আনসার-ভিডিপির কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-১ ও চাঁদপুর-৫ আসনে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করা আনসার বিডিপি’র সদস্যদের কাছ থেকে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আনসার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

কচুয়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলা আনসার বিডিপির কর্মকর্তারা বলছেন, সদস্যদের কাছ থেকে উৎকোচ নেওয়া হয়নি। তাদের কাগজপত্র ঠিকঠাক করা ও ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে কিছু খরচের জন্য টাকা ধার্য্য করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এই দুই আসনের আনসার বিডিপির একাধিক সদস্যের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আনসার কমান্ডারদের মাধ্যমে এই উৎকোচ তোলা হয়।

গত ৩০ ডিসেম্বর কচুয়ায় ১০৮টি ভোটকেন্দ্রে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

হাজীগঞ্জ উপজেলা আনসার কর্মকর্তা ইমন দাস গুপ্ত বলেন, ‘হাজীগঞ্জ উপজেলায় পাঁচ দিনের জন্য নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে নিয়োগ দেওয়া হয়। এজন্য আনসার সদস্যদের সিসি দেওয়া হয়। এখানে ৮৩ জন কমান্ডার ও ৯৯৬ জন সদস্য নিয়োজিত ছিলেন।’

কচুয়া আনসার বিডিপি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেক আনসার সিসি ও এসিসি সদস্য পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা ও আনসার সদস্যদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন বাবদ চার হাজার ৫৫৭ টাকা পরিশ্রম ভাতা, ২৫০ টাকা যাতায়াত ভাতা ও ৫০০ টাকা খাবার বাবদ দেওয়ার কথা।

গত বুধবার কচুয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের আনসার সদস্যদের ভাতা দেওয়া হয়। এতে অনেক আনসার সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের টাকা ইউনিয়ন আনসার কমান্ডারদের মাধ্যমে দেওয়ার জন্য উপজেলা আনসার বিডিপি অফিস অর্থ বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু ইউনিয়ন আনসার কমান্ডারগণ আনসার সদস্যদের তিন হাজার ৫০০ থেকে চার হাজার করে ঐ সদস্যদের টাকা দিয়েছেন।

কচুয়া উপজেলার ৭নং সদর দক্ষিণ ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার খন্দকার মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে একদল লোকের মিথ্যা অপ-প্রচার। আমার ইউনিয়নের ৪৮ জন আনসার সদস্যকে সঠিকভাবে অর্থ বুঝিয়ে দিয়েছি।’

এদিকে আগামী রোববার হাজীগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের মাঝে টাকা বিতরণ করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আনসার সদস্য বলেন, ‘নিয়োগের শুরু থেকে ৪০০ টাকা করে উৎকোচ দাবি করেন কমান্ডারগণ। অনেকেই দিয়েছেন, আবার অনেকের টাকা শুক্রবার রাখা হবে বলে শঙ্কায় ভুগছেন। ইতোমধ্যে খাবার বাবদ ৫০০ টাকার মধ্যে ১০০ টাকা করে কেটে রাখা হয়েছে।’

জানতে চাইলে কচুয়া উপজেলা আনসার বিডিপি কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘সঠিকভাবে আনসার সদস্যদের অর্থ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমার অফিস কিংবা ইউনিয়ন আনসার কমান্ডারগণ অর্থ হাতিয়ে রাখার বিষয় জানা নেই।’