ফরিদগঞ্জে জনস্বাস্থ্য দফতরে অনিয়মের অভিযোগ
চাঁপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য দফতর ব্যাপক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে।
এই উপজেলা সরকারীভাবে গত অর্থ বছরে ১শ ৭৪টি গভীর নলকূপের জন্য বরাদ্দ পায়। প্রতিটি গভীর নলকূপে ৭ হাজার টাকা সরকারী জমার স্থলে ৫০০ টাকা খরচ রাখার কথা থাকলেও বাড়তি ৫০০ টাকা অতিরিক্ত হারে নিয়ে প্রতিটি কলে ৮ হাজার টাকা করে আদায় করেন জনস্বাস্থ্য বিভাগের মেকানিক হেলাল মিয়া। আর এই অনিয়মের সাথে উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফী মোহাম্মদ হাসানের যোগসাজশ রয়েছে বলে গুঞ্জন রটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত এই দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফী মোহাম্মদ হাসান সপ্তাহে মাত্র ১দিন অফিস করেন। মাসে সর্বোচ্চ ৪/৫ দিন অফিসে থাকেন বাকি দিনগুলো ফিল্ডের অজুহাত দেখিয়ে অফিসে আসেন না।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই বরাদ্দের নলকূপ পাওয়া আমির হোসেন, ইসলাম, মনির হোসেন, রিপণ পাটওয়ারী সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমাদের কাছ থেকে খরচ বাবদ ৫শ ও অতিরিক্ত ৫শ টাকা হারে আদায় করেছে মেকানিক হেলাল মিয়া।
তারা আরও জানান, এই দফতরের কর্মকর্তারা ঠিকমতো অফিসে থাকেন না। কোথায় আছেন জানতে চাইলে কখনও ফিল্ডে আবার কখনও ছুটিতে রয়েছেন এমন কথা বলে আসছেন।
মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) সরেজমিন উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফী মোহাম্মদ হাসানকে নলকূপ পিছু ৫শ টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, 'আমার অফিসের মেকানিক হেলাল মিয়া এ কাজ করেছে। আমি এ বিষয়ে তাকে ডেকে বলার পর অনেকের টাকা ফেরত দিয়েছেন।'
নিয়মিত অফিসে না আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি নিয়মিত আসি। আমি মাঝে মধ্যে হয়তো ফিল্ডে থাকতে হয়। এ দপ্তরের জনবলের অভাব রয়েছে। এখানে পদ সংখ্যা হচ্ছে ০৮টি তন্মধ্যে শূন্য পদ রয়েছে ০৪টি। সেগুলো হচ্ছে অফিস সহকারী একজন, মেকানিক দুইজন ও নিরাপত্তা প্রহরী একজন।