কাবেরী হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি বাদী ও স্বজনদের

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, রাজবাড়ী, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রভাষক কৃষ্ণা কাবেরী, ছবি: সংগৃহীত

প্রভাষক কৃষ্ণা কাবেরী, ছবি: সংগৃহীত

২০১৫ সালের ৩০ মার্চ ভাড়া বাসায় দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত রাজধানীর আদাবরের মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক কৃষ্ণা কাবেরী হত্যা মামলার আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চায় মামলার বাদী নিহতের ভাসুর রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের পাকালিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সুধাংশু শেখর বিশ্বাস।

বুধবার (২ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় মামলার বাদী সুধাংশু শেখর বিশ্বাস বার্তা২৪-এর কাছে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

বিজ্ঞাপন

সুধাংশু শেখর বিশ্বাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'গুলশানের ব্রোকারেজ হাউজ হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ছোট ভাই বর্তমান বিআরটিএ'র পরিচালক সীতাংশু শেখকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বাসায় যায়। এ সময় আসামি আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরীকে পিটিয়ে আহত করে তার গায়ে ও ঘরে আগুন ধরিয়ে দিলে দগ্ধ কৃষ্ণা রাতেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে। এটা স্পষ্ট যে জহিরুল ইসলামের আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। তাই আমরা প্রত্যাশা করছি আগামীকাল যে রায় ঘোষণা করা হবে তাতে একমাত্র আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে।'

নিহতের ভাতিজা বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক সব্যসাচী বিশ্বাস বার্তা ২৪ কে বলেন, 'আগামীকাল যে রায় ঘোষণা করা হবে তাতে আমরা ন্যায় বিচার পাব বলে আশা করছি। যেহেতু আসামি জামিন নিয়ে পালিয়ে আছে সেহেতু আমরা আশা করব রায় ঘোষণার পর আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে মামলার রায় কার্যকর করবেন।'

বিজ্ঞাপন

২০১৫ সালের ৩০ মার্চ মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের ভাড়া বাসায় হামলায় মারাত্মক আহত ও দগ্ধ হয়ে মারা যান কৃষ্ণা কাবেরী। এ ঘটনায় নিহতের ভাসুর অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সুধাংশু শেখর বিশ্বাস বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দুই পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন। নিহত কৃষ্ণা বিআরটিএ'র পরিচালক এবং রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের পাকালিয়া গ্রামের সীতাংশু শেখের স্ত্রী। মৃত্যুর পর এখানেই তাকে সমাহিত করা হয়।