ইউনিয়ন সভাপতির বিরুদ্ধে উপজেলা আ.লীগ সভাপতির মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক হাজী ছফিউল্লাহ মিয়া বাদি হয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে অভিযোগ এনে আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিম চতুর্থ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন তিনি। আদালত অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত)কে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার একটিতে ১০ জন ও অন্যটিতে ৬ জনের নামউল্লেখ করে আসামী করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভোট গ্রহণের দিন (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় স্বতন্ত্র সিংহ প্রতীকের প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধার পক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান ছফিউল্লাহ মিয়া। এসময় ওই কেন্দ্রে তাঁর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। তার সমস্ত শরীরে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করে এক পর্যায়ে তার কাপড় খুলে অর্ধ উলঙ্গ করে ফেলা হয়। তাঁর পকেট থেকে ৫ হাজার ২০০টাকা, একটি স্যামসাং ব্র্যান্ডের মুঠোফোন চুরি হয় বলে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় তিনি তালশহর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সামা মিয়াকে প্রধান আসামী করে ১০নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১৫/২০জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে একই দিন সকাল ১১টার দিকে জিয়াউল হক মৃধার পক্ষে আশুগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়তল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান ছফিউল্লাহ মিয়া। সেখানেও ছফিউল্লাহ মিয়ার উপর হামলা করে ১০হাজার টাকা মূল্যের একটি মুঠোফোন চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনি বিস্ফোরক আইনের অভিযোগ এনে বড়তল্লা গ্রামের ইউপি মেম্বার নোমান মিয়াকে প্রধান আসামী করে ও ৬জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০জনকে আসামী করে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। উভয় মামলায় ছফিউল্লাহ মিয়া তাঁর একটি নির্বাচনী পর্যবেক্ষণের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা দেখিয়েছেন। প্রথম মামলায় গাড়ি ভাঙচুর বাবদ ৩ লাখ টাকা ও দ্বিতীয় মামলায় একই গাড়ি ভাঙচুর বাবদ পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। উভয় মামলাতে গাড়ির সামনের-পেছনের গ্লাস ও দরজা ভাঙচুর করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। মামলা দুটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিম চতুর্থ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোছা: আসমা আক্তার জানান, বিকালে আদালত মামলাটি স্ব-শরীরে তদন্তের জন্য আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত)কে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটির পরবর্তী তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বলেও জানান তিনি।