প্রভাষক কাবেরী হত্যা: রায় কার্যকর চায় স্বজনরা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, রাজবাড়ী, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক কৃষ্ণা কাবেরী বিশ্বাস হত্যা মামলার আসামি গুলশানের ব্রোকারেজ হাউজ হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম পলাশের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদনূর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী নিহতের ভাসুর অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সুধাংশু শেখর বিশ্বাস। একই সাথে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনরাও।

রায় ঘোষণার পর মোবাইলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মামলার বাদী সুধাংশু শেখর বিশ্বাস বার্তা২৪কে বলেন, ‘আদালত আজ (৩ জানুয়ারি) যে রায় ঘোষণা করেছে তাতে আমরা সবাই আনন্দিত। তবে মামলার আসামি গুলশানের ব্রোকারেজ হাউস হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম পলাশ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে। এখন আমাদের চাওয়া যত দ্রুত সম্ভব জহিরুল ইসলাম পলাশকে গ্রেপ্তার করে মামলার রায় কার্যকর করা হোক।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘যেদিন এ রায় কার্যকর করা হবে সেদিনই আমরা সবচেয়ে বেশি খুশি হব। এখন শুধু আমরা অপেক্ষায় আছি কবে খুনিকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। সেই দিনের অপেক্ষায় থাকলাম আমরা।’

২০১৫ সালের ৩০ মার্চ রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের ৩/১২ নম্বর বাসায় খুন হন কৃষ্ণা কাবেরী বিশ্বাস (৩৫)। ঐ ঘটনায় নিহতের স্বামী শীতাংশু ও দুই মেয়ে শ্রুতি বিশ্বাস (১৫) ও অদ্রি বিশ্বাস (৯) গুরুতর আহত হন। শীতাংশু ঐ সময় বিআরটিএ’র প্রকৌশল বিভাগের উপ-পরিচালক ছিলেন।

মামলায় জমা দেওয়া চার্জশিট থেকে জানা যায়, শীতাংশুর জন্মদিন উপলক্ষে কেক ও মিষ্টি নিয়ে বাসায় প্রবেশ করেন পূর্বপরিচিত জহিরুল ইসলাম পলাশ। পরে হাতুড়ি দিয়ে শীতাংশুকে আঘাত করার পর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার চিৎকারে স্ত্রী কৃষ্ণা এগিয়ে এলে তাকেও হাতুড়িপেটা করে পরে গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যান ঘাতক পলাশ। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কৃষ্ণার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সুধাংশু শেখর বিশ্বাস মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৬ সালের ৩০ মে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।