পানির অভাব, দিশেহারা কৃষক

  • মনিরুজ্জামান বাবলু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পানিশূন্য কৃষি জমি, ছবি: বার্তা২৪

পানিশূন্য কৃষি জমি, ছবি: বার্তা২৪

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার উত্তর অঞ্চলের কয়েক হাজার একর কৃষি মাঠ পানির অভাবে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে পড়ছে। প্রায় ৪ হাজার হেক্টর কৃষি মাঠ বোরো চাষাবাদের জন্য জমিতে হাল দিয়ে রেখেছে কৃষকরা। পানির অভাবে চাষাবাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না কৃষকরা।

কৃষকরা বলছেন, 'চলতি বছর পানির উৎসগুলো তথা খাল-বিল শুকিয়ে গেছে। অনেক সেচযন্ত্র বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে মোটরের ব্যবস্থা থাকলেও গত কয়েক দিনের লোডশেডিংয়ের কারণে চলতি মৌসুমে বোরো জমিতে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে কৃষকদেরও অভিযোগ। এ বছর কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিও হয়নি। লোডশেডিংয়ে যন্ত্রপাতি বিকল। এমতাবস্থায় দিশেহারা।'

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৭ জানুয়ারি) সরজমিনে হাজীগঞ্জ উপজেলায় দেখা গেছে, সরকারি খাল-বিল পানি শূন্য হয়ে পড়ায় মৌসুমের শুরুতে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পানির অভাবে উপজেলার উত্তরাঞ্চলের বিশেষ করে রাজারগাঁও, দ্বাদশগ্রাম, বাকিলা, কালচোঁ উত্তর ও দক্ষিণ এবং সদর ইউনিয়নের কিছু অংশ কৃষকরা পরিচর্যা করে রেখেছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/07/1546872092518.gif

বিজ্ঞাপন

কথা হয় ২নং বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া গ্রামের কৃষক নজরুল, তাজু , সেলিম, মাঈনুদ্দিন। ৩নং কালচোঁ ইউনিয়নের কালচোঁ গ্রামের সুলতান, আবিদ মিয়া। ১১নং হাটিলা ইউনিয়নের পাতানিশ গ্রামের চাঁন মিয়া, আব্দুল লতিফসহ একাধিক কৃষকের সাথে।

এসব কৃষকদের অভিযোগ, চলতি বছর বর্ষার পানি নভেম্বর মাসের পূর্বে কেটে গেছে। কিন্তু খালগুলোতে পানি আটকানোর কোন ব্যবস্থা না থাকায় আমরা অগ্রিম চাষাবাদের সুযোগ পাইনি। তাছাড়া আমাদের এ অঞ্চলে প্রথমে আলু, সরিষাসহ ৩ মাস মেয়াদি বিভিন্ন ফুল ফলাদি সবজির চাষ করা হয়। তারপরে ইরি চাষাবাদ করা হয়। কিন্তু এ বছর অতি খরার কারণে এসব ফসল উত্তোলনের পর ইরি বোরো চাষাবাদের জন্য জমিতে হাল দিয়ে রাখা হয়। এখন পর্যন্ত পানি সেচের কোন ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে না। সময়মত পানি না পেলে আবার ইরি-বোরো চাষাবাদ করতে পারবো না।

জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মনি সূত্র ধর বলেন, 'চলতি মৌসুমেও ইরি-বোরো উৎপাদন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১০ হাজার হেক্টর জমি। এসব মাঠে ফসল উৎপাদনের কথা রয়েছে উফশী, হাইব্রিডসহ স্থানীয় জাত। সেচ নির্ভর এসব ফসলি মাঠে পানির অভাবে কৃষকরা তাদের জমিতে যথাযথ পরিচর্যা এখন পর্যন্ত করতে পারছে না। এ জন্য তাদের বিকল্প ফসল উৎপাদনের জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।'