। আর এই কয়দিন ওয়াসা থেকে পানি এনে সার্বক্ষণিক রিজার্ভ ট্যাংক পরিপূর্ণ রাখার চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীদের বিষয়গুলো আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করি।’

;

মঙ্গলবার থেকে ৩ দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে যাবে জাবির শিক্ষকরা



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: বার্তা২৪.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে মঙ্গলবার (২৫ জুন) থেকে ৩ দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষকগণ৷

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাহেদ রানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মবিরতি সংক্রান্ত এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়া আগামী ০১ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণাও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়৷

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি থেকে আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। পরে ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে৷ তবে এ সময়ে অনুষ্ঠাতব্য পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে৷ এছাড়া আগামী ০১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হবে।

এর আগে, চলতি বছরের ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রত্যয় স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী ০১ জুলাই থেকে নিয়োগপ্রাপ্তরা এই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবেন বলে জানানো হয়।

;

কর্মচারীদের হাতে অবরুদ্ধ বুয়েট উপাচার্য, লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুক্তি



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: কর্মচারীদের হাতে অবরুদ্ধ বুয়েট উপাচার্য

ছবি: কর্মচারীদের হাতে অবরুদ্ধ বুয়েট উপাচার্য

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৫ সালের পদোন্নতি নীতিমালা বহালের দাবিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারকে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কর্মচারীদের প্রতিনিধি দলকে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন কর্মচারীগণ।

সোমবার (২৪ জুন) বিকেল থেকেই উপচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন ৩ শতাধিক কর্মচারী। আন্দোলনের এক পর্যায়ে রাত সাড়ে আটটায় কর্মচারীদের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাতজে আলোচনায় বসেন বুয়েট উপাচার্য। কর্মচারীদের দাবি বাস্তবায়নের পক্ষে উপাচার্য নিজে সুপারিশ করে পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় প্রস্তাবনা তুলবেন বলে আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন কর্মচারীগণ।

আন্দোলনরত কর্মচারীরা জানান, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বুয়েট সিন্ডিকেটের ৫৪০তম সভায় ২৭-১২-২০২৩ তারিখের পরবর্তী সময়ে নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রাপ্যতার জন্য বিবেচিত হবেন না বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিষয়টি জানিয়ে গতকাল রোববার বুয়েট কর্তৃপক্ষ একটি অফিস আদেশ জারি করে। এ আদেশে উল্লেখ করা হয়, নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে যাদেরকে পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদান করা হয়েছে তা অপরিবর্তিত থাকবে। নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে যাদেরকে পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদান করা হয়েছে, তাদের চাকুরি শেষ হলে/পদত্যাগ করলে/অপসারণ/পদচ্যুত করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের অর্গানোগ্রাম বহির্ভূত পদ বিলুপ্ত হবে এবং অর্গানোগ্রামভূক্ত মূল পদ শূন্য হবে।

এছাড়াও, ২৭-১২-২০২৩ তারিখের পরবর্তী সময়ে প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদানে সরকারি নীতিমালা এবং ইউজিসি অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম প্রযোজ্য হবে। কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি সরকারি নীতিমালায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে প্রাপ্ত গ্রেডের চেয়ে উচ্চতর গ্রেড অথবা পদপ্রাপ্ত হন তাহলে তা প্রদান করা হবে। সব সিদ্ধান্ত উল্লেখপূর্বক অনুমোদনের জন্য ইউজিসিতে প্রেরণ করা হবে বলেও ওই অফিস আদেশে জানানো হয়।

তাই তারা দাবি উপস্থাপন করে বলেন, আমরা আগের নীতিমালা বহাল চাই। এই দাবিতে উপচার্যকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তিনি যেন আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করেন সেই দাবি জানাই। তিনি বহুবার আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু আজকে তার শেষ কার্যদিবসে আমরা এমন একটি প্রজ্ঞাপন দেখলাম যেটি মোটেও কাম্য নয়। আমরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বুয়েটেও ন্যায্য সুবিধাদি চাই।

উল্লেখ্য, অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উপাচার্য বের হয়ে নিজ বাসভবনে যাওয়ার সময় আন্দোলনরত কর্মচারিগণ তাকে উদ্দেশ্য করে 'ভুয়া,ভুয়া' স্লোগান দিয়ে ঘিরে রাখেন। এ সময় সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করলে তিনি জবাব দেন নি।

;

তিনদিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবে কুবি শিক্ষক সমিতি



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নির্দেশনা মোতাবেক দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি করবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতি।

সোমবার (২৪ জুন) মুঠোফোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এই বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, 'কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক আমরা ২৫ জুন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবো। পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।'

প্রসঙ্গত, প্রত্যয় স্কিম নিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী- আগামী ১ জুলাই বা তার পরে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থার চাকরিতে যারা যোগদান করবেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় প্রত্যয় স্কিমে যুক্ত করা হবে। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এর অন্তর্ভুক্ত হবে। এছাড়াও ২০২৫ সাল থেকে সরকারি কর্মকর্তারা এ পেনশনের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

;