ঝুঁকিপূর্ণ ৬০ ফুটের সাঁকোটি, শুরু হয়নি ব্রিজের কাজ



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লক্ষ্মীপুর, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

১৪ খুঁটির ওপর ছোট ছোট ৪টি বাঁশ পাতানো প্রায় ৬০ ফুট লম্বা সাঁকোটি বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। চলাচলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। রয়েছে জীবনের ঝুঁকিও।

এদিকে, এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। এতে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এই সাঁকোটি লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগরের চর মার্টিন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বলিরপুল বাজার সংলগ্ন বাত্তিরখালের ওপর দেখা যায়। প্রায় ৪৭ বছর ধরে এই এলাকার মানুষ বাঁশ ও সুপারি গাছ কেটে সাঁকো নির্মাণ করে খাল পারাপার হচ্ছেন। এর নাম দেওয়া হয় কাজীর দরজার সাঁকো। তবে এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ স্থানীয়দের প্রাণের দাবি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/09/1547014305075.jpg

জানা গেছে, এই সাঁকোটি দিয়ে মতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়সহ প্রায় ৭টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী চলাফেরা করে। ঝুঁকি নিয়েই প্রতিনিয়ত তাদের বিদ্যালয়ে যেতে হয়। বেশ কয়েকবার পানিতে পড়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বইখাতা ভিজে যায়। খালের উত্তর পাশে মসজিদ হওয়ায় নামাজ পড়তে যাওয়া-আসায় বয়স্কদের বিপাকে পড়তে হয়। দিনের বেলা তারা সাঁকো পার হলেও রাতে সাহস করেন না।

এই সাঁকোটি উপজেলার হাজিরহাট, তালতলি, নাছিরগন্জ, চৌধুরীবাজার, চরলরেন্স, মতিরহাট, মুন্সিরহাট ও তোরাবগন্জসহ জেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা। উপজেলা ও জেলা শহরে যাতায়াতের অন্য কোন মাধ্যম না থাকায় এই এলাকার মানুষের এটিই একমাত্র ভরসা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/09/1547014325169.jpg

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই স্থানে প্রায় ৬০ ফুট লম্বা ব্রিজ নির্মাণ করা দরকার। কিন্তু বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪০ ফুটের। বরাদ্দ অনুযায়ী কাজের পরিধি বেশি। ৪০ ফুট ব্রিজ করলে খালে জোয়ার-ভাটার স্রোতে দু'পাশের মাটি সরে যাবে। এতে ব্রিজ নির্মাণ করলেও পরবর্তীতে তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

স্থানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, স্বাধীনতার পর থেকে বাঁশ-সুপারি গাছ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করে তারা খাল পারাপার হচ্ছেন। ওই একটি সাঁকো দিয়ে আশপাশের কয়েক হাজার গ্রামবাসীকে চলাচল করতে হয়। এটি এখন খুবই বিপজ্জনক। খালে পানির স্রোতের দাপটে মাঝে মাঝে সাঁকোর খুঁটিগুলো সরে যায়। কয়েকবার ভেঙেও গেছে। এরপরেও বাঁশ-কাঠ-সুপারি গাছ কেটে এনে সাঁকোটি চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী নারী-পুরুষকে। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রাণের দাবী।

জেলার এ অঞ্চলের মানুষ কৃষি নির্ভরশীল। এখানে সয়াবিন, বাদাম ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ধরণের কৃষি ফসল উৎপাদন হয়। সাঁকোটি ব্যবহার করে তাদের পক্ষে সেসব ফসল সঠিক সময়ে বাজারে উঠানো সম্ভব হয় না। প্রায়ই উৎপাদিত ফসল নিয়ে কৃষকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পরে কম দামে ফসল বিক্রি করতে হয়।

এছাড়া যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে শাক-সবজিসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য কিনতে উপজেলা ও জেলা শহর থেকে আসা আড়তদারদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই জন্য ফসলের ভালো দাম পাননা কৃষকরা।

জানতে চাইলে ৬০ বছর বয়সী আলী হোসেন বলেন, সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে আমার খুব কষ্ট হয়। প্রায়ই মনে হয় পড়ে যাচ্ছি। কয়েকবার পড়েও গেছি। ভয়ে মাঝে মাঝে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারি না। রাতের বেলা যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে সবার জন্য ভালো হতো।

কৃষক কামরুজ্জামান বলেন, সাঁকো থেকে পড়ে আমার ছেলের হাত ভেঙে গেছে। এতে আমার প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। একটি ব্রিজ নির্মাণের ফলে চলাফেরাসহ স্থানীয় কৃষকদের জন্য উপকার হতো। কৃষকরাও তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পেতো।

তিনি আরও বলেন, শুনেছি, এখানে ব্রিজ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে কি কারণে এখনো কাজ শুরু হচ্ছে না, তা জানি না। বর্ষা আসলে সাঁকোটিতে চলাচল বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। এজন্য দ্রুত ব্রিজের কাজ শুরু হলে স্থানীয়ের মাঝে স্বস্তি আসবে।

চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউছুপ আলী বলেন, বাত্তির খালের ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ খুবই জরুরি। শুনেছি ইতোমধ্যে একটি ব্রিজের বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। তবে কাজ শুরু হচ্ছে না কেন, তা জানি না।

কমলনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) বরাত দিয়ে অফিস সহায়ক আবদুল বারেক জানান, ওই স্থানে ৪০ ফুটের একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজে অপরাগতা প্রকাশ করে দরখাস্ত দেন। এই জন্য কাজটি শুরু করা হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;